2025-02-22@09:01:10 GMT
إجمالي نتائج البحث: 10
«১৯৫২ স ল»:
অমর ২১শে ফেব্রুয়ারী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন গণ অধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতৃবৃন্দরা। একুেশের প্রথম প্রহরে (২১ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সভাপতি ইন্জিনিয়ার নাহিদ বলেন, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি একটি শোক ও বেদনার দিন হলেও, এটি বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শহীদদের আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এক বিশেষ দিন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে পূর্ববাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র, যুবক এবং সাধারণ মানুষ প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসেন। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী মিছিলের গতি দেখে...
একুশের গল্প। তবে গল্প নয়, সত্যি, একদম সত্যি ঘটনা এবং তা ঘটেছিল সেই ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি। অনেক দিন আগের কথা, কিন্তু তা হলে কী হবে, একুশে এখনো অত্যুজ্জ্বল। মহান একুশের কথা আমরা এখনো ভুলতে পারি না। প্রশ্ন হতে পারে, আমি ঘটনাটা কেমন করে জানলাম। তার জবাবে বলছি, আমি সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে, আমতলায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সি বিভাগে ঢোকার পথে বড় একটা ফটকের ওপর পুরোনো একটা ফলকে লেখা আছে সেদিনের পরিচয়। আমি সেই তীর্থক্ষেত্রে ছিলাম। আমি একা নই, হাজার হাজার শিক্ষার্থী সেখানে সমবেত হয়েছিলেন। কেন?এই ‘কেন’র জবাব অনেক দীর্ঘ। একুশের কথা বলতে হলে তার আগের কথা বলতে হয়—৪ ফেব্রুয়ারি, ১১ ফেব্রুয়ারি এবং তার আগের দিন ও বছরগুলোর কথা। শুধু তা-ই নয়। আরও পিছিয়ে আমার জন্ম, আমার...
শহীদুল্লা কায়সার (১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯২৭—১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১)। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক; প্রগতিশীল লেখক। লেখাটি ছাপা হয় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিধ্বনি পত্রিকায়, ১৯৬৪ সালে।প্রবন্ধ: একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনে অপরিসীম গুরুত্বের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত। সে শুধু অবাধ, শুধু আবেগজাত নয়—যুক্তি ও বিচারের মাপকাঠিতেও তার তারতম্য হয়।বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষায় পরিণত করার কর্মসূচি ছিল একুশে ফেব্রুয়ারির একমাত্র লক্ষ্য। এমন কর্মসূচিভিত্তিক আন্দোলনের একটি দিন একটি জাতির ইতিহাসে যুগান্তরের কাল বলে বিবেচিত হলো কেন? তার কারণ এই, ভাষা আন্দোলনের কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ছিল কতগুলো মূলনীতির প্রশ্ন। সেই মূলনীতিগুলোই আমাদের জাতীয় জীবনে তরঙ্গ তুলছে বারবার, প্রশ্ন তুলেছে, সমাধান খুঁজেছে, মীমাংসা পেয়েছে।ভাষাগত আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের দাবিতে এ আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তার সঙ্গে তাই জড়িত ছিল সাংস্কৃতিক চেতনা, রাজনৈতিক আদর্শ এবং গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ত্যাগ...
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, “বাঙালি জাতিসত্ত্বার প্রাথমিক স্তম্ভ একুশে ফেব্রুয়ারি। একাত্তর–উত্তর রাষ্ট্র গঠনে মৌলিক এবং অন্যতম অনুপ্রেরণা একুশে ফেব্রুয়ারি। এর সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক আছে আমার। আমার মা ভাষাসৈনিক, ভাষাকন্যা।” শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় তিনি এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট ও হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর পর তারা ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় দেশের ভাষা...
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ভাষা শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করে জাতি আজ শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ‘অমর একুশে’, ভাষা শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হবে। এবার দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে— ‘মেক ল্যাঙ্গুয়েজেস কাউন্ট ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’। ভাষা আন্দোলনের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খালি পায়ে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গাইতে গাইতে হাতে ফুল নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে বাঙালির ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ছাত্র...
১৯৪৭-এর ১৪ আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলো।...সরকারের কাজকর্ম থেকে আমরা বুঝতে পারলাম, বাংলা ভাষার প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। সরকার ইংরেজির পাশাপাশি উর্দু ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়। মানি অর্ডার ফরম, পোস্টকার্ড, খাম ও কাগজের টাকার নোট থেকে সরকার বাংলা ভাষাকে বাদ দেয়। গণপরিষদের ভাষারূপে উর্দু ইংরেজির পাশাপাশি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে। কিন্তু গণপরিষদে ভাষা হিসেবে উর্দু ও ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষার স্বীকৃতির দাবি অগ্রাহ্য হয়।বাংলা ভাষার প্রতি সরকারের এসব অবজ্ঞার কারণে পূর্ববঙ্গের ছাত্ররা সরকারের প্রতি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার দাবিকে বাস্তবায়িত করার জন্য এক সভায় মিলিত হয়ে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন।...২২ মার্চ, ১৯৪৮–এ কার্জন হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন সভা আহ্বান করা হয়েছে। জিন্নাহ সভার প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করবেন। আমি আগের বছর বিএ...
