2025-04-22@20:05:44 GMT
إجمالي نتائج البحث: 19

«ব শগত স»:

    সুন্দরবনের চতুষ্পার্শ্বের প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ইসিএর ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে নূতন শিল্প কাঠামো নিষিদ্ধের যেই সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহণ করিয়াছে, উহাকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা জানি, প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ বিবিধ কারণে হুমকির সম্মুখীন। বস্তুত সুন্দরবন ঘিরিয়া পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ অনুসারে ১৯৯৯ সালে দেশের প্রথম ইসিএ ঘোষণা করা হইয়াছিল। এই বন সুরক্ষায় প্রতিবেশ অঞ্চলের চতুষ্পার্শ্বে এই প্রকার পরিবেশ গঠন করা জরুরি হইলেও উহা বাস্তবায়ন না হওয়া বিস্ময়কর। বিশ্বব্যাপী তো বটেই, এমনকি প্রতিবেশী ভারতেও বন ও বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ কৌশল হিসাবে যথায় এই সীমারেখা ১০ হইতে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত নির্ধারণ করা হইয়া থাকে, তথায় দেশে উহা উপেক্ষিত হইয়াছিল কেন? ২০১৭ সালে আগস্টে ঘোষিত হাইকোর্টের এক রায়েও সুন্দরবনের চতুষ্পার্শ্বে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে নূতন কোনো শিল্পকারখানা স্থাপন না করিবার নির্দেশনা দেওয়া...
    সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদের তলদেশ থেকে বেপরোয়া ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু আহরণের ফলে সৃষ্ট পরিবেশগত ও অবকাঠামোগত সংকট আজ আর সম্ভাব্যতা মাত্র নয়, বরং এটি এক সুস্পষ্ট ও আসন্ন বিপর্যয়ের সতর্কসংকেত। নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহপথ এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় যে ধলাই নদ ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, তার অস্তিত্বই আজ সংকটাপন্ন।স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর লোভনীয় অভিযানে নদের তলদেশে চলমান অবৈধ খনন কার্যক্রম ধলাই সেতুর ভিত্তিমূল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এটি সরাসরি একটি রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো ধ্বংসের সম্ভাবনা নির্দেশ করে।পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’র (ধরা) পেশ করা স্মারকলিপিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও রাজনৈতিক প্রশ্রয়ের সুযোগে একটি সংগঠিত বালুখেকো চক্র নদীগ্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। নদটি এখন কেবল প্রাকৃতিক সংস্থান লুণ্ঠনের ক্ষেত্র নয়, বরং এক বৃহত্তর অর্থে রাষ্ট্রীয় উদাসীনতার প্রতিচ্ছবিতে পরিণত হয়েছে।নদতল থেকে...
    গত সরকারের আমলে ২০১৭ সালে সুন্দরবনের চারপাশে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় (ইসিএ) শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে দেওয়া অনুমোদন বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এখন থেকে ইসিএ এলাকায় নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে অনুমতি দেবে না সরকার।সোমবার সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে জাতীয় পরিবেশ কমিটির ১৬তম সভায় নতুন করে কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদন না দেওয়ার পাশাপাশি নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ কমিটি দিয়ে সুন্দরবনের ইসিএ এলাকায় ইতিমধ্যে স্থাপিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর কী প্রভাব পড়েছে, সেটার একটা সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।১৯৯৯ সালে সুন্দরবন রক্ষায় সুন্দরবনের চারপাশের ১০ কিলোমিটার...
    গত মাসের শেষ সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীন সফরকালে তিস্তা নদীর সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পে (টিআরসিএমআরপি) চীনের অংশগ্রহণের জন্য আনুষ্ঠানিক আহ্বান জানান। এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য পানিপ্রবাহ পুনরুদ্ধার, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদীর পুনরুজ্জীবন ও কৃষি-জীবিকার উন্নয়ন। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) আওতায় অর্থায়ন ও প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই আহ্বানই ভারতীয় রাজনৈতিক অঙ্গন ও মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।   বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশের জন্য তিস্তা শুধু নদী প্রকল্প নয়; দুই কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষারও প্রশ্ন। আবার নদী ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক বিনিয়োগ, পরিবেশগত সংকট নিরসন, কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব হ্রাস মিলে প্রকল্পটি দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক গতিশীলতারও ক্ষুদ্র প্রতিরূপ। এখানে ‘উইন-উইন’ বা সব পক্ষের জন্য সুবিধাজনক সমাধানে অর্থনৈতিক বিনিয়োগের পাশাপাশি আঞ্চলিক আস্থা ও সহমর্মিতার রাজনীতিও অপরিহার্য। এটি শুধু পানি বণ্টনের...
