2025-04-19@18:01:30 GMT
إجمالي نتائج البحث: 18
«লবণ উৎপ দ»:
লবণের দাম নিয়ে এমনিতেই হতাশ কক্সবাজার জেলার লবণচাষিরা। তার ওপর বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে উৎপাদনও বন্ধ হয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে মাঠের লবণ। এতে লবণচাষিদের লোকসানের বোঝা আরও বাড়ল।লবণচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি মণ লবণ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। কিন্তু এ পরিমাণ লবণ উৎপাদনে চাষিদের খরচ হচ্ছে ২৮০ টাকার বেশি। এতে কেজিপ্রতি তিন টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে চাষিদের।চাষিদের অভিযোগ, লবণ মিলমালিক ও ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে লবণের দাম কমিয়ে ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছেন। অথচ খুচরা বাজারে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত পরিশোধিত লবণ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এর ফলে এই শিল্পের লাভ পুরোটাই যাচ্ছে মিলমালিক ও ব্যবসায়ীদের পকেটে।বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, টেকনাফ ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়...
মাঠের পর মাঠ, যত দূর চোখ যায়, কেবল তরমুজের গাছ। সবুজ লতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে ডোরাকাটা আলপনা আঁকা নানা আকারের তরমুজ। কোথাও কোথাও মাঠের মধ্যে তরমুজ স্তূপ করে রাখা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা এসে এসব তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। শনিবার খুলনার উপকূলীয় কয়রা উপজেলার বিভিন্ন তরমুজখেত ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।কয়েকজন তরমুজচাষি বলেন, পাঁচ বছর আগেও জমিগুলো আমন ধান চাষের পর অনাবাদি পড়ে থাকত। শুষ্ক মৌসুমে মাটিতে অতিরিক্ত লবণাক্ততা ছড়িয়ে পড়ায় বৃথা পরিশ্রম ভেবে কেউ চাষাবাদের চেষ্টা করতেন না। এখন সেই পতিত জমিগুলোই স্বপ্ন দেখাচ্ছে কয়রার চাষিদের। অল্প সময়ে বিনিয়োগের দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ লাভ করায় দিন দিন এখানকার কৃষকের আশার আলো হয়ে উঠছে লবণসহিষ্ণু সুস্বাদু তরমুজের আবাদ। গত কয়েক বছরের ব্যবধানে চাষের পরিধি বেড়েছে কয়েক গুণ।কয়রা উপজেলা...
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট ভাগ্যবান। কারণ তাদের একটি সমুদ্র আছে, যা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে উদ্বুদ্ধ করে। শুক্রবার কক্সবাজারে বিআইএএম অডিটোরিয়ামে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের একটি সমুদ্র আছে। ব্যবসার জন্য সমুদ্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামুদ্রিক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের একটি দীর্ঘ সমুদ্রতীর রয়েছে এবং চট্টগ্রামের সমুদ্রতীরের যেকোনো স্থানে সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, কক্সবাজারে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটি কেবল একটি পর্যটন শহরই নয়, বরং অর্থনীতিরও কেন্দ্র। নেপাল ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সের কোনো সমুদ্র নেই উল্লেখ করে ড. ইউনূস পারস্পরিক সুবিধার্থে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা ব্যবসা করতে পারলে সকলের...
ফসলের জাকাত ‘উশর’ গরিবের পাওনা হক। এটি আদায় করা ফরজ ইবাদত। ‘উশর’ ফসল তোলার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক আদায় করতে হয়, বছর অতিক্রান্ত হওয়া শর্ত নয়। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তিনি (আল্লাহ) এমন যে যিনি সৃজন করেছেন বাগান সুউচ্চ (মাচানে লতানো) ও অনুচ্চ (মাচানবিহীন) এবং খেজুরগাছ ও খেত; তার স্বাদ ভিন্ন ভিন্ন আর জলপাই ও ডালিম, সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য। তোমরা খাও তার ফল যখন ফল পরিপক্ব হয়; আর তার হক (উশর) প্রদান করো তা উত্তোলনের দিনে; আর (উশর প্রদান না করে) সীমা লঙ্ঘন করো না, নিশ্চয় আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা আনআম, আয়াত: ১৪১)রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক জিনিসের জাকাত আছে, শরীরের জাকাত রোজা।’ (ইবনে মাজাহ: ১৭৪৫) ভূমিতে উৎপাদিত শস্য তথা ফল-ফসলেরও জাকাত রয়েছে। উশর মানে হলো এক-দশমাংশ। প্রাকৃতিক পানি...
কক্সবাজারের সাগরদ্বীপ কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের হাজারীপাড়া ও নুইন্যাছড়ি গ্রামের মাঠজুড়ে এখন শত শত মণ লবণের স্তূপ। প্রতিটি স্তূপে আছে ২০ থেকে ৫০ মণ লবণ। কিন্তু বিক্রি তেমন হচ্ছে না। কারণ, লোকসান। এক মণ লবণ উৎপাদন করতে চাষিদের খরচ ৩৫০ টাকা। অথচ লবণ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। প্রতি মণে লোকসান দাঁড়াচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। কিন্তু ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের বাজারে এ লবণ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। প্রতি মৌসুমে চাষিদের জিম্মি করে শুধু কুতুবদিয়াতেই দুই হাজার কোটি টাকা দালাল-সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিলেও দেখার কেউ নেই। সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠে উৎপাদিত লবণ কত টাকায় বিক্রি হবে, তা–ও নির্ধারণ করে দেয় সিন্ডিকেট। কুতুবদিয়ায় উৎপাদিত লবণ সাগরপথে চট্টগ্রাম-ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও খুলনায় পৌঁছাতে হয় কার্গো বোট দিয়ে। এ কারণে সিন্ডিকেটের বাইরে গিয়ে কিছুই করতে পারেন...
চট্টগ্রামে পানি সংকট তীব্র হয়েছে। যেসব এলাকায় পানি আছে, মুখে তোলা যাচ্ছে না লবণাক্ততায়। অনেক অঞ্চলে মিলছে না ব্যবহারের পানিও। রমজানে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে। নাকাল নগরবাসী ক্ষোভে ফুঁসছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত মাসের শেষ দিকে বন্দরনগরীর সুপেয় পানির উৎস কর্ণফুলী নদী ও হালদা নদে ঢুকে পড়ে সাগরের পানি। সংকটের কারণে কাপ্তাই লেক থেকে পাওয়া যাচ্ছে না মিঠা পানি। লবণাক্ততা এড়াতে জোয়ারের সময় পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পানি সংগ্রহ বন্ধ রাখছে ওয়াসা। আবার গভীর নলকূপ থেকে যা উঠছে, তা মিশিয়েও কমছে না লবণের তীব্রতা। ফলে উৎপাদন কমে সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সামনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নগরীতে বিভিন্ন আকারের ৫ হাজার ৩০০ গভীর নলকূপ রয়েছে। অবৈধ নলকূপ আরও কয়েক গুণ। অবৈধভাবে ভূগর্ভস্থ পানি তোলায় এসব ভবনের...
খাদ্যসহ বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহার ছাড়াও লবণ মানবদেহের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান; যার নির্দিষ্ট মাত্রায় হেরফের হলে মস্তিষ্ক, কিডনি, হৃদ্যন্ত্রের মতো অঙ্গ বিকলসহ জীবনসংশয় পর্যন্ত হতে পারে। তাই এই খনিজ বস্তুটি সস্তা হলেও এর ব্যবহারে থাকতে হয় অতি সতর্ক। অথচ নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনের প্রায় নাকের ডগায় এই অতি জরুরি ও অতি বিপজ্জনক খনিজ পণ্যটির অপব্যবহার ঘটে চলেছে। ফলে মাটির ওপর ও নিচের প্রাণপ্রকৃতির সর্বনাশ হচ্ছে; পাশাপাশি লাখো মানুষের জীবন বিষিয়ে ওঠার উপক্রম হয়েছে।এক মৌসুমে কুতুবদিয়ায় ৩ লাখ টন লবণ উৎপাদন করে যে লাভ হচ্ছে, পরিবেশ ধ্বংসের কারণে কৃষি, স্বাস্থ্যসহ নানা পেশার লাখো মানুষের ক্ষতি হচ্ছে দশ গুণ বেশিফজলুল কাদের চৌধুরী, সভাপতি, ধরা, কক্সবাজারপ্রথম আলোর দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে এমনই এক ঘটনার আদ্যোপান্ত জানা গেছে কক্সবাজারের সাগরদ্বীপ কুতুবদিয়া উপজেলায়। প্রায় সাত বছর হলো এখানে...
বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ তালিকায় থাকা পণ্যগুলোর মধ্যে আছে বিস্কুট, লবণ, সরিষার তেল, আটা, ময়দা, এলপি গ্যাস ইত্যাদি। কিছু পণ্যে উৎপাদন পর্যায়ে এবং কিছু পণ্যে ব্যবসায়ী পর্যায়ে এ ছাড় দেওয়া হয়েছে। সোমবার এনবিআর এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল উৎপাদন পর্যায়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে। সরিষা তেলের উৎপাদন পর্যায়েও ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে, যার কোনো সময়সীমা নেই। এ ছাড়া দেশে উৎপাদিত যেসব পণ্যের ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো বিস্কুট, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, গুঁড়া মরিচ, ধনে, হলুদ, আদা, চালের কুঁড়ার তেল, সূর্যমুখী তেল, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল, ডাল বা ডাল–জাতীয় খাদ্যশস্য। শর্ত সাপেক্ষে এলপি গ্যাস ও...
তেল ও ডালসহ বেশকিছু পণ্যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনবিআর থেকে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। ভ্যাট অব্যাহতির তালিকায় থাকা পণ্যগুলোর মধ্যে আছে— সরিষার তেল, আটা, ময়দা, ডাল, এলপি গ্যাস, বিস্কুট, লবণ ও গরম মসলা ইত্যাদি। এসব পণ্যে উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ছাড় দেওয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আদেশ অনুযায়ী, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল উৎপাদন পর্যায়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে। সরিষার তেলের উৎপাদন পর্যায়েও ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে, যার কোনো সময়সীমা দেওয়া হয়নি আদেশে। দেশে উৎপাদিত কিছু পণ্যে ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পণ্যগুলো হলো— ডাল বা ডাল জাতীয় খাদ্যশস্য, আটা, ময়দা, লবণ, সুজি, বিস্কুট, গুঁড়া...
হঠাৎ বেশ কিছু পণ্যের ভ্যাট অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ তালিকায় থাকা পণ্যগুলোর মধ্যে আছে বিস্কুট, লবণ, শর্ষে তেল, আটা, ময়দা, এলপি গ্যাস ইত্যাদি। কিছু পণ্যে উৎপাদন পর্যায়ে এবং কিছু পণ্যে ব্যবসায়ী পর্যায়ে এ ছাড় দেওয়া হয়।আজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুসারে, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল উৎপাদন পর্যায়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে। শর্ষে তেলের উৎপাদন পর্যায়েও ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে, যার কোনো সময়সীমা নেই।এ ছাড়া দেশে উৎপাদিত যেসব পণ্যের ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো বিস্কুট, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, গুঁড়া মরিচ, ধনে, হলুদ, আদা, চালের কুঁড়ার তেল, সূর্যমুখী তেল, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল, ডাল বা ডাল–জাতীয় খাদ্যশস্য।শর্ত সাপেক্ষে এলপি গ্যাস ও...
বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে বিছানো রয়েছে পলিথিন। সেই পলিথিনে সূর্যতাপে লোনাপানি জমাট বেঁধে পরিণত হচ্ছে সাদা লবণে। কয়েকজন শ্রমিক সেই লবণ তুলে মাঠে স্তূপ করে রাখছেন। লবণ উৎপাদনে শ্রমিকদের এই ব্যস্ততা দেখা যায় চট্টগ্রামের পটিয়ায় উপজেলার ইন্দ্রপুল এলাকায়। সাধারণত সাগর উপকূলীয় অঞ্চলে এভাবে লবণের চাষ হয়। তবে সাগর উপকূলীয় এলাকা না হয়েও পটিয়ার প্রায় ১০০ একর জমিতে চাষ হচ্ছে লবণের। পটিয়ার ইন্দ্রপুল এলাকায় রয়েছে ৪৯টি লবণ পরিশোধন কারখানা, যার মধ্যে বর্তমানে চালু রয়েছে ৩৭টি। এসব কারখানার পরিত্যক্ত লোনাপানি ব্যবহার করেই মূলত ইন্দ্রপুল এলাকায় লবণের চাষ হচ্ছে। কারখানার মালিকদের পাশাপাশি স্থানীয় কিছু বাসিন্দা দুই দশক ধরে ইন্দ্রপুল এলাকায় লবণের চাষ করে আসছেন। কারখানার পরিত্যক্ত লোনাপানির কারণে এসব জমিতে কোনো ধরনের চাষাবাদ করা যেত না। বর্তমানে পতিত এসব জমিতে লবণ চাষ করে মৌসুমে ৫...
