2025-03-12@01:43:28 GMT
إجمالي نتائج البحث: 10

«ব দ যযন ত র»:

    মুলা, শশা, গাজর এগুলোকে আমরা সবজি হিসেবে চিনি। কিন্তু বিশ্বের ১১জন বদকের একটি দল আছে যে দলটি ‘দ্য ভেজিটেবল অর্কেস্ট্রা’ নামে পরিচিত। এই দলের সদস্যরা সবজিতে সুর তুলতে পারেন। তারা বিশ্বাস করেন, যেকোন কিছুতে সুর সৃষ্টি করা সম্ভব। তাদের বাদ্যযন্ত্রের তালিকায় রয়েছে মুলা, গাজর, শসা, বেগুন, কুমড়া মতো সবজি।  ‘দ্য ভেজিটেবল অর্কেস্ট্রা’ দলটি গঠিত হয় ১৯৯৮ সালে, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায়। গণমাধ্যমের তথ্য, এই বাদক দলটি এ পর্যন্ত ৩৪৪টি কনসার্টে তাদের বিশেষভাবে তৈরি বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েছে।  ভেজিটেবল অর্কেস্ট্রার ওয়েবসাইটের তথ্য, এই দলটি বিশ্বাস করে যে তারা যে ধ্বনি তৈরি করতে পারে, সেই ধ্বনি অন্য কোনো বাদ্যযন্ত্র দিয়ে (সহজে) করা সম্ভব নয়। এগুলো থেকে কখনও প্রাণীদের মতো আওয়াজ বের হয়, কখনো কখনো একেবারে বিমূর্ত ধ্বনি।’ বাদক দলটি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন...
    যেকোনো কিছু থেকেই সুর সৃষ্টি করা সম্ভব, নিজেদের এই বিশ্বাস শ্রোতাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে অভিনব এক কাজ করে যাচ্ছে একটি বাদক দল। তারা তাদের ট্যুরে শুধু সবজি দিয়ে তৈরি বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে চলেছে। প্রতিবারই একেবারে নতুন ও সতেজ বাদ্যযন্ত্র।গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাতে ওই বাদক দল দিনের পর দিন এ কাজ করে চলেছে এবং সফল হয়েছে। দলটির নাম ‘দ্য ভেজিটেবল অর্কেস্ট্রা’। ১১ সদস্যের বাদক দলটি গঠিত হয় ১৯৯৮ সালে, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায়।বাদক দলটি এ পর্যন্ত ৩৪৪টি কনসার্টে তাদের বিশেষভাবে তৈরি বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েছে। বাদ্যযন্ত্রগুলো মুলা, গাজর, শসা, বেগুন, কুমড়া ও লিকের মতো সবজি দিয়ে তৈরি।ভেজিটেবল অর্কেস্ট্রার ওয়েবসাইটে এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আমরা যে ধ্বনি তৈরি করতে পারি, সেই ধ্বনি অন্য কোনো বাদ্যযন্ত্র দিয়ে (সহজে) করা সম্ভব নয়। আপনি শুনেই পার্থক্য...
    বাংলা পপ গানের সম্রাট আজম খান স্বপ্ন দেখিয়েছেন দেশের তরুণদের। পপ গানকে লালন করেছেন, শ্রোতা তৈরি করেছেন, বাংলা এই পপ গানের ধারা যেন সময়ের সঙ্গে প্রবহমান থাকে, সেই পথও তৈরি করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর বঞ্চিত মানুষের গান করতে শুরু করেন। তাঁর গানে আসতে থাকে সচেতনতা, দেশপ্রেম, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়, তরুণদের উদ্বুদ্ধকরণ। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও চলতে থাকে তাঁর গান। সে সময় তিনি গেয়েছিলেন ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘হাইকোর্টের মাজারে’, ‘এত সুন্দর দুনিয়ায়’, ‘অভিমানী’, ‘অনামিকা’, ‘পাপড়ি’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘আমি যারে চাইরে’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘ও চাঁদ সুন্দর’, ‘ও রে সালেকা ও রে মালেকা’, ‘জীবনে কিছু পাব না রে’, ‘বাধা দিয়ো না’সহ অনেক জনপ্রিয় গান।১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আজম খানের জন্ম। মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই...
    ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শড়াতলা গ্রামে বাদ্যযন্ত্র, হকার ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ নিষিদ্ধ করে দেয়ালে সাঁটানো সব ‘নোটিশ’ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ওই ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) ওই গ্রামে যান। পরে ওই নোটিশ সরিয়ে ফেলা হয়।এ বিষয়ে ইউএনও তারিক-উজ-জামান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তা তদন্ত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আর ওই নোটিশে তাঁর মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করায় তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি শড়াতলা গ্রামে অসুস্থ এক ব্যক্তির বাড়ির পাশে উচ্চ স্বরে মাইক বাজিয়ে আনন্দ করছিলেন একদল তরুণ-যুবক। নিষেধ করলেও তাঁরা মাইক বন্ধ করেননি। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। এ ছাড়া গ্রামের এক দরিদ্র দম্পতির সন্তান জন্মের পর তাঁদের বাড়িতে এসে জোর করে টাকা...
    ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ফলসী ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রামে বাদ্যযন্ত্র, হকার ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ নিষিদ্ধ করে দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো সব নোটিশ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওই গ্রাম পরির্দশনে যান। এর পর সেখান থেকে নোটিশগুলো সরিয়ে ফেলা হয়। পরে নোটিশে সই করা ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে ভুল স্বীকার করেন। শড়াতলা গ্রামের কয়েক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় দুই মাস আগে গ্রামের কিছু যুবক উচ্চ স্বরে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে অনুষ্ঠান করছিল। পাশেই অসুস্থ এক বৃদ্ধ এতে অস্বস্তি বোধ করছিলেন। তাই গ্রামের কয়েকজন ওই যুবকদের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। ঘটনার পর আলোচনা করে সমাজপতিরা সিদ্ধান্ত নেন, গ্রামে বাদ্যযন্ত্র, হকার ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।  শড়াতলা মসজিদ...
    ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ফলসী ইউনিয়নের একটি গ্রাম শড়াতলা। এক সপ্তাহ ধরে গ্রামের দেয়ালে দেয়ালে একটি নোটিশ দেখা যাচ্ছে। এতে লেখা, শড়াতলা গ্রামে সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র ও হকার নিষিদ্ধ। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও গ্রামটিতে ঢুকতে পারবেন না। এই নিয়ম অমান্য করলে গুনতে হবে জরিমানা। সমাজপতিদের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ জেলা-উপজেলার সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ। তারা বলছেন, এটা বেআইনি। তবে এটিকে ‘সামাজিক অবক্ষয় রোধে ইতিবাচক পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখছেন কেউ কেউ। গতকাল সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, শড়াতলা গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে ১০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের ফটোকপি সাঁটানো। স্ট্যাম্পের ওপর অংশে বড় করে লেখা, ‘সকল প্রকার বাদ্যযন্ত্র ও হকার নিষিদ্ধকরণের নোটিশ’। ভেতরে লেখা রয়েছে, ‘গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে জানানো যাচ্ছে, সকল প্রকার বাদ্যযন্ত্র নিষিদ্ধ করা হলো। যারা বাদ্যযন্ত্র বাজাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই...
    যন্ত্র নেই, যন্ত্রী নেই। আলোর পরোয়া নেই। আছে দার্শনিক ঈক্ষণ। আছে রাজনীতি, শ্রেণি-সচেতনতা আর সুরের বহুমাত্রিক চলন। এসব সামান্য উপকরণে খালি গলায় তৈরি করতেন অসামান্য ইন্দ্রজাল। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের সেই কণ্ঠ থেমে গেছে। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে গতকাল শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। রবীন্দ্র সদনে গতকাল শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন নাট্যকার ও মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ‘প্রতুলদার স্বাতন্ত্র্য ছিল, কোনো বাদ্যযন্ত্র ছাড়া দিব্যি গান গাইতেন। এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেতেন, পাখি তো গান গায়, তার কি কোনো বাদ্যযন্ত্র লাগে? কোনো মিউজিশিয়ান লাগে?’ প্রতুলের জন্ম ১৯৪২ সালে বাংলাদেশের বরিশালে। বাবা প্রভাতচন্দ্র ছিলেন স্কুলশিক্ষক, মা বীণাপাণি মুখোপাধ্যায় গৃহবধূ। দেশভাগের পর পরিবারের সঙ্গে চলে আসেন পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চুঁচুড়ায়। অল্প বয়স থেকে কবিতায় সুর দিতেন প্রতুল। কবি মঙ্গলচরণ...
    বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় বেশ কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। ৮৩ বছর বয়সী এই সংগীতশিল্পীর প্রয়াণে শোক নেমে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ তথা বাংলা ভাষাভাষী দুই দেশের মানুষের মাঝে। তার চলে যাওয়া নিয়ে শোকে মুহ্যমান সংগীতাঙ্গনের সবাই। তার সৃষ্টিকর্মকে স্মরণ করে আবেগতাড়িত হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র, কবীর সুমন, নাট্যকার ও চিত্রসাংবাদিক অশোক মজুমদারসহ অনেকেই। প্রতুল মুখোপাধ্যায় স্মরণে নাট্যকার ও পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ শিক্ষা ও বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, প্রতুলদা বাংলা গানের কাছে, বাঙালির কাছে অমর। প্রতুলদার থিওরি ছিল, কোনো মিউজিক্যাল বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই তিনি দিব্যি গান গাইতেন। প্রতুলদাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করায়, তিনি বলেছিলেন- পাখি তো গান গায়, তার কি কোনো বাদ্যযন্ত্র লাগে? কোনো মিউজিশিয়ান লাগে? তবে বড় আক্ষেপ, একুশে ফেব্রুয়ারিতে আর তার...
    রাজশাহীর গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজের বর্ষপূর্তির আয়োজনে নামাজের সময় গানবাজনা করার অভিযোগে হামলা চালানো হয়েছে। ১৫-২০ জন শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হামলা চালায়। এ সময় ৬০-৭০টি চেয়ার ও বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করা হয়।   এছাড়া কলেজের ছাত্রীদের পিঠা মেলার স্টলেও হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। লুট করা হয়েছে পিঠাও। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তসলিম উদ্দিন বলছেন, যখন হামলা চালানো হয়, তখন নামাজ চলছিল না। হামলার আগে জোহর ও আসরের সময় নামাজের জন্য দুই দফা অনুষ্ঠানের বিরতি দেওয়া হয়।  কারা হামলা চালিয়েছেন, এ প্রশ্নে ‘আমি কাউকে চিনি না’ জবাব দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তিনি জানান, শনিবার তাদের কলেজের ৩০ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান ছিল। সকাল থেকে অনুষ্ঠান চলছিল। মহিলা কলেজ বলে অনুষ্ঠানে শিক্ষক ও আমন্ত্রিত অতিথিদের বাইরে কোনো পুরুষ...
    সুনির্মল দাস বাপী, নিত্যনতুন বাদ্যযন্ত্রের কারিগর। গোপালগঞ্জ জেলার গান্ধিয়াশুর গ্রামে ১৯৯৩ সালে তাঁর জন্ম। স্কুলশিক্ষক বাবা সুনীল কুমার দাসের কাছ থেকে বরাবরই অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। সুনীলও গান-বাজনায় ছিলেন পারদর্শী। ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে সংগীতচর্চার পরিবেশ পেয়েছেন সুনির্মল দাস। বাবার কাছ থেকে শেখেন একতারা বাজানো। কাকার কাছ থেকে ঢাক বাজানো। প্রতিবেশী বর্ষীয়ান কারুশিল্পী বিজয় পাণ্ডের কাছ থেকে প্রথমে দোতারা, বেহালাসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র তৈরি করা শেখেন। কিশোর বয়স থেকেই সুনির্মল সামনে যা পান, তা দিয়েই সুরের খেলায় মেতে ওঠেন। বানাতে থাকেন একের পর এক নিত্যনতুন বাদ্যযন্ত্র। লিখেছেন শিশির কুমার নাথ ‘আমার ছিঁড়ে গেছে একতারার তার হয় না গাওয়া বাউল গান।’ সাধের একতারার তার ছিঁড়ে গেলে কি আর বাউল গান হয়? গানের কথায় তো প্রশ্নের জবাব রেখে গেছেন সাধক বাউল। তা তো জানা ছিল না...
۱