মাদারীপুরে উচ্চ বাদ্যযন্ত্রের শব্দ কমানোর অনুরোধ করায় এক কৃষকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। 

শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাতে সদর উপজেলার কুলপদ্বী মোবারককান্দি এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন মাতুব্বরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবারটি সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে উচ্চ বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে পিকনিকের আয়োজন করে মোবারককান্দি এলাকার কয়েকজন যুবক। তাদের বাদ্যযন্ত্রের শব্দ কমাতে অনুরোধ জানায় আলমগীর হোসেন। কিন্তু তার কথা না শুনে বখাটে যুবকরা শব্দ আরো বাড়িয়ে দিয়ে গান শুনতে থাকে। পরে আলমগীর হোসেন, তার স্ত্রী ও মেয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে তারা ওই রাতেই তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। 

এসময় তারা ঘরের দরজা জানালা ভেঙে ঘরের মধ্যে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। হামলাকারীদের বাঁধা দিতে গেলে তারা আলমগীর হোসেন তার পরিবারের সদস্যদের মারধরও করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মাদারীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকছেদুর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে রাতেই সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং রাতেই ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।”

ঢাকা/বেলাল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আলমগ র হ স ন ব দ যযন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

আসুন সবাই ড. ইউনূসকে সাহায্য করি: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আমি প্রফেসর ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার বিশ্বাসও আছে, তিনি সফল হবেন। আসুন, আমরা সবাই মিলে তাকে সাহায্য করি। আমরা নিজেরা নিজেদের সাহায্য করি।”

শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বসুন্ধরায় ‘রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম-এর দূরদৃষ্টিতে ক্ষমতায়ন বাংলাদেশ নেতৃত্ব-ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধি’র পথে কূটনীতি-শাসনব্যবস্থা রূপান্তরমূলক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “যেদিন ছাত্রদের ওপর রাস্তায় গুলি শুরু হয়েছে, সেদিন কিন্তু সবাই রাস্তায় নেমে এসেছে। ঠিক না? আজকে সেই একইভাবে আসুন, আমরা সবাই এক হয়ে যাই। সমস্যা আছে, সমস্যার সমাধান হবে। ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে।”

আরো পড়ুন:

জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার চিন্তা ইসির

ঐক্যের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই: ফখরুল

বিএনপি সমাসচিব বলেন, “একটা কথা জোর দিয়ে বলতে চাই, গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। গণতন্ত্রকে চাপিয়ে দেওয়া যায় না। আপনি আমার ওপর চাপিয়ে দিলেন, তা দেওয়া যাবে না। এটাকে চর্চা করতে হবে। সেই জায়গাগুলোকে ধরে রাখতে হবে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমার চারদিকে তাকিয়ে, বিশেষ করে টেলিভিশনের টক-শো, বিদ্যান মানুষদের কথা, রাজনীতির বক্তৃতা সবকিছু মিলে সবাই কেমন যেন একটু হতাশ হয়ে পড়েছেন। এত যে রক্তপাত হলো, এত মায়ের বুক খালি হলো; তার পরিণতি কী হবে শেষ পর্যন্ত? আমি বিশ্বাস করি এবং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভালো হবে এবং খুব ভালো হবে।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “কারণ, আমরা বাংলাদেশের মানুষ চিরকাল ভালোর জন্য লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি এবং জয়ী হয়েছি। বিশেষ করে আমাদের তরুণেরা, আমাদের ছেলেরা; আজকে বাংলাদেশের যা কিছু ভালো অর্জন, সব তাদের জন্য। সেই ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২৪-এর জুলাই-আগস্টের অন্দোলন পর্যন্ত, প্রতিটিতেই সামনে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করেছে আমাদের ছেলেরা। সেখানেই আমাদের শক্তি।”

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসুন সবাই ড. ইউনূসকে সাহায্য করি: ফখরুল