সুনির্মল দাস বাপী, নিত্যনতুন বাদ্যযন্ত্রের কারিগর। গোপালগঞ্জ জেলার গান্ধিয়াশুর গ্রামে ১৯৯৩ সালে তাঁর জন্ম। স্কুলশিক্ষক বাবা সুনীল কুমার দাসের কাছ থেকে বরাবরই অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। সুনীলও গান-বাজনায় ছিলেন পারদর্শী। ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে সংগীতচর্চার পরিবেশ পেয়েছেন সুনির্মল দাস। বাবার কাছ থেকে শেখেন একতারা বাজানো। কাকার কাছ থেকে ঢাক বাজানো। প্রতিবেশী বর্ষীয়ান কারুশিল্পী বিজয় পাণ্ডের কাছ থেকে প্রথমে দোতারা, বেহালাসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র তৈরি করা শেখেন। কিশোর বয়স থেকেই সুনির্মল সামনে যা পান, তা দিয়েই সুরের খেলায় মেতে ওঠেন। বানাতে থাকেন একের পর এক নিত্যনতুন বাদ্যযন্ত্র। লিখেছেন শিশির কুমার নাথ
‘আমার ছিঁড়ে গেছে একতারার তার হয় না গাওয়া বাউল গান।’ সাধের একতারার তার ছিঁড়ে গেলে কি আর বাউল গান হয়? গানের কথায় তো প্রশ্নের জবাব রেখে গেছেন সাধক বাউল। তা তো জানা ছিল না বাদ্যপাগল এক কিশোরের। বয়স সাত কী আট। সেই কিশোর বাবা-কাকার হাত ধরে ছুটে যেত পালাগান, কবিগান, হরিসভা কীর্তন, বাউল-ভাটিয়ালির আসরে। ছুঁয়ে দেখত বাদ্যের শরীর। একবার এলাকায় এক মহোৎসবে দূর-দূরান্ত থেকে শিল্পীরা এসেছেন। কিশোর ছেলেটির নজর পড়ল বাউলের একতারায়। আনাড়ি হাতের আঁচড়ে একতারার তার গেল ছিঁড়ে। বাউল বেশ বিরক্ত হলেন ছেলেটির ওপর। ছেলের এমন কাণ্ডে বাবাও বিব্রত। কিছুদিন পর একটি একতারা কিনে নিয়ে এলেন বাড়িতে। ছেলেকে বললেন, ‘দেখ বাজে কিনা?’ হাত ধরে শিখিয়ে দিলেন। সেই থেকে শুরু। তারপর হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, তাতেই ওঠে সুর-তাল। খেলনা কিংবা ফেলনা, সবেতেই কেবল সুর খোঁজা। বাদ্যের সে ভান্ডারে কখনও যোগ হয়েছে ঘটি-বাটি, কখনও নারকেলের মালা। কখনও বুনো বাঁশ কোকিলের কণ্ঠ নিয়ে বাজছে নির্ভুল। কখনও আবার সুর উঠেছে শামুক-ঝিনুকে।
চার ভাই-বোনের মধ্যে সুনির্মল দাস বাপী সবার ছোট। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করার পর এলএলবি সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার রাহুথড় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত।
একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে নারকেলের মালা দিয়েও যে একতারা তৈরি করা যায়, তা দেখে অনেকটা অবাক হন সুনির্মল। পরে বিভিন্ন লোকবাদ্য তৈরি ও বাজানোর তালিম নেন। বাসু বালার কাছ থেকে বেহালা, গোপাল শর্মার কাছ থেকে খমক, নিরঞ্জন ওস্তাদের কাছ থেকে সরোদ, অমিতোষ বিশ্বাস ও ভবানী শংকর বিশ্বাসের কাছ থেকে তবলা বাজানোর হাতেখড়ি নেন।
