বাড়ির আঙিনায় কলা গাছ দিয়ে বানানো হয়েছে গেট। রং-বেরংয়ের কাগজ দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো বাড়ি। সঙ্গে বাজানো হচ্ছে বাদ্যযন্ত্র, বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নাচছে শিশু থেকে বৃদ্ধ, চলছে গানও। এতো হই-হুল্লোড়ের মধ্যে পৌঁছেছে বরযাত্রী। এর পর শুরু হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। সেই পুরনো রেওয়াজ মেনে বর-কনে পক্ষের মধ্যে মোহরানা নিয়ে শুরু হয় দর-কাষাকষি। কনে পক্ষের মোহরারা হাঁকা শুরু ২ কোটি দিয়ে, দর-কাষাকষিতে শেষমেষ নির্ধারণ হয় ২ লাখ। এতো আয়োজন মূলত ব্যাঙের বিয়ে ঘিরে। আজ রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের বুড়িশ্বর ইউনিয়নে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। মূলত বৃষ্টির আশায় স্থানীয়রা ব্যাঙের এই বিয়ের আয়োজন করেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কনের বাড়িতে ঢুকতেই কলা গাছের গেট। বং-বেরংয়ের কাগজ দিয়ে সাজানো বাড়িজুড়ে বর (পুরুষ ব্যাঙ) ও কনে (স্ত্রী ব্যাঙ) পক্ষের লোকজন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে বৃষ্টির গান গাইছেন। সঙ্গে নাচ তো আছেই।

গ্রামবাসীরা মনে করেন, ব্যাঙের বিয়ে দিলে সৃষ্টিকর্তা খুশি হন, তখন বৃষ্টি হয়। সেই বিশ্বাস থেকেই এ বিয়ের আয়োজন। 

স্থানীয় কৃষক মো.

মিজান শাহ বলেন, ‘বাপ-দাদার আমল থেকে এ রীতি চলে আসছে। আগে এতে কাজ হতো, এখনও আমরা বিশ্বাস রাখি ব্যাঙের বিয়ের পর বৃষ্টি হবে।’

হিন্দু-মুসলিম সবাই মিলেই এ বিয়ের আয়োজন করেছেন। 

স্থানীয় শিক্ষক অজিত কুমার পাল বলেন, ‘এটা শুধু একটি রীতি নয়, আমাদের ঐতিহ্য। চৈত্র মাসে যখন পানির সংকট দেখা দেয়, তখন গ্রামের সবাই মিলে বৃষ্টির আশায় এই আয়োজন করে। এটি মূলত সম্মিলিত আশার প্রকাশ।’

শুধু কৃষকরাই নন, প্রশাসনের লোকজনও বৃষ্টির প্রত্যাশায় এই ব্যাঙের বিয়ে দেখতে এসেছেন।

নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কাজী রবিউস সারোয়ার বলেন, ‘আমরা স্থানীয়দের পাশে আছি। দীর্ঘমেয়াদে পানির সংকট কাটাতে উচ্চপর্যায়ে বিষয়টি জানানো হবে।’

ব্যাঙের বিয়ের এই আয়োজনে সত্যিই কি দেখা মিলবে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির? এখন সেটাই দেখার বিষয়।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য়

এছাড়াও পড়ুন:

আইইউবি থিয়েটারের আয়োজনে শেষ হলো দুই দিনের বৈশাখী নাট্যোৎসব

‘বৈশাখে হবে উৎসব, উৎসবে হবে নাটক’—এই স্লোগানকে সামনে রেখে আইইউবি থিয়েটারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘আইইউবি থিয়েটার বৈশাখী নাট্যোৎসব ২০২৫’। ১৩ ও ১৪ এপ্রিল দুই দিনের উৎসবে মোট চারটি নাটক মঞ্চস্থ করে আইইউবি থিয়েটার, জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, তীরন্দাজ রেপার্টরি এবং বটতলা থিয়েটার।

১৩ এপ্রিল উৎসবের উদ্বোধন করেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দিদার এ হোসেইন, উপাচার্য ম. তামিম, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ড্যানিয়েল ডব্লিউ লুন্ড, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের ডিন বখতিয়ার আহমেদ এবং আইইউবির মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান জাকির হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন আইইউবি থিয়েটারের সমন্বয়ক ও মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের শিক্ষক মমতাজ পারভিন।

উদ্বোধনের পর মঞ্চস্থ হয় আইইউবি থিয়েটারের ২৩তম প্রযোজনা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী কাব্যনাটক ‘তাসের দেশ’। এতে অভিনয় করেন আইইউবির শিক্ষার্থীরা। ১৩ এপ্রিল বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার মঞ্চস্থ করে তাদের ১১৩তম প্রযোজনা ‘দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’। ১৪ এপ্রিলের প্রথম প্রযোজনা ছিল তীরন্দাজ রেপার্টরির ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’। বিকেলে উৎসবের সর্বশেষ আয়োজন ছিল বটতলা থিয়েটারের দর্শকনন্দিত নাটক ‘খনা’।

নববর্ষের প্রথম দিনের সূর্যাস্তের মধ্যে দিয়ে আইইউবি থিয়েটারের বৈশাখী নাট্যোৎসব–১৪৩২-এর সমাপ্তি হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাছ কেটে অপরিকল্পিত উন্নয়নের প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন
  • জাহাঙ্গীরনগরে গাছ কেটে ভবন নির্মাণের আয়োজনের প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • আইইউবি থিয়েটারের আয়োজনে শেষ হলো দুই দিনের বৈশাখী নাট্যোৎসব
  • জাবিতে গবেষণাবিষয়ক কর্মশালা
  • ভাড়া নিয়ে ঝামেলার জেরে দুটি বাস আটকে রেখেছেন জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরা
  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার গাছ কেটে ভবন নির্মাণের আয়োজন
  • নির্ধারিত সময়ে জাকসু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা