Risingbd:
2025-03-10@12:31:33 GMT

শুরু হলো ভাষার মাস

Published: 1st, February 2025 GMT

শুরু হলো ভাষার মাস

‘আমার ভাই এর রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ - শুরু হলো রক্তে রাঙানো ভাষা আন্দোলনের মাস। ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ।

এ মাসের সবচেয়ে বড় আয়োজন বাংলা একাডেমি চত্বরে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এবার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যে শুরু হচ্ছে এই গ্রন্থমেলা। বিকেল ৩ টায় গ্রন্থমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহম্মদ ইউনূস।

এ ছাড়া ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকেই শুরু হচ্ছে নানা কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আবার হয়ে উঠবে জমজমাট। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ মাসে আয়োজন করবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। 

ফেব্রুয়ারি মাস একদিকে শোকাবহ হলেও অন্যদিকে গৌরবোজ্জ্বল । পৃথিবীর একমাত্র জাতি বাঙালি ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিল। যা এখন  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও স্বীকৃত। ১৯৫২ সালের  ফেব্রুয়ারির সেই আন্দোলনে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিকের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি পায় মাতৃভাষার মর্যাদা এবং আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেরণা। তারই পথ ধরে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

শুরুটা ১৯৪৭ সালের পর থেকেই। পাকিস্তান কৌশলে বাঙালি জনগোষ্ঠীর ভাষার ওপর প্রথম আঘাত হানে। মায়ের ভাষায় কথার বলাও তারা বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করে। কিন্তু বাংলার মানুষ সেই ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে একবিন্দু পিছু হঠেনি। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অনেক চড়াই-উৎরাই পার করে চূড়ান্ত রূপ লাভ করেছিল ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। বায়ান্নর আগুনঝরা সে দিনগুলো বিশ্বের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে, থাকবে।

বায়ান্নর পয়লা ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে  ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক তার স্মৃতিকথনে লেখেন, ‘সে বছর ঢাকায় মাঘের শীতটা বেশি মাত্রায় এসেছিল। মাঘের সে শীত বাঘের গায়ে লাগতে পারে, কিন্তু ঢাকার ছাত্রদের গায়ে তেমন লাগেনি। কারণ একটাই -সাতাশে জানুয়ারি পল্টন ময়দানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন তার দীর্ঘ বক্তৃতায় রাষ্ট্রভাষা প্রসঙ্গে বলেন যে, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দুই হতে যাচ্ছে। এটুকু বলেই তিনি থামেননি। প্রসঙ্গক্রমে তাদের কায়েদে আজমের ভাষা বিষয়ক মতামত, প্রাদেশিকতা, এক রাষ্ট্রে এক রাষ্ট্রভাষা ইত্যাদি বিষয়েও কথা বলেন তিনি এবং উর্দু বিরোধীদের ‘পাকিস্তানের দুশমন’ বলে ঘোষণা করেন। যেমনটা করেছিলেন, পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৮ মার্চে ঢাকা সফরে এসে।’

তিনি লেখেন, ‘বায়ান্ন ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনটি এই মাতৃভাষা রাষ্ট্রভাষার ধারাবাহিকতার ফসল। সে দিনটিতে ছিল ছাত্রাবাসের বাসিন্দাদের মনে ধিকিধিকি জ্বলা ক্ষোভ।’

ঢাকা/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামীর গুমের তদন্তে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান দেখছেন না, অভিযোগ ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত গুম কমিশনে অভিযোগ দাখিল করেও স্বামীর গুমের বিষয়ে তদন্ত বা অনুসন্ধান চালানোর স্পষ্ট কিছু দেখছেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতা এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর (লুনা)। বিএনপির চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রথম প্রত্যাশা ছিল ইলিয়াস আলীসহ গুম হওয়া সবাইকে ফেরত পাওয়া। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে তাদের কোনো স্পষ্ট অবস্থান দেখতে বা জানতে পারিনি।’

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর পিরেরবাজার এলাকায় গতকাল রোববার বিকেলে দশঘর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাহসিনা রুশদীর এ কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ইলিয়াস আলীকে ফেরত পাওয়ার জন্য এ দোয়ার আয়োজন করা হয়।

২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার বনানী থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ নিখোঁজ হন ইলিয়াস আলী। বিএনপির অভিযোগ, তাঁকে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের লোকজন গুম করেছিল। ওই সময় ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে টানা এক সপ্তাহ হরতাল পালিত হয় বিশ্বনাথ উপজেলায়, যে হরতালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রদল ও যুবদলের তিন কর্মী নিহত হন।

সিলেট বিএনপির একাধিক নেতা জানান, ২০১১ সালের মধ্যবর্তী সময় ভারতের টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প বন্ধের দাবিতে সিলেটে জোরালো আন্দোলন দানা বাঁধে ইলিয়াস আলীর নেতৃত্বে। আঞ্চলিক ইস্যুতে সেই আন্দোলন অতীতে কমই দেখা গেছে। সিলেট-২ আসনে টানা তিনবার নির্বাচন করে ইলিয়াস আলী দুবার বিজয়ী হন।

জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে বলে বক্তৃতায় অভিযোগ করেন তাহসিনা রুশদীর। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল নির্দিষ্ট কিছু বিষয় সংস্কার করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন উপহারের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি এখন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে।’

তাহসিনা রুশদীর আরও বলেন, ‘কেউ বলছেন আগে স্থানীয় নির্বাচন। আবার ছাত্ররা নতুন দল করে বলছেন হাসিনার বিচার হওয়ার পর নির্বাচন হবে। বিচার একটি আইনি প্রক্রিয়া, তার গতিতেই চলবে। বিচার শেষ হতে যদি সাত থেকে আট বছর লেগে যায়, তাতে কি মানুষ অপেক্ষা করবে? আমরা চাই, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যেটুকু সংস্কার প্রয়োজন, তা করে দ্রুত নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবেন।’

ইফতার মাহফিল–পূর্ব সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল মতিন। উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম ও যুবদল নেতা আরিফ মিয়া কর্মসূচি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী, সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া, জেলা বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ময়নুল হক, দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খান ও জেলা যুবদলের সদস্য ইমাম উদ্দিন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমাকে নিয়ে বলিউডে ষড়যন্ত্র হয়েছে: গোবিন্দ
  • স্বামীর গুমের তদন্তে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান দেখছেন না, অভিযোগ ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর
  • চাটমোহরে বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ
  • কোন ষড়যন্ত্র হতে দেওয়া হবে না, সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করব : সজল