সুনির্মল দাসের তৈরি বাদ্যযন্ত্রগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো– একতারা, দোতারা, সারিন্দা, খমক খঞ্জনি, কাঠসেকার, চুড়িসেকার, মনসেকার, পাখিবাঁশি, বাঁশের বাঁশি, সরোদ, বেহালা, কাহন, ঢাক-ঢোল, তবলা, গোপীযন্ত্র, জলতরঙ্গ, কোকিলের ডাক, সানাই, প্রেমজুড়ি, রাবনবীণা, পাখওয়াজ, নাল, ডুগডুগি; বাঁশ থেকে তৈরি ফুরাংফাং, চটা, মোহনবাঁশি; নারকেলের মালা থেকে একতারা, ম্যাচবক্স, বীণ, মেরাকাচ, শিঙা, কাঠের ঘণ্টা, অ্যাম্বুলেন্স বাঁশি প্রভৃতি। এর প্রতিটি যন্ত্র বাঁজাতেও পারেন। নিজের খেয়ালে টিউন করেন। বললেন, ‘বাজারে প্রচলিত একতারা তো টেনটেন করে। আমারটার সুর অনেক ভরাট, গম্ভীর। আমার বানানো জলতরঙ্গের সুরে একটা কোমলতা আছে, একটা শীতল অনুভূতি আছে; ওটা সচরাচর পাবেন না।’ বাপী আরও বলেন, ‘আমি যেখানে যাই, সেখানেই বাজানোর জন্য নতুন কিছু পাওয়া যায় কিনা খোঁজ করি। তেমন কিছু পেলে সংগ্রহ করি। হাতের কাছের জিনিস নিয়ে সুর-তালের খেলা করি। নতুন কিছু আবিষ্কারের চেষ্টা করি। পাড়া-প্রতিবেশীরাও প্রশ্রয় দেয় খুব। কেউ একটা নারকেলের মালা অথবা লাউয়ের খোল পেলেও রেখে দেয় আমার জন্য।’
জানার আগ্রহ হলো ব্যতিক্রমী পাখিবাঁশিটি নিয়ে। বাপী জানালেন, একবার তিনি বইমেলায় গিয়েছেন। সেখানে এক লোক সিরামিকের বাঁশি বিক্রি করছেন। পানি ভরে ফুঁ দিলে পাখির ডাকের মতো শব্দ হয়। ১০০ টাকা দিয়ে কিনলেন বাঁশিটি। বাজে চমৎকার। হাত থেকে পড়লে তো ভেঙে যাবে, আবার দামও বেশি। ভাবলেন এমন বাঁশি নিজে বানানো যায় কিনা। যেই ভাবনা, সেই কাজ। হাতের কাছে আছে একটি নাকের ড্রপ আর ললিপপ চকলেটের পাইপ। খানিকক্ষণ চেষ্টায় হয়ে গেল শিসবাঁশি। পানি ভরে ফুঁ দিলে পাখির ডাকই শোনা যায়।
প্রতিবেশী অমূল্য দাদুর কাছে দেখেন শামুকযন্ত্র। তিনি সুর তুলছিলেন যন্ত্রটি দিয়ে। দাদুকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কোথা থেকে পেয়েছেন?’ তিনি বললেন, ‘এটি আমি ছোটবেলা থেকে নিজেই শিখেছি।’ তারপর তাঁর কাছ থেকে শিখলেন শামুক দিয়ে বাদ্য তৈরি। সুর তোলা যায় ম্যাচ বাক্সেও। এটা জানতে পেরে ম্যাচ বাক্স বা দেশলাই দিয়ে বাজানোর চেষ্টা করেন বাপী। স্থানীয় শহীদ মিয়া ও পরিতোষ বিশ্বাসের কাছ থেকে শিখেছেন এ যন্ত্রে সুর তোলার পদ্ধতি।
এভাবেই বিচিত্র সব বাদ্যযন্ত্র তৈরি হয়েছে সুনির্মলের সুনিপুণ হাতে। তাঁর ছোট ঘরটি যেন লোকবাদ্যের এক বিরল সংগ্রহশালা। সব জায়গায়তেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা বাদ্যযন্ত্র এবং তা তৈরির উপকরণ। সুনির্মল একসময় ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করতেন। কখনও অভিনয় করে লোক হাসিয়ে উপার্জন করতেন। সেই টাকা জমিয়ে বাদ্য বানাতেন। এখন অবশ্য রুটি-রুজির ব্যবস্থা হয়েছে। তবে যৌথ পরিবারে অভাব তো আর পিছু ছাড়ে না। মাঝে মধ্যে দু’একটা বাদ্য বিক্রি হয়। তাতে খুব লাভ হয় না। নিজের তৈরি এসব বাদ্যযন্ত্র নিয়ে প্রদর্শনী করেছেন একাধিকবার। ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উদীচী সম্মেলনে প্রদর্শনী করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। একই বছর গোপালগঞ্জেও লোকজ বাদ্য প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন জায়গায় বাদ্য প্রদর্শনীতে অংশ নেন। প্রদর্শনীর পাশাপাশি এসব বাদ্য বাজিয়েও মানুষকে শোনান তিনি। বিলম্বিত বিরহে নামক একটি নাটকে খমক বাজিয়ে অভিনয়ও করেছেন। ভবিষ্যতে সাহায্য-সহযোগিতা পেলে নিজ বাড়িতে বাদ্যযন্ত্রের একটি সংগ্রহশালা গড়ে তোলার আশা ব্যক্ত করেন সুনির্মল দাস বাপী। হারিয়ে যাওয়া বাদ্যযন্ত্রের সুর শোনাতে চান নতুন করে। এসবের মধ্য দিয়ে যেন জোড়া লাগাতে চান শৈশবে ছিঁড়ে ফেলা বাউলের একতারাটি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
লেনিন কেন এখনও জরুরি
আজ ২২ এপ্রিল, ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের জন্মদিন। ১৯১৭ সালে সংঘটিত রুশ বিপ্লবের অগ্রনায়ক লেনিন ছিলেন মার্ক্সের সফল উত্তরাধিকারী। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ইতিহাসের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। একটি পশ্চাৎপদ পুঁজিবাদী দেশে বিপ্লব সংঘটনের পথ বের করেন তিনি। চিন্তা ও প্রয়োগের মেলবন্ধন ঘটানোর দক্ষতাই ছিল তাঁর সাফল্যের অন্যতম কারণ। মার্ক্স সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের কথা বলেন। কিন্তু রাশিয়ার মতো দেশে যেখানে পুঁজিবাদের বিকাশ ঘটেনি, সেখানে শ্রমিক শ্রেণির নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক বিপ্লব করে নতুন পথ দেখালেন। লেনিনের এই গণতান্ত্রিক বিপ্লবের পথ ধরেই চীনসহ পিছিয়ে পড়া পুঁজিবাদী দেশে বিপ্লব হয়েছে। ইতিহাসের কোনো পর্বকেই লাফ দিয়ে ডিঙিয়ে যাওয়া যায় না। বিপ্লবকে ইতিহাসের ভেতর দিয়েই যেতে হয়– এটি ছিল লেনিনের শিক্ষা।
লেনিন দেখিয়েছেন রাষ্ট্রযন্ত্র কোন প্রক্রিয়ায় বল প্রয়োগ করে টিকে থাকে এবং শাসক শ্রেণির স্বার্থ রক্ষা করে। তাঁর রাষ্ট্রচিন্তা পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের ফ্যাসিস্ট রূপ বুঝতে সহায়তা করে। তিনি বল প্রয়োগের মাধ্যমে বুর্জোয়া রাষ্ট্রযন্ত্র উচ্ছেদের কথা বলেন। গ্রামসি বলেন, শুধু বল প্রয়োগ নয়; শাসক শ্রেণি সাংস্কৃতিক ও মতাদর্শিক আধিপত্য বজায় রাখার মধ্য দিয়েও টিকে থাকে। ব্যবস্থার পক্ষে সম্মতি উৎপাদন করে। ফুকোর মতে, ক্ষমতা শুধু রাষ্ট্রে কেন্দ্রীভূত নয়; সমাজের পরতে পরতে ছড়িয়ে থাকে। আধুনিক সমাজ শুধু বল প্রয়োগের মাধ্যমে শাসন করে না; তা মানুষের জীবন ও কর্তাসত্তার মনোজগৎ গঠনেরও নিয়ন্ত্রণ নেয়। ফুকো এর নাম দিয়েছেন বায়োপলিটিকস– জীবন ও মগজ দখল- নিয়ন্ত্রণের রাজনীতি। ফুকো ক্ষমতা কী করে কাজ করে তার বর্ণনা দিলেও ক্ষমতাকে কীভাবে প্রতিরোধ ও উচ্ছেদ করতে হয়, তা দেখাননি। সেটা দেখিয়েছেন লেনিন। তার মানে এই নয়, আমাদের বলশেভিক মডেলই অনুসরণ করতে হবে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্র নিবর্তনমূলক ও দুর্নীতিবাজ। গণতন্ত্রের লোভ দেখানো নির্বাচন, উন্নয়ন, ধর্মরাষ্ট্র, স্বর্গ– এসব ফ্যান্টাসি তৈরি করে রেখেছে। এসব ফ্যান্টাসি ভাঙতে হবে। আমাদের মুক্তির বিকল্প বয়ান তৈরি করতে হবে। মানুষের কাছে সেটা তুলে ধরতে পারলে বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব। বুর্জোয়া রাষ্ট্রের খোলনলচে না বদলে শুধু কিছু সংস্কার দিয়ে বিদ্যমান সংকটের সমাধান সম্ভব হবে না।
