Samakal:
2025-01-31@11:53:18 GMT

শত বাদ্যের কারিগর

Published: 24th, January 2025 GMT

শত বাদ্যের কারিগর

সুনির্মল দাস বাপী, নিত্যনতুন বাদ্যযন্ত্রের কারিগর। গোপালগঞ্জ জেলার গান্ধিয়াশুর গ্রামে ১৯৯৩ সালে তাঁর জন্ম। স্কুলশিক্ষক বাবা সুনীল কুমার দাসের কাছ থেকে বরাবরই অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। সুনীলও গান-বাজনায় ছিলেন পারদর্শী। ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে সংগীতচর্চার পরিবেশ পেয়েছেন সুনির্মল দাস। বাবার কাছ থেকে শেখেন একতারা বাজানো। কাকার কাছ থেকে ঢাক বাজানো। প্রতিবেশী বর্ষীয়ান কারুশিল্পী বিজয় পাণ্ডের কাছ থেকে প্রথমে দোতারা, বেহালাসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র তৈরি করা শেখেন। কিশোর বয়স থেকেই সুনির্মল সামনে যা পান, তা দিয়েই সুরের খেলায় মেতে ওঠেন। বানাতে থাকেন একের পর এক নিত্যনতুন বাদ্যযন্ত্র। লিখেছেন শিশির কুমার নাথ

‘আমার ছিঁড়ে গেছে একতারার তার হয় না গাওয়া বাউল গান।’ সাধের একতারার তার ছিঁড়ে গেলে কি আর বাউল গান হয়? গানের কথায় তো প্রশ্নের জবাব রেখে গেছেন সাধক বাউল। তা তো জানা ছিল না বাদ্যপাগল এক কিশোরের। বয়স সাত কী আট। সেই কিশোর বাবা-কাকার হাত ধরে ছুটে যেত পালাগান, কবিগান, হরিসভা কীর্তন, বাউল-ভাটিয়ালির আসরে। ছুঁয়ে দেখত বাদ্যের শরীর। একবার এলাকায় এক মহোৎসবে দূর-দূরান্ত থেকে শিল্পীরা এসেছেন। কিশোর ছেলেটির নজর পড়ল বাউলের একতারায়। আনাড়ি হাতের আঁচড়ে একতারার তার গেল ছিঁড়ে। বাউল বেশ বিরক্ত হলেন ছেলেটির ওপর। ছেলের এমন কাণ্ডে বাবাও বিব্রত। কিছুদিন পর একটি একতারা কিনে নিয়ে এলেন বাড়িতে। ছেলেকে বললেন, ‘দেখ বাজে কিনা?’ হাত ধরে শিখিয়ে দিলেন। সেই থেকে শুরু। তারপর হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, তাতেই ওঠে সুর-তাল। খেলনা কিংবা ফেলনা, সবেতেই কেবল সুর খোঁজা। বাদ্যের সে ভান্ডারে কখনও যোগ হয়েছে ঘটি-বাটি, কখনও নারকেলের মালা। কখনও বুনো বাঁশ কোকিলের কণ্ঠ নিয়ে বাজছে নির্ভুল। কখনও আবার সুর উঠেছে শামুক-ঝিনুকে। 
চার ভাই-বোনের মধ্যে সুনির্মল দাস বাপী সবার ছোট। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করার পর এলএলবি সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার রাহুথড় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত। 
একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে নারকেলের মালা দিয়েও যে একতারা তৈরি করা যায়, তা দেখে অনেকটা অবাক হন সুনির্মল। পরে বিভিন্ন লোকবাদ্য তৈরি ও বাজানোর তালিম নেন। বাসু বালার কাছ থেকে বেহালা, গোপাল শর্মার কাছ থেকে খমক, নিরঞ্জন ওস্তাদের কাছ থেকে সরোদ, অমিতোষ বিশ্বাস ও ভবানী শংকর বিশ্বাসের কাছ থেকে তবলা বাজানোর হাতেখড়ি নেন।
সুনির্মল দাসের তৈরি বাদ্যযন্ত্রগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো– একতারা, দোতারা, সারিন্দা, খমক খঞ্জনি, কাঠসেকার, চুড়িসেকার, মনসেকার, পাখিবাঁশি, বাঁশের বাঁশি, সরোদ, বেহালা, কাহন, ঢাক-ঢোল, তবলা, গোপীযন্ত্র, জলতরঙ্গ, কোকিলের ডাক, সানাই, প্রেমজুড়ি, রাবনবীণা, পাখওয়াজ, নাল, ডুগডুগি; বাঁশ থেকে তৈরি ফুরাংফাং, চটা, মোহনবাঁশি; নারকেলের মালা থেকে একতারা, ম্যাচবক্স, বীণ, মেরাকাচ, শিঙা, কাঠের ঘণ্টা, অ্যাম্বুলেন্স বাঁশি প্রভৃতি। এর প্রতিটি যন্ত্র বাঁজাতেও পারেন। নিজের খেয়ালে টিউন করেন। বললেন, ‘বাজারে প্রচলিত একতারা তো টেনটেন করে। আমারটার সুর অনেক ভরাট, গম্ভীর। আমার বানানো জলতরঙ্গের সুরে একটা কোমলতা আছে, একটা শীতল অনুভূতি আছে; ওটা সচরাচর পাবেন না।’ বাপী আরও বলেন, ‘আমি যেখানে যাই, সেখানেই বাজানোর জন্য নতুন কিছু পাওয়া যায় কিনা খোঁজ করি। তেমন কিছু পেলে সংগ্রহ করি। হাতের কাছের জিনিস নিয়ে সুর-তালের খেলা করি। নতুন কিছু আবিষ্কারের চেষ্টা করি। পাড়া-প্রতিবেশীরাও প্রশ্রয় দেয় খুব। কেউ একটা নারকেলের মালা অথবা লাউয়ের খোল পেলেও রেখে দেয় আমার জন্য।’
জানার আগ্রহ হলো ব্যতিক্রমী পাখিবাঁশিটি নিয়ে। বাপী জানালেন, একবার তিনি বইমেলায় গিয়েছেন। সেখানে এক লোক সিরামিকের বাঁশি বিক্রি করছেন। পানি ভরে ফুঁ দিলে পাখির ডাকের মতো শব্দ হয়। ১০০ টাকা দিয়ে কিনলেন বাঁশিটি। বাজে চমৎকার। হাত থেকে পড়লে তো ভেঙে যাবে, আবার দামও বেশি। ভাবলেন এমন বাঁশি নিজে বানানো যায় কিনা। যেই ভাবনা, সেই কাজ। হাতের কাছে আছে একটি নাকের ড্রপ আর ললিপপ চকলেটের পাইপ। খানিকক্ষণ চেষ্টায় হয়ে গেল শিসবাঁশি। পানি ভরে ফুঁ দিলে পাখির ডাকই শোনা যায়। 
প্রতিবেশী অমূল্য দাদুর কাছে দেখেন শামুকযন্ত্র। তিনি সুর তুলছিলেন যন্ত্রটি দিয়ে। দাদুকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কোথা থেকে পেয়েছেন?’ তিনি বললেন, ‘এটি আমি ছোটবেলা থেকে নিজেই শিখেছি।’ তারপর তাঁর কাছ থেকে শিখলেন শামুক দিয়ে বাদ্য তৈরি। সুর তোলা যায় ম্যাচ বাক্সেও। এটা জানতে পেরে ম্যাচ বাক্স বা দেশলাই দিয়ে বাজানোর চেষ্টা করেন বাপী। স্থানীয় শহীদ মিয়া ও পরিতোষ বিশ্বাসের কাছ থেকে শিখেছেন এ যন্ত্রে সুর তোলার পদ্ধতি। 
এভাবেই বিচিত্র সব বাদ্যযন্ত্র তৈরি হয়েছে সুনির্মলের সুনিপুণ হাতে। তাঁর ছোট ঘরটি যেন লোকবাদ্যের এক বিরল সংগ্রহশালা। সব জায়গায়তেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা বাদ্যযন্ত্র এবং তা তৈরির উপকরণ। সুনির্মল একসময় ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করতেন। কখনও অভিনয় করে লোক হাসিয়ে উপার্জন করতেন। সেই টাকা জমিয়ে বাদ্য বানাতেন। এখন অবশ্য রুটি-রুজির ব্যবস্থা হয়েছে। তবে যৌথ পরিবারে অভাব তো আর পিছু ছাড়ে না। মাঝে মধ্যে দু’একটা বাদ্য বিক্রি হয়। তাতে খুব লাভ হয় না। নিজের তৈরি এসব বাদ্যযন্ত্র নিয়ে প্রদর্শনী করেছেন একাধিকবার। ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উদীচী সম্মেলনে প্রদর্শনী করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। একই বছর গোপালগঞ্জেও লোকজ বাদ্য প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন জায়গায় বাদ্য প্রদর্শনীতে অংশ নেন। প্রদর্শনীর পাশাপাশি এসব বাদ্য বাজিয়েও মানুষকে শোনান তিনি। বিলম্বিত বিরহে নামক একটি নাটকে খমক বাজিয়ে অভিনয়ও করেছেন। ভবিষ্যতে সাহায্য-সহযোগিতা পেলে নিজ বাড়িতে বাদ্যযন্ত্রের একটি সংগ্রহশালা গড়ে তোলার আশা ব্যক্ত করেন সুনির্মল দাস বাপী। হারিয়ে যাওয়া বাদ্যযন্ত্রের সুর শোনাতে চান নতুন করে। এসবের মধ্য দিয়ে যেন জোড়া লাগাতে চান শৈশবে ছিঁড়ে ফেলা বাউলের একতারাটি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রদর শ একত র