বাংলাভাষা আর একুশে ফেব্রুয়ারি—এ দুটি শব্দই সংগ্রামী চেতনা, মুক্তি ও স্বাধীনতার প্রতীক। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি তরুণরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মাতৃভাষার অধিকার। এ কারণেই বাঙালি জাতির কাছে একুশ মানেই সংগ্রামের অনুপ্রেরণা। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের মাতৃভাষার ভাবনা তুলে ধরেছেন। ভাষা শুধু ফেব্রুয়ারির জন্য নয় ফেব্রুয়ারি এলেই ভাষার প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও ভালোবাসার বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি আরো তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ নজরুল শুধু বিদ্রোহী কবি নন, তিনি ভাষার শক্তির প্রতীকও। ভাষার প্রতি ভালোবাসা কেবল ফেব্রুয়ারি মাসের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। ভাষা আন্দোলনের চেতনা প্রতিদিনের চর্চার বিষয়। বাংলা ভাষার সঠিক ব্যবহার, মাতৃভাষায় গবেষণা, সাহিত্যচর্চা এবং একে প্রযুক্তির সঙ্গে মানানসই করে...
ভাষার মাধ্যমে মানুষ তার বিভিন্ন ধরনের অনুভূতি প্রকাশ করে আসছে সেই প্রাচীনকাল থেকে। সমাজ-সভ্যতার বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভাষাও এক অবস্থায় থাকে না; তা পরিবর্তিত হয়। কোনো কোনো ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যায় চিরতরে। এর সঙ্গে বিলুপ্ত হয় একটি জনগোষ্ঠীর শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি। লিখেছেন দ্রোহী তারা ------------------------------------------- ভাষার প্রথম উৎস বা উৎপত্তি নিয়ে তেমন কোনো জোরালো প্রমাণ বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত পাননি। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও বিভিন্ন প্রাগৈতিহাসিক তথ্য, গুহাচিত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যায়, ভাষার উৎপত্তি সেই ৮০ লাখ বছর আগে। আফ্রিকার কিছু জঙ্গলের এপ জাতীয় প্রাণী বাস করত তাদের মধ্য থেকে। কেননা বিভিন্ন বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা গেছে, এপ জাতীয় প্রাণীগুলোর মধ্যে শিম্পাঞ্জি ও মানুষের পূর্বজ ছিল। এসব হলো ভাষার আদি অন্ত বিষয়। পৃথিবীতে এখন ৭ হাজার ১৬৮টি ভাষা রয়েছে; যার মধ্যে...
‘আমার ভাই এর রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ - শুরু হলো রক্তে রাঙানো ভাষা আন্দোলনের মাস। ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ। এ মাসের সবচেয়ে বড় আয়োজন বাংলা একাডেমি চত্বরে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এবার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যে শুরু হচ্ছে এই গ্রন্থমেলা। বিকেল ৩ টায় গ্রন্থমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। এ ছাড়া ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকেই শুরু হচ্ছে নানা কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আবার হয়ে উঠবে জমজমাট। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ মাসে আয়োজন করবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। ফেব্রুয়ারি মাস একদিকে শোকাবহ হলেও অন্যদিকে গৌরবোজ্জ্বল । পৃথিবীর একমাত্র জাতি বাঙালি ভাষার জন্য...
আজ থেকে শুরু হলো ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে জীবন উৎসর্গ করা সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার ও নাম না জানা আরও অনেক শহীদের স্মৃতিকে এ মাসে বিশেষভাবে স্মরণ করে পুরো দেশ। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবসকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী নানা আয়োজনের শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাঙালির প্রিয় অমর একুশে বইমেলা। বিকেলে বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’ পাকিস্তান সরকারের এমন ঘোষণার প্রেক্ষাপটে পূর্ব বাংলায় অবস্থানকারী বাংলাভাষী সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভের জন্ম হয়। জাগে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। পূর্ব বাংলার বাংলাভাষী মানুষ আকস্মিক ও অন্যায্য এ সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি। তাই বাংলাভাষার সমমর্যাদার দাবিতে পূর্ব বাংলায় আন্দোলন দ্রুত দানা বেধে ওঠে। আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪...