লবণের দাম নেমেছে কেজি পাঁচ টাকায়, গর্তে সংরক্ষণ
Published: 9th, February 2025 GMT
কক্সবাজারের সাগরদ্বীপ কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং এলাকার চাষি মুমিনুল ইসলাম (৪৫) এবার ৬ কানি (কানিতে ৪০ শতক) জমিতে লবণ চাষ করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লবণের উৎপাদনও ভালো হচ্ছে। গত শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ৬ কানি জমি থেকে ১ হাজার ২০০ মণ লবণ উৎপাদন করেছেন তিনি। তবে মাঠে উৎপাদিত লবণ নিয়ে হতাশ তিনি। কারণ, এক সপ্তাহ ধরে প্রতি মণ লবণের দাম ৬০ টাকা কমে নেমে এসেছে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায়। প্রতি কেজিতে লবণের দাম পড়ছে পাঁচ টাকারও কম।
গত শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন কথা হয় লবণচাষি মুমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসে লবণ বিক্রি হয় ২৪০ টাকায়। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দাম ১৮০-১৮৫ টাকায় নেমে এসেছে। তাতে প্রতি মণ লবণের বিপরীতে চাষিদের ১৭০ টাকার মতো লোকসান হচ্ছে। কারণ, প্রতি মণ লবণ উৎপাদনের বিপরীতে চাষিদের খরচ হয় প্রায় ৩৫০ টাকা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে চাষিদের পথে বসতে হবে।
দফায় দফায় লবণের দাম কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে মুমিনুল ইসলাম বলেন, মধ্যস্বত্বভোগী ও কার্গো বোটের মালিকেরা সিন্ডিকেট করে লবণের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। কুতুবদিয়ার চার হাজারের বেশি চাষি লবণ চাষ করেন। সিন্ডিকেটের বাইরে গিয়ে লবণ বিক্রির সুযোগ নেই। উৎপাদিত লবণ সমুদ্রপথে কার্গো বোটে করেই ঢাকা-চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ-খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠাতে হয়।
উত্তর ধুরংয়ের পাশের ইউনিয়ন লেমশীখালীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাশাপাশি দুটি গ্রাম হাজারীপাড়া ও নুইন্যাঘোনা। দুই গ্রামের চার পাশে অন্তত ৮০০ একর জমিতে উৎপাদিত হচ্ছে লবণ। মাঠজুড়ে সাদা লবণের শতাধিক স্তূপ চোখে পড়ে। হাজারীপাড়ায় ৭ কানি জমিতে লবণ চাষ করছেন স্থানীয় চাষি শফি আলম। গত দুই মাসে তিনি ১ হাজার ৩০০ মণ লবণ উৎপাদন করেন। তিনি বলেন, গত বছর এই সময়ে প্রতি মণ লবণ বিক্রি করেছিলেন ৪৫০ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকায়। লবণের দাম না বাড়লে অনেক চাষি উৎপাদন বন্ধ করে দেবেন।
লবণ মজুতের জন্য খনন করা হয়েছে পুকুর আকৃতির গর্ত.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পিরোজপুরে মাকে গাছে বেঁধে ঘরে আগুন দিল ছেলে
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে নিজের মাকে সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে বসতঘর পেট্রোল দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে ছেলে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার প্রত্যন্ত চরনী পত্তাশী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ইন্দুরকানীর চরনী পত্তাশী গ্রামের জয়নাল কাজীর ছেলে আল আমিন পরকীয়া ও মাদকাসক্তের কারনে সেনাবাহিনী থেকে ২০২৪ সালে চাকরিচ্যুত হন। আল আমিনের চারিত্রিক সমস্যার কারনে তার দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যান। এ ঘটনায় আল আমিন তার বাবাকে দোষারোপ করতে থাকেন। গতকাল রোববার সকালে আল আমিন চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি এসে তার বাবাকে মারার জন্য দা নিয়ে ঘুরতে থাকেন। এমন অবস্থায় এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ বাড়িতে গেলে আল আমিন পালিয়ে যান। এক পর্যায়ে পুলিশ চলে গেলে আল আমিন উত্তেজিত হয়ে তার মাকে সুপারি গাছের সঙ্গে বাঁধেন। পেট্রল দিয়ে বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় আল আমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ইন্দুরকানী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হোসেন জানান, চরনী পত্তাশী গ্রামে মাকে বেধে ছেলে বসতঘর আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলে আল আমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করবেন বলে জানান ওসি।