    সুন্দরবন থেকে আশপাশের ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার (ইসিএ) মধ্যে নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প স্থাপন নিষিদ্ধ করছে সরকার। এ বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপ‌তি‌ত্বে সোমবার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে জাতীয় পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কমিটির নির্বাহী কমিটির ১৬তম সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় সুন্দরবনের পরিবেশগত সুরক্ষায় ২০১৭ সালের জাতীয় পরিবেশ কমিটির একটি সিদ্ধান্ত এবং ২০২১ সালের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। আরো পড়ুন: সুন্দরবনে আগুন লেগে সাড়ে ৫ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন, চলছে তল্লাশি নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার ইসিএ এলাকার মধ্যে স্থাপিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ করা হবে। আদালতের আদেশ থাকার কারণে প্রভাব নিরূপণের পর স্থাপিত...
    সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) এর মধ্যে নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প স্থাপন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। এ বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে জাতীয় পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন কমিটির নির্বাহী কমিটির ১৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সভায় সুন্দরবনের পরিবেশগত সুরক্ষায় ২০১৭ সালের জাতীয় পরিবেশ কমিটির ৩.৪.৪ নম্বর সিদ্ধান্ত এবং ২০২১ সালের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার ইসিএ এলাকার মধ্যে স্থাপিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ করা হবে। আদালতের আদেশ থাকার কারণে প্রভাব নিরূপণের পর স্থাপিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। এছাড়াও, সভায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট বিধিমালা সংশোধনের...
    গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ। কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড প্রভৃতি গ্যাসের অত্যধিক নিঃসরণের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে– যা বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ হুমকিস্বরূপ। বাংলাদেশে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের কারণ শিল্পকারখানা ও জ্বালানি, পরিবহন খাত, কৃষিতে রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে নাইট্রাস অক্সাইড এবং বর্জ্য নিষ্কাশন ও ল্যান্ডফিল থেকে মিথেন গ্যাস নির্গত হওয়া। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ এমন একটি লক্ষ্য অর্জন করা, যা বায়ুমণ্ডলে নির্গত কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অবদান কমিয়ে আনবে। এই লক্ষ্য বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশটি চরম পরিবেশগত ঝুঁকিতে রয়েছে। অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এবং নিম্নাঞ্চলীয় এই দেশটির একটি বড় অংশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এক মিটারেরও কম উচ্চতায় অবস্থিত, যা বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিশেষ করে সমুদ্রপৃষ্ঠের...
    কক্সবাজারে ৭০০ একর বনভূমিতে এবার ডিজিটাল পার্ক স্থাপন করতে চায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এ বনটিতে রয়েছে ৫৮ প্রজাতির দুর্লভ বৃক্ষ এবং বিপন্ন হাতি, বানরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর বাস। তার পরও তাতে চলছে পার্ক স্থাপনের তোড়জোড়। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের পূর্ব পাশে ঝিলংজা মৌজার এ জমি স্থায়ী লিজ, ভাড়াভিত্তিক অথবা চুক্তিভিত্তিক লিজ নেওয়ার জন্য বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে বি-কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড নামের এ প্রতিষ্ঠানটি। গত রোববার এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি বন অধিদপ্তর থেকে কক্সবাজার বিভাগীয় বন কার্যালয়ে এসে পৌঁছেছে। চিঠিতে সরেজমিন তদন্ত করে মতামতসহ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।  কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১১ নভেম্বর ওই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে সিইও নাদিরা আক্তার এ আবেদন করেন। মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন ঝিলংজা...