এছাড়াও পড়ুন:

তুফানের পর বনলতা সেন


‘আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন/ আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন’– কবি জীবনানন্দ দাশের সুবিখ্যাত কবিতা ‘বনলতা সেন’। এ কবিতা নিয়ে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের কোনো অন্ত নেই। কে এই সুন্দরী নারী? কী তাঁর পরিচয়? নাটোরের বনলতা সেন নামের কোনো মায়াবতীর সঙ্গে কবির কি আদৌ পরিচয় ছিল? বনলতা সেন বিষয়ে আজীবন এই নীরবতা বজায় রেখেছেন কবি; মনের অজান্তেও কখনও কারও কাছে বনলতা সেনকে নিয়ে বলেননি কোনো কথা। কবির চরিত্র অনাবিষ্কৃত থাকলেও এবার পর্দায় আসছে ‘বনলতা সেন’ নামে একটি সিনেমা। মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের পরিচালনায় এতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী ও মডেল মাসুমা রহমান নাবিলা। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরই এ সিনেমা মুক্তি পাবে। 

বনলতা সেনের খোঁজে...
নাবিলার সর্বশেষ অভিনীত সিনেমা ‘তুফান’ মুক্তি পেয়েছে গত বছর ঈদুল আজহায়। রায়হান রাফী পরিচালিত এ সিনেমায় তাঁর অভিনীত ‘জুলি’ চরিত্রটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে। শাকিব খানের সঙ্গে তাঁর নতুন রসায়নও দর্শক গ্রহণ করেছেন। তাদের খুনসুটি, ঝগড়া, অভিমান-অনুযোগ, প্রেমের দৃশ্যগুলো দর্শককে বেশ আনন্দ দিয়েছে। এর আগে তিনি শেষ করেছেন অনুদানের সিনেমা ‘বনলতা সেন’-এর কাজ। একেবারে নীরবেই সিনেমার দৃশ্যধারণ হয়েছে । এটি তাঁর অভিনয় ক্যারিয়ারে একটি গুরুত্বপূর্ন কাজ বলে মনে করছেন তিনি।  সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে নাবিলা বলেন, ক্যারিয়ারের শুরু থেকে বেশ বাছবিচার করে সিনেমার কাজে হাত দিয়েছি। আমার অভিনীত তৃতীয় সিনেমা ‘বনলতা সেন’-এর গল্প অসাধারণ।  নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল বেশ যত্ন নিয়ে কাজটি শেষ করেছেন। অনেক বছর ধরে সিনেমার কাজ হয়েছে। আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাই না। আমি চাই, দর্শক পর্দায় কাজটি দেখুক। গল্প ও চরিত্র মিলে সিনেমাটি দর্শকের ভালো লাগবে– এ আশা করাই যায়।

একটি সূত্রে জানা গেছে,শুরুতে নাবিলাকে নির্মাতা শুধু চরিত্রের সারসংক্ষেপ দিয়েছিলেন। পরে পুরো স্ক্রিপ্ট পড়তে চান তিনি। নির্মাতা তাঁকে প্রথমে কম গুরুত্বপূর্ন চরিত্রের কথা বলছিলেন। কিন্তু বিরতির পর ওই ধরনের চরিত্র দিয়ে ফিরতে চাইছিলেন না এই অভিনেত্রী। 

