একুশের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক আছে: প্রধান বিচারপতি
Published: 21st, February 2025 GMT
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, “বাঙালি জাতিসত্ত্বার প্রাথমিক স্তম্ভ একুশে ফেব্রুয়ারি। একাত্তর–উত্তর রাষ্ট্র গঠনে মৌলিক এবং অন্যতম অনুপ্রেরণা একুশে ফেব্রুয়ারি। এর সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক আছে আমার। আমার মা ভাষাসৈনিক, ভাষাকন্যা।”
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো.
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট ও হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর পর তারা ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় দেশের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় এবং জাতির গৌরবোজ্জ্বল ভাষা আন্দোলনের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, প্রধান বিচারপতির মা বাংলাদেশের প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য ২০০২ সালে একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সুফিয়া আহমেদ।
ঢাকা/মামুন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ দারুল উলুম মাদ্রাসার সবক উদ্বোধন
আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ দারুল উলুম মাদ্রাসার সবক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাদ আছর পশ্চিম ভোলাইল জামে মসজিদ এ সবক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
সবক প্রদান ও দোয়া পরিচালনা করেন জামিয়া আরবিয়া দারুল উলুম দেওভোগ মাদরাসার মহা পরিচালক আল্লামা আবু তাহের জিহাদি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এলাকার মসজিদ কমিটির সদস্য ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ
আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ দারুল উলুম মাদ্রাসা মজলিসের শুরার সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান তার সভাপতি বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রয়াত শিল্পপতি বিশিষ্ট দানবীর ও শিক্ষানুরাগী মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ এই মাদ্রাসা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
এবং তিনি আমৃত্য মাদ্রাসার ও সার্বিক তত্ত্বাবধান করে গেছেন। তার স্বপ্ন ছিল তিনি মাদরাসাটিকে জেলার সেরা প্রতিষ্ঠান বানাবেন। আজ দুনিয়াতে তিনি নেই, তাই আমাদের দায়িত্ব হলো তার রেখে যাওয়া প্রতিষ্ঠান দুটোকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তাই এই লক্ষ্যে আমরা মাদ্রাসার দশ তলা ভবনের কাজ অতিসত্বর শুরু করবো।
আলহামদুলিল্লাহ এ প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়ার মান খুবই ভালো। লেখাপড়ার ভালো মানের পিছনে।মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মহতামিম মাওলানা তাজুল ইসলাম আব্বাস তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
যার ফলে লেখাপড়া সুনাম বয়ে আনছেন। প্রতিবছর জাতিয় বোর্ড পরীক্ষায় শতভাগ সফলতার পাশাপাশি সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান অর্জন করে আসছে।
এসময় তিনি এলাকা বাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি এলাকাবাসীকে বলব সবাই মিলে আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ সাহেবের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানটিকে নারায়ণগঞ্জের মধ্যে একটি অন্যতম মাদ্রাসা হিসেবে গড়ে তুলি।
যাতে এই প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্ররা হাফেজ-আলেম, মুফতি-মুহাদ্দেস হয়ে দেশ ও জাতির খেদমত করতে পারে।
এসময় অনুষ্ঠানে নতুন শিক্ষাবর্ষে এই বছর দুই শতাধিক ছাত্রকে সবক প্রদান করা হয়