    বাংলাদেশের বাজারে দীর্ঘমেয়াদে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন হোলসিম গ্রুপের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের প্রধান মার্টিন ক্রিগনার। বুধবার (৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। বৈঠকে দেশের সিমেন্ট ব্যবহারের প্রবণতা, শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব এবং বাংলাদেশে হোলসিমের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, হোলসিম একটি বৈশ্বিক নেতৃস্থানীয় সিমেন্ট ও নির্মাণসামগ্রী প্রস্তুতকারক কোম্পানি। এটি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের মূল কোম্পানি। সুনামগঞ্জের ছাতকে কোম্পানিটি দেশের একমাত্র সংহত সিমেন্ট কারখানা পরিচালনা করছে এবং দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বৈঠককালে ক্রিগনার বলেন, ‘বাংলাদেশে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদনের সুযোগ করে দেওয়ায় আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।’ ছাতকের...
    কয়েক দিন আগে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মাত্র ২৩ বছরের এক ছাত্র এসেছেন, বুকে ব্যথা নিয়ে। ইসিজি করে দেখা গেল হার্ট অ্যাটাক। মা–বাবা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না, এত অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাক! অবাক লাগলেও সত্যি, অনেক কম বয়সেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। আজকে আমরা জানব, কেন অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাক হয়?অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ধূমপানঅল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাকের একটি বড় কারণ ধূমপান। ধূমপানে রক্তনালিতে ক্ষত তৈরি হয় এবং রক্তনালির ভেতর চর্বি জমাট বাঁধার প্রবণতা বেড়ে যায়।মাদকাসক্তিহার্ট অ্যাটাকের আরেকটি বড় কারণ মাদকাসক্তি। কোকেন, ইয়াবা, গাঁজা, ইন্ট্রাভেনাস অ্যাবিউজিং ড্রাগ হার্টের রক্তনালির ক্ষতি করে এবং হৃৎস্পন্দন এলোমেলো করে, যা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। আরও পড়ুনতামিম ইকবালের হার্টে কীভাবে এত দ্রুত রিং পরানো সম্ভব হলো২৪ মার্চ ২০২৫মানসিক চাপঅতিরিক্ত উদ্বেগ, মানসিক চাপ হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।স্থূলতাহার্ট অ্যাটাকের আরেকটি...
    শীতে অনেকেরই পা ফাটে। এই মৌসুমে পানি কম খাওয়ার কারণে শরীর ডিহাইড্রেট থাকে, তা ছাড়া বাতাসে আর্দ্রতাও কম থাকে বলে অনেকে এই সমস্যায় ভোগেন। তবে কেউ কেউ শুধু শীতকালে নয়, পা ফাটার সমস্যায় ভোগেন বছরজুড়েই। কেন? এর পেছনে থাকতে পারে বিভিন্ন শারীরিক ও বাহ্যিক কারণ। জেনে রাখুন কারণ ও করণীয়। ১. চর্মরোগসহ ত্বকের নানা সমস্যা পামোপ্লান্টার কেরাটোডার্মা নামের বংশগত রোগের কারণে হাত–পায়ের চামড়া ফেটে যেতে পারে। অসংক্রামক চর্মরোগ সোরিয়াসিসের ফলে পায়ের তালুতে পুরু, খসখসে চামড়ার স্তর তৈরি হতে পারে। এর ফলে পরবর্তীকালে ত্বক ফেটে যায়। একজিমা ত্বক শুষ্ক করে তুলতে পারে, যা পরে হাইপারকেরাটোসিসে রূপ নিতে পারে এবং পা ফেটে যেতে পারে। ইকথায়োসিসও একটি বংশগত রোগ, যা ত্বক পুরু ও শুষ্ক করে তোলে। এর ফলে ত্বক ফেটে যেতে পারে।...
    চুল কেন পাকেসাধারণত ২০-৩০ বছর বয়সের আগে চুল পাকলে অকালে চুল পাকা বলে ধরা হয়। চুল পাকে মূলত মেলানিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে। এই মেলানিন একধরনের প্রাকৃতিক রঞ্জক, যা আমাদের ত্বক, চুল ও চোখের রং নির্ধারণ করে। ব্রিটিশ জার্নাল অব ডার্মাটোলজিতে প্রকাশিত ২০১২ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৪৫-৬৫ বছর বয়সে ৭৪ শতাংশ মানুষেরই চুলে পাক ধরে। আর এ সময়ের মধ্যে পেকে যায় মাথার ২৭ ভাগ চুল। তবে ব্যক্তিভেদে তারতম্য তো হয়ই। প্রশ্ন হলো অকালে কেন চুল পাকে? এর পেছনে লুকিয়ে থাকা কারণগুলো কী?১. বংশগত কারণঅকালে চুল পাকার একটি বড় কারণ জিনগত প্রভাব। ডার্মাটোলজির ক্লিনিক্যাল অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও ‘ফরগেট দ্য ফেসলিফট’ বইয়ের লেখক ডরিস ডে বলেন, ‘আপনার মা–বাবার চুল অল্প বয়সে পেকে গেলে আপনার ক্ষেত্রেও তেমনটা হওয়ার আশঙ্কা বেশি।’ এ...