লেনিনের শিক্ষার একটা বড় দিক হলো, অসংগঠিত স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন দিয়ে ব্যবস্থার অবসান ঘটানো যায় না। এ জন্য চাই বিপ্লবী মতাদর্শ ও সুসংগঠিত রাজনৈতিক সংগঠন। যাকে তিনি বলেছেন বিপ্লবী পার্টি। লড়াইকে তিনি স্বতঃস্ফূর্ততার ওপর ছেড়ে না দিয়ে সচেতন সংগঠিত রাজনৈতিক লড়াই চালানোর কথা বলেন। শুধু জীবনদান আর অভ্যুত্থান করলেই হবে না; সেই অভ্যুত্থানের রাজনীতি ও শ্রেণি প্রশ্নটি পরিষ্কার থাকতে হবে। অভ্যুত্থান-উত্তর পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে অভ্যুত্থানকারী শক্তির সংগঠন থাকতে হয়। চব্বিশের অভ্যুত্থানে এর কোনোটাই নেই। নেই কোনো সুনির্দিষ্ট রাজনীতি ও শক্তিশালী সংগঠন। এ ধরনের ভয়ানক দুর্বলতার পরিণতিতে পর্বতের মূষিক প্রসব ঘটতে পারে।
স্বৈরতান্ত্রিক জারের ভয়ানক নির্যাতনে লেনিনের জীবন কখনোই স্থির ছিল না। বন্দি ও পলাতক জীবন এবং নির্বাসনের মধ্যে স্ত্রী ক্রুপস্কায়াকে নিয়ে কেটেছে তাঁর জীবন। তবুও এক অমিত শক্তি নিয়ে তিনি অব্যাহত রেখেছেন বিপ্লবী কর্মযজ্ঞ। লিখেছেন অবিরাম ৫৫ খণ্ড। বিতর্কে লিপ্ত থাকতে হয়েছে তাঁকে সারাক্ষণ দলের ভেতর ও বাইরে। অব্যাহতভাবে প্রকাশ করেছেন ইস্ক্রা পত্রিকা। এভাবে একদিন নতুন সূর্যের ভোর আসে ১৯১৭ সালে; অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবে।
রুশ বিপ্লবের পরে বেশি দিন বাঁচেননি লেনিন। ১৯১৮ সালে আততায়ীর গুলিতে আহত হন। এরপর কখনোই পুরোপুরি সুস্থ হননি। ১৯২৪ সালে লেনিন মস্কো থেকে দূরে তাঁর নিজ গ্রাম গোর্কিতে মারা যান।
১৯৪৮ সালে কার্ল মার্ক্স বলেছিলেন, ‘ইউরোপ ভূত দেখেছে; কমিউনিজমের ভূত।’ বিশ শতকজুড়ে ইউরোপ ও আমেরিকাকে কমিউনিজমের এ ভূত তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। সমাজতন্ত্র ধ্বংস করতে তারা চালিয়েছে কখনও সরাসরি যুদ্ধ, কখনও স্নায়ুযুদ্ধ।
বামপন্থিদের ও সমাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে সে যুদ্ধ এখনও জারি আছে। এ যুদ্ধে সমাজতান্ত্রিক শিবিরের আপাত পরাজয় হলেও তা নতুন এক অনিরুদ্ধ শক্তি নিয়ে আবারও ইতিহাসে আবির্ভূত হবে। পুঁজির শোষণ ও শাসনমুক্ত একটি সভ্য মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন মার্ক্স ও লেনিন। সেটা এখনও আরাধ্য। তা অর্জনে লুটেরা পুঁজিতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই। এ সংগ্রামে লেনিন শুধু প্রাসঙ্গিক নন, জরুরিও বটে। লেনিনের জন্মদিনে তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
ড. আখতার সোবহান মাসরুর: লেখক ও নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম ছাত্রনেতা