2025-03-17@01:18:17 GMT
إجمالي نتائج البحث: 9

«গণর ম»:

    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের আবাসিক হলে আসন বণ্টনের নীতিমালা পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের ফটকে এসে অবস্থান নেন তাঁরা। পরে রাত ১১টার দিকে উপাচার্য দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা।এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘আবাসিকতার অনিয়ম, মানি না মানব না’, ‘সিনিয়র রেখে জুনিয়র, মানি না মানব না’, ‘সিট বৈষম্যর অনিয়ম, মানি না, মানব না’, ‘জবাব চাই জবাব চাই, প্রশাসন জবাব চাই’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আবাসিকতার বর্তমান নীতিমালায় বৈষম্য আছে। এই নীতিমালার আওতায় সিনিয়র শিক্ষার্থীর আগে জুনিয়র শিক্ষার্থীরা হলে আসন পেয়ে যাচ্ছেন। ফলে গণরুমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া...
    ‘গণরুমের প্রেমবিলাস’ উপন্যাস পড়তে পড়তে বহুদিন পর আবার যেন হারিয়ে গেলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে। উপন্যাসটির শুরুতে তুহিন-মাহিরার রোমান্টিক কথোপকথন আমাকে ক্রমে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল গল্পের গভীরে। দু’জনের জীবনঘনিষ্ঠ আলাপে কৃত্রিমতার ছাপ না থাকায় সবকিছু মনে হচ্ছিল বাস্তব। আর এখানেই লুকিয়ে আছে তরুণ কথাসাহিত্যিক রেজাউল ইসলামের মুন্সিয়ানা। লেখকের সৃষ্ট তুহিন-মাহিরা জুটির অনবদ্য ও অকৃত্রিম কথোপকথন পড়ে আমি যেন ক্ষণিকের জন্য আবার ফিরে গিয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ, উন্মুক্ত সবুজ চত্বর, শাহবাগ থেকে কলাভবন আর নীলক্ষেতের ব্যস্ত সড়কে। এই রোমান্টিসিজমের আনন্দযাত্রা আস্তে আস্তে বিষাদে রূপান্তরিত হতে থাকে। তুহিন ও তার সহপাঠী হাসান ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল জীবনের করুণ কাহিনিগুলো বর্ণনা করতে থাকে। আসলে এটি বিষাদে ভরপুর একটি রাজনৈতিক আলেখ্য। কারণ, এই উপন্যাসের প্রধান বিষয়বস্তু হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে যুগ যুগ ধরে চলে আসা লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির...
    পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে কর্মীসভা করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কনফারেন্স হলে এই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও প্রকাশ্যে এই কর্মসূচি আয়োজন করায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কর্মীসভায় অংশগ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর গণরুম থেকে শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক কর্মীসভায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গণরুমের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, প্রোগ্রামে অংশ না নিলে তাদের বিছানাপত্র ফেলে দেওয়া এবং হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকি প্রোগ্রাম শেষে তাদের সাথে দেখা করার জন্য পুনরায় আসবে এমন মন্তব্যও করেছে। প্রতিবেদকের হাতে এ সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য ও প্রমাণ সংরক্ষিত রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বরিশাল ক্যাম্পাসের নিয়মিত বাস শিডিউল বন্ধ রেখে কর্মী সম্মেলনে বাস নিয়ে আসার অভিযোগ উঠেছে। এতে বরিশাল ক্যাম্পাস থেকে...
    সালটা ২০২৩। কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখ দিবাগত রাতটা আর সব শিক্ষার্থীর জন্য স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু ফুলপরী খাতুন নামে এক শিক্ষার্থীর জন্য ছিল যেন ‘কালরাত’। ইবির ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে ওই রাতে অমানবিক নির্যাতন করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা আবাসিক হলের গণরুমে নিয়ে ফুলপরীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। ফুলপরী তখন প্রথম বর্ষের ছাত্রী। নির্যাতনের ঘটনা জানিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন এক আইনজীবী। তদন্তে নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়ায় ছাত্রলীগের নেত্রীসহ পাঁচজনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।    সেই ঘটনার দুই বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। গণরুমে ডেকে নির্যাতনের সেই রাতের দুঃসহ স্মৃতি মনে করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট লিখেছেন...
    ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার দুই বছর পার হলো। ২০২৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে গণরুমে ডেকে তাঁকে রাতভর নির্যাতন করেছিলেন ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) নেতা–কর্মীরা। সেই রাতের স্মৃতি মনে করে গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফুলপরী। বলেছেন, ‘মস্তিষ্ক যত দিন সুস্থ থাকবে, সেই রাত তত দিন স্মৃতি হয়ে থাকবে।’ফুলপরী লিখেছেন, ২০২৩ সালের ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারির সময়টায় তিনি অনেক অসহায় ছিলেন। তিনি কিছু করেননি, অথচ ২০২৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অপমানের শিকার হয়েছিলেন। তাঁর ভাষায়, ‘জীবনে ফেলা আসা রাতগুলোর মধ্যে ওটা জঘন্যতম রাত। মনে হচ্ছিল, কোনো কোনো মার্ডার করা আসামির রিমান্ড চলছে। সঙ্গে সুইসাইড নোট আর শ্বাসকষ্টের জন্য আমারই ইনহেলার চেয়েও পাইনি। চলছে তো চলছেই, রাত শেষ হয়ে যায়, তা–ও প্রতিহিংসা...
    তরুণ কথাসাহিত্যিক রেজাউল ইসলামের ‘গণরুমের প্রেমবিলাস’ উপন্যাসটি হাতে নিয়ে পড়তে পড়তে বহুদিন পর আবার যেন আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম আমার প্রাণের ক্যাম্পাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে। উপন্যাসটির শুরুতেই তুহিন-মাহিরার নাটকীয় ভঙ্গির রোমান্টিক কথোপকথন আমাকে ক্রমেই টেনে নিয়ে যাচ্ছিল গল্পের গভীরে। তাদের দু’জনের মধ্যকার জীবনঘনিষ্ঠ আলাপে কোনো রকম কৃত্রিমতার ছাপ না থাকায় সবকিছুই মনে হচ্ছিল বাস্তবে ঘটছে। এখানেই লুকিয়ে আছে তরুণ এই লেখকের মুনশিয়ানা। একজন সার্থক লেখকই কেবল পারেন তার লেখনী দিয়ে কল্পনাকে বাস্তবের মতো করে ফুটিয়ে তুলতে। তাঁর সৃষ্ট তুহিন-মাহিরা জুটির অনবদ্য ও অকৃত্রিম কথোপকথন পড়তে পড়তে আমার কল্পনায় আসে ক্যাম্পাসের উন্মুক্ত সবুজ চত্বর, শাহবাগ থেকে কলাভবন, আর কলাভবন থেকে নীলক্ষেতের ব্যস্ততম সেই সড়কপথ। উপন্যাসটির শুরুতে তুহিন-মাহিরার প্রাণবন্ত রোমান্টিক আলাপ আমাকে রোমান্টিসিজমের নৈসর্গিক ভেলায় ভাসিয়ে নিয়ে গেলেও আস্তে আস্তে সেই...
    অবিলম্বে ডাকসুর রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থী।  সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া হলপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু করে তারা মুহসিন হল ও এ এফ আর হল থেকে টিএসসি ঘুরে উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থান নেন। এখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা।  বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ‘দফা এক দাবি এক, ডাকসুর রোডম্যাপ’, ‘এক দুই তিন চার, ডাকসু আমার অধিকার’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘হলে হলে খবর দে, গেস্টরুমের কবর দে’, ‘হলে হরে খবর দে, গণরুমের কবর দে’, ‘একশন একশন, গণরুমের বিরুদ্ধে’, ‘গণরুম না ডাকসু, ডাকসু ডাকসু’, ‘দালালি না ডাকসু, ডাকসু ডাকসু’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। সমাবেশে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের...
    আবাসন সংকট নিরসনে প্রয়োজনে হোস্টেল ভাড়া করার দাবি আদায়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নারী শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানা পর্যন্ত আগামী মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ছাত্রীদের আবাসন সংকট সমাধানে উপাচার্যের বাসভবনে ‘ভিসির বাংলায় ঠাঁয় চাই’ শীর্ষক কর্মসূচি পালন করবেন তারা। রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তারা। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ইমু লিখিত বক্তব্যে বলেন, “নতুন হল তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রীদের অস্থায়ী আবাসন হিসেবে ভবন ভাড়া করে হোস্টেল তৈরি করা, গণরুম বিলুপ্তিসহ সাত দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে গত ২ জানুয়ারি মতবিনিময় সভা হয়। এর মাধ্যমে বেশকিছু প্রাপ্তি হয়েছে।” তিনি বলেন, “রোকেয়া হল ছাড়া বাকি চারটি...
۱