    একসময় ক্যানসারকে দুরারোগ্য ব্যাধি হিসেবেই ধরা হতো, তবে আজকাল চিকিৎসা-পদ্ধতির অগ্রগতির কারণে কিছুটা হলেও এর প্রতিকার সম্ভব হয়েছে। তবু বিশ্বজুড়ে ক্যানসারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। তাই এর প্রতিকারের পাশাপাশি প্রতিরোধের দিকেও মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। সচেতনতা ও প্রতিরোধই হতে পারে এর সবচেয়ে কার্যকর উপায়। ২০১৪ সাল থেকে ফেব্রুয়ারিকে ক্যানসার প্রতিরোধ মাস হিসেবে পালন করা হয়ে আসছে। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিজুড়ে আয়োজিত হয় নানা সতর্কতামূলক আলোচনা, সেমিনার, গবেষণা ইত্যাদি।সবার মাঝে ক্যানসারবিষয়ক সচেতনতা তৈরিতে এসকেএফ অনকোলোজি আয়োজন করে ‘বিশ্বমানের ক্যানসার-চিকিৎসা এখন বাংলাদেশে’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনা। এটি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রচারিত হয় প্রথম আলো ডটকম এবং প্রথম আলো, এসকেএফ অনকোলোজি ও এসকেএফের ফেসবুক পেজে।নাসিহা তাহসিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক এবং...
    সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে থাকা বেশ কিছু সামুদ্রিক প্রাণীর অদ্ভুত আচরণ শনাক্ত করা হয়েছে। জাপানে ওরফিশের ভেসে আসা, বিভিন্ন এলাকায় তিমির আটকে পড়া, সমুদ্রতীরের কাছে অ্যাংলারফিশের উপস্থিতির মতো অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা গেছে। আর তাই এসব ঘটনা সম্ভাব্য কোনো পরিবেশগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। সামুদ্রিক প্রাণীদের এসব আচরণের সঙ্গে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব রয়েছে বলে ধারণা করা হলেও সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র ও সম্ভাব্য দুর্যোগের সঙ্গে এসব প্রাকৃতিক ঘটনার সংযোগ আছে কি না, তা নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা।ওরফিশ, তিমি ও অ্যাংলারফিশের মতো প্রাণীরা গভীর সমুদ্রের বাস করে। এসব প্রাণী যখন তীরের কাছে চলে আসছে তখন জলবায়ু পরিবর্তন ও উষ্ণায়নের প্রভাব পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এসব প্রাণীর আবাসে ব্যাপক পরিবেশগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। রহস্যময় ওরফিশের...
    পরিবেশগত হুমকির বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিচারিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বন উজাড়, শিল্প দূষণ এবং অনিয়ন্ত্রিত নগর সম্প্রসারণের ফলে সৃষ্ট অস্তিত্বগত হুমকিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর বিচারিক প্রতিক্রিয়া জরুরি। সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে পরিবেশগত ন্যায়বিচার রক্ষা: একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বিচারকদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনকে জলবায়ুগত ও মানবসৃষ্ট হুমকির হাত থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হলে দেশের পরিবেশগত নিরাপত্তা হারিয়ে যাবে। যা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকা ও ভবিষ্যতকে বিপন্ন করবে। ব্রাজিলের হাইকোর্ট বিভাগের প্রধান বিচারপতি আন্তোনিও হারমান বেঞ্জামিনের বাংলাদেশ সফর উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এই সেমিনার আয়োজন করে। সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশের বিচার বিভাগ ঐতিহাসিকভাবেই পরিবেশ সুরক্ষায় অগ্রণী ভূমিকায় ছিল। বিচারক...
    সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শুধু সরকারের ওপর নির্ভর করলে হবে না, শিল্পকারখানাকে নিজ দায়িত্বে দূষণরোধে কাজ করতে হবে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশে সিসা দূষণ হ্রাসের সক্ষমতা উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, শিল্প বন্ধ করা উদ্দেশ্য নয় বরং তাদের ছাড়পত্র গ্রহণে বাধ্য করা এবং পুনর্বাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা জরুরি। পরিবেশগত ছাড়পত্রে নিয়মিত পুনর্বাসন কার্যক্রমের শর্ত সংযুক্ত করা উচিত, যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক সহযোগী, বিশেষ করে ফ্রান্সের সহায়তায় পরিবেশ অধিদপ্তর এখন একটি সময়সীমাবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে পারে। সব দূষণকারী শিল্পের বিরুদ্ধে একসঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব না হলেও...
    রোগটির সংক্ষিপ্ত নাম লুপাস। পুরো নাম সিস্টেমিক লুপাস এরিথেমাটোসাস (এসএলই)। এটি একটি অটোইমিউন রোগ। এই রোগে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও কোষ আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে কিডনির লুপাস বা লুপাস নেফ্রাইটিস অন্যতম। শতকরা ২০ থেকে ৭৫ শতাংশ লুপাস রোগীর কিডনি আক্রান্ত হতে পারে। বড়দের (৩৪%-৬৭%) ক্ষেত্রে এর প্রচলন বেশি। কিডনির পাশাপাশি শিশুর স্নায়ুতন্ত্র, রক্তরোগ, চামড়ার ক্ষত, গিড়া, মাংসপেশি, ফুসফুস, হৃদযন্ত্র এমনকি চুল পর্যন্ত আক্রান্ত হতে পারে। রোগের প্রভাব এমন যে মানবদেহে যে কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হতে পারে। কাদের বেশি হয় লুপাস সাধারণত ১১/১২ বছর বয়সে হতে পারে, ৫ বছরের নিচে এই রোগ কম হতে দেখা যায়। এতে নবজাতক শিশুরাও আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগে ছেলে বা মেয়ে শিশু উভয়ই আক্রান্ত হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই রোগের হার বেশি। রোগের কারণ এই রোগের কোনো...
    পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “মানুষের বাঁচার জন্য প্রয়োজন নির্মল বাতাস, পানি ও মাটি। শুধু চকচকে বাড়ি বা বিলাসবহুল গাড়ি দিয়ে টিকে থাকা সম্ভব নয়। যদিও বাংলাদেশের বাতাস দূষিত এবং নদীগুলো দূষণের শিকার, তবু পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করতে এখনো দেরি করা ঠিক নয়। পরিবর্তন শুরু করতে হবে আমাদের প্রত্যেকের থেকেই। বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ কেন আছে সেটা না ভেবে ভাবুন, আপনি কেন এখনো তা ব্যবহার করছেন। এসব একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক শত শত বছর ধরে নষ্ট হয় না এবং মাইক্রোপ্লাস্টিক হয়ে খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করে আমাদের ক্ষতি করে।” বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-তে প্রথমবারের মতো আয়োজিত স্টেটসন আন্তর্জাতিক পরিবেশ মুট কোর্ট প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা...
    জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের সময়ের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোর একটি। ‘জলবায়ু পরিবর্তন শুধু পরিবেশগত সমস্যা নয়, এটি মানবতার জন্য একটি অস্তিত্ব সংকট’—এই সত্যটা কি আমরা উপলব্ধি করছি? পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে এমন একটি স্তরে পৌঁছেছে, যা পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং গবাদি প্রাণীর জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনছে। জলবায়ু পরিবর্তন গবাদি প্রাণীর জীবনযাত্রার ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে, যা খাদ্যনিরাপত্তা এবং কৃষি অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং পরিবেশগত পরিবর্তন গবাদিপশুর স্বাস্থ্য, উৎপাদনশীলতা এবং প্রজননক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য বিরূপ প্রভাব ফেলে। দুগ্ধজাত গবাদি প্রাণীর ওপর জলবায়ুগত প্রভাবের ফলে যেসব সাধারণ লক্ষণ দেখা দিচ্ছে তা হলো—খাদ্য গ্রহণ হ্রাস, দুধ উৎপাদন ও দুধের চর্বি হ্রাস, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বৃদ্ধি, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং প্রজননক্ষমতা হ্রাস।তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে প্রাণীদের দেহে হিট স্ট্রেস হয়, যা...
۱