অনেক দিন পর নাবিলাকেই ডাকলেন নির্মাতা। নিলেন অডিশন। পরে চরিত্রটি নাবিলার জন্য গুরুত্বপূর্ন চরিত্রটিই বরাদ্দ হলো। নাম শুনে অনেকেই মনে করছেন এটি সাহিত্যনির্ভর কাজ। কেউ কেউ বলেছেন,বনলতা সেন কবিতার ছায়া থাকবে সিনেমায়। বিষয়টি নিয়ে নাবিলা বলেন, ‘স্ক্রিপ্টে যখন চোখ রাখি তখনই মনে হয়েছিল, আমি কোনো সাহিত্য পড়ছি। আসলে এটি সাহিত্যনির্ভর কাজ নয়। বনলতা সেন কে, এটি তো আমাদের জানা নেই। কাল্পনিকই বলা চলে। কেউ কখনও তাকে দেখেননি। নির্মাতা যেভাবে বনলতা সেনকে কল্পনা করেছেন, সেভাবেই সিনেমায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সিনেমাটিকে আসলে কোনো জনরায় ফেলা যায় না। নির্মাতা নিজের মতো করে গল্প লিখেছেন। এটি একটি রহস্যময় সিনেমা। অনেক ইতিহাস আছে এতে। বনলতা সেন কে তা সিনেমা দেখার পর বোঝা যাবে। 

রান্নার আয়োজন 
অভিনয়, উপস্থাপনা, মডেলিংয়ে বছরজুড়েই ব্যস্ত সময় কাটে নাবিলার। মাঝে সিনেমার কাজে বেশি মনোযোগী ছিলেন তিনি। এ কারণে উপস্থাপনায় একেবারেই দেখা যায়নি এ অভিনেত্রীকে। ১০ বছর পর ফিরলেন উপস্থাপনায়। ‘রাঁধুনী রান্নাঘর, বাংলাদেশের সেরা ১০০ রেসিপি’ ও ‘স্টারশিপ ফিউশন কিচেন’ নাম দুটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন তিনি। গত বছরের শেষ দিকে আবারও ‘রাঁধুনী রান্নাঘর, বাংলাদেশের সেরা ১০০ রেসিপি’ নিয়ে ফিরেছেন নাবিলা।

‘রাঁধুনী রান্নাঘর, বাংলাদেশের সেরা ১০০ রেসিপি’ উপস্থাপনা প্রসঙ্গে নাবিলা বলেন, ‘বেশ বিরতির পর রান্নার অনুষ্ঠান দিয়ে উপস্থাপনায় ফিরতে পেরে ভালোই লাগছে। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে অনেক ধরনের অনুষ্ঠান প্রচার হচ্ছে। নানা অনুষ্ঠানের ভিড়ে এর আইডিয়া ব্যতিক্রম। পাকা ১০০ রাঁধুনির রেসিপি দিয়ে সাজানো হয়েছে এ আয়োজন। মাছারাঙা টেলিভিশনে এর ১৩ পর্ব প্রচার হয়েছে। বেশ সাড়া পাচ্ছি আয়োজনটিতে। ‘স্টারশিপ ফিউশন কিচেন’ কাজটি পছন্দের বলে জানিয়েছেন নাবিলা। একটি দৈনিক পত্রিকার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও চরকিতে রান্নার এ আয়োজন দেখা যাচ্ছে। রান্নার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা বেশ উপভোগ করছেন বলে জানান এ অভিনেত্রী।

কাজের অবসরে
শুটিং না থাকলেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন নাবিলা। তিনি বলেন, ‘আমি ঘরকুনো মেয়ে। ঘরেই বেশি মন টেকে। যখন শুটিং করি, তখনও সন্তানকে সময় দিতে পারছি না বলে অপরাধবোধ কাজ করে। ওই সময় সন্তানের সঙ্গ খুব মিস করি। সংসার সামলে সময় যে কখন চলে যায়, টেরই পাই না।’ v

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অর্পিতা নন, ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শিকার সালমানের আরেক বোন
  • সঙ্গীর সঙ্গে মনোমালিন্য হলে করণীয়
  • ঈশ্বর ও মুনিয়া
  • আমাকে ছেড়ে দেন, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টানাটানি কইরেন না: পরীমণি
  • তুফানের পর বনলতা সেন
  • যেভাবে আদা খেলে ব্রণ দূর হয়