কক্সবাজারের ৬৮ হাজার একর জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে; কিন্তু ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না ৪৪ হাজারের বেশি প্রান্তিক লবণচাষি। প্রতিমণ লবণ উৎপাদনে ৩৫০ টাকার বেশি খরচ হলেও বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকায়। এ অবস্থায় লবণের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে আজ বুধবার বেলা ১১টায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে কয়েক শ প্রান্তিক চাষি কাফনের কাপড় পরে, রাস্তায় লবণ ছিটিয়ে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। টানা এক ঘণ্টা ধরে চলা এই অবরোধ কর্মসূচির কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারমুখী এবং কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম ও ঢাকামুখী কয়েক শ যানবাহন আটকা পড়ে। এ সময় নারী ও শিশু-কিশোর যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।লবণচাষিরা জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে খুটাখালী বাজারে চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, বদরখালী, ঈদগাঁও এবং কক্সবাজার সদর উপজেলার কয়েক শ লবণচাষি ও ব্যবসায়ী...
কক্সবাজারের সাগর দ্বীপ কুতুবদিয়ার সব খানে এখন লবণ উৎপাদনের ধুম পড়েছে। কিছু জমিতে চলছে বোরো চাষ। এর মধ্যে মাত্র ১৪ হেক্টর জমিতে ঝুঁকি নিয়ে তরমুজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন ১৭ জন চাষি।বঙ্গোপসাগরের এই দ্বীপটির একসময় আয়তন ছিল ৯৯ দশমিক ১৩ বর্গকিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে এখন দ্বীপের আয়তন ২৭ বর্গকিলোমিটারে ঠেকেছে। পেশা হারিয়ে গত তিন দশকে দ্বীপ ছেড়েছেন অন্তত ৬০ হাজার মানুষ। লবণ চাষের মহা ধুমধামের মধ্যে ১৭ জন চাষি ঝুঁকি নিয়ে তরমুজ চাষ করে ভাগ্যবদলের ঘটনা মানুষের নজর কাড়ছে। প্রেরণা জোগাচ্ছে উদ্যোগী কৃষাণী কুলসুমা বেগমের গল্প। উপজেলার আলী আকবরডেইল ইউনিয়নের পুতিন্যারপাড়ায় কুলসুমার বাড়ি। সারা উপজেলায় লবণ চাষ হলেও সেখানকার ৫০০-৬০০ একর জমিতে ধানের চাষ হয়। কুলসুমার স্বামী মো. শাহাদাত কবির অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ...
দেশের লবণের চাহিদার বড় একটি জোগান আসে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা ও কক্সবাজার জেলা থেকে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার লবণের উৎপাদন বেশ ভালো বলতে হবে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ নেই লবণচাষিদের। মধ্যস্বত্বভোগী ও সিন্ডিকেটের কারণে লবণ উৎপাদন করে মাথায় হাত তাঁদের। আগেও অনেকবার এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে লবণচাষিদের। এ দুর্গতি থেকে কি তাঁদের মুক্তি নেই?প্রথম আলোর একটি সরেজমিন প্রতিবেদনে কক্সবাজারের লবণচাষিদের কাছ থেকে জানা যায়, জানুয়ারি মাসে প্রতি মণ লবণ বিক্রি হয় ২৪০ টাকায়। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দাম ১৮০-১৮৫ টাকায় নেমে এসেছে। এতে প্রতি মণ লবণে চাষিদের ১৭০ টাকার মতো লোকসান হচ্ছে। কারণ, প্রতি মণ লবণ উৎপাদনে চাষিদের খরচ হয় প্রায় ৩৫০ টাকা।দফায় দফায় লবণের দাম কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে চাষিরা বলছেন, মধ্যস্বত্বভোগী ও কার্গো বোটের মালিকেরা সিন্ডিকেট করে...
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তীব্র ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে মাটি ও পানিতে লবণাক্ততার বৃদ্ধি স্বাদু পানির মাছ চাষের জন্য বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাছ চাষে লাভবান হতে হলে ভালো মানের পোনা ও সঠিক পদ্ধতির প্রয়োজন। কিন্তু উপকূলের মাছচাষিরা নিম্নমানের পোনা ব্যবহার করায় কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন পাচ্ছিলেন না। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জে পুকুরে জলবায়ু সহনশীল মাছচাষের উদ্যোগ নেয় ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি। গতবছর জুলাই মাসে ব্র্যাকের এডাপটেশন ক্লিনিকের উদ্যোগে জলবায়ু সহনশীল মাছের পোনা হিসেবে দ্রুত বর্ধনশীল জি-৩ রুই, তেলাপিয়া এবং অন্যান্য কার্পজাতীয় মাছের পোনা একটি প্রদর্শনী পুকুরে ছাড়া হয়, যা স্বল্প সময়ে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং জলবায়ু প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম। কলাপাড়া উপজেলায় নীলগঞ্জ, মহিপুর, চাকামইয়া, লতাচাপলী ইউনিয়নে প্রায় ৮৩টি পুকুরে এসব জলবায়ু সহনশীল...
কক্সবাজারের সাগরদ্বীপ কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং এলাকার চাষি মুমিনুল ইসলাম (৪৫) এবার ৬ কানি (কানিতে ৪০ শতক) জমিতে লবণ চাষ করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লবণের উৎপাদনও ভালো হচ্ছে। গত শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ৬ কানি জমি থেকে ১ হাজার ২০০ মণ লবণ উৎপাদন করেছেন তিনি। তবে মাঠে উৎপাদিত লবণ নিয়ে হতাশ তিনি। কারণ, এক সপ্তাহ ধরে প্রতি মণ লবণের দাম ৬০ টাকা কমে নেমে এসেছে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায়। প্রতি কেজিতে লবণের দাম পড়ছে পাঁচ টাকারও কম। গত শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন কথা হয় লবণচাষি মুমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসে লবণ বিক্রি হয় ২৪০ টাকায়। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দাম ১৮০-১৮৫ টাকায় নেমে এসেছে। তাতে প্রতি মণ লবণের বিপরীতে চাষিদের ১৭০ টাকার মতো লোকসান হচ্ছে। কারণ, প্রতি মণ লবণ উৎপাদনের বিপরীতে...
খুলনার ডুমুরিয়ায় গত বছরের মতো এবারও শজিনার ভালো ফলন হয়েছে। পতিত এবং লবণাক্ত এলাকায় বিনা খরচে শজিনা আবাদ করে ভালো মুনাফা করছেন কৃষক। এতে শজিনা চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপক আকারে শজিনা আবাদ হচ্ছে। এতে ‘শজনের উপজেলা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ডুমুরিয়া। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর শজিনা বিক্রি করে চাষিরা ১১ কোটি টাকা আয় করেছে। ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক-কৃষানিরা। এ কারণে এবার আরও বেশি জমিতে শজিনা আবাদ করেছেন তারা। চলতি মৌসুমে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে শজিনা চাষ হয়েছে। ব্যাপক ফলনও হয়েছে। এতে এবার শজনে উৎপাদন এক হাজার টন ছাড়িয়ে যাবে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা। বর্তমানে উপজেলার ১২৬টি গ্রামে ব্যাপক আকারে শজিনা আবাদ করা হচ্ছে। শজিনা চাষিদের ভাষ্য, শজিনা আবাদে সার, কীটনাশক ও সেচ খরচ নেই।...
বরিশাল বিভাগের নদনদীতে লবণাক্ততার পরিমাণ দ্রুতগতিতে বাড়ছে। মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের গবেষণার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের অন্তত ২০টি নদীর পানি প্রায় শতভাগ লবণাক্ত হয়ে পড়েছে। অথচ ১০ বছর আগেও এ সংখ্যা ছিল চারটি। এমন পরিস্থিতিতে লবণাক্ত পানির প্রভাবে এরই মধ্যে বিভাগে ৫২ ভাগ ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে ফসল উৎপাদন। আসছে দিনগুলোয় উৎপাদন আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বরিশাল মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, সেচের জন্য নদীর পানিতে ০ দশমিক ৭ ডিএস পার মিটার এবং মাটিতে ২ ডিএসের নিচে পার মিটার লবণাক্ততা থাকতে হয়। কিন্তু সম্প্রতি চালানো গবেষণায় দক্ষিণাঞ্চলের নদীর পানিতে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ ডিএস পার মিটার ও মাটিতে সর্বোচ্চ ২৫ ডিএস পার মিটার লবণাক্ততা পাওয়া গেছে। আগে সাগর সংলগ্ন নদীতে...