2025-03-06@09:02:49 GMT
إجمالي نتائج البحث: 11
«ক দইয় র»:
বগুড়ায় ইফতারের ঐতিহ্য টক দইয়ের সুস্বাদু ঘোল। ছয় দশকের বেশি সময় ধরে ইফতার আয়োজনে রোজাদারদের প্রশান্তি মেটাচ্ছে প্রসিদ্ধ এই ঘোল। এবার গরমে রোজা শুরু হওয়ায় অন্যবারের তুলনায় ইফতারে টক দইয়ের সুস্বাদু ঘোলের কদর বেড়েছে।ফুটপাত থেকে শুরু করে শহরের নামীদামি হোটেল-রেস্তোরাঁয় বাহারি ইফতারের সঙ্গে টক দইয়ের ঘোল পরিবেশন করা হচ্ছে। শহরের সাতমাথা, কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, ফতেহ আলী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার অভিজাত দোকানে ঘোল তৈরির জন্য ব্যবহৃত টক দই বিক্রি হয়।সকাল থেকে ইফতারের আগপর্যন্ত চলে বেচাকেনা। দোকান থেকে টক দই কিনে বাড়িতে ঘোল তৈরি করেন অনেকে। আবার দোকানে বোতলজাত ঘোলও বিক্রি হচ্ছে। দোকানে প্রতি হাঁড়ি (৫০০ গ্রাম) টক দইয়ের ঘোল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা আর ফুটপাতে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত ঘোল বিক্রি হচ্ছে ১ লিটার ২০০ টাকা।ঘোলের কারিগর...
ইফতারে বছরের পর বছর বিশেষ জায়গা দখল করে রেখেছে বগুড়ার বিখ্যাত টক দই। এটি স্বাদ ও গুণে অতুলনীয়। রোজাদারের শরীরে প্রশান্তি আনে; বৃদ্ধি করে হজম শক্তি এবং ইফতারে উপহার দেয় অনন্য স্বাদ। শতবর্ষের ঐতিহ্য আর খাঁটি দুধের মিশেলের দইটি শুধু বগুড়ায় সীমাবদ্ধ নেই। রাজধানীসহ দেশের নানা ইফতারি বাজারে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দোকান ছাড়াও মিলছে অনলাইনে। বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া গেলেও বগুড়ার টক দইয়ের স্বাদ ও মান একেবারে আলাদা। মোলায়েম টক স্বাদ ও ঘনত্ব একে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা। দই ব্যবসায়ীরা জানান, খাঁটি দুধের সর থেকে দই তৈরি হয়। ঘনত্ব বজায় রাখতে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রেখে জমিয়ে তার পর বাজারজাত করা হয়। নিখুঁত প্রক্রিয়ার জন্যই বগুড়ার দই দেশের অন্যান্য অঞ্চলের দইয়ের তুলনায় সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। ব্যবসায়ীরা জানান, রমজান এলেই বেড়ে যায় বগুড়ার টক দইয়ের...
চাঁদপুরে দই মানেই যেনো চাঁদপুরের মতলব উত্তরের নন্দলালপুরের নাছিরের তৈরিকৃত মিষ্টি দই। যেমনি স্বাদ তেমনি পুষ্টিসমৃদ্ধ এই দই, দাবী এখানকার দই প্রেমীদের। আর এজন্যই প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নাছিরের দোকানে দই প্রেমীদের ভিড় লেগেই থাকে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রমজানকে ঘিরে নন্দলালপুরের নাসির দই ভাণ্ডারে গিয়ে বেচাবিক্রিতে ব্যস্ততা দেখা যায়। মিজান নামের এক ক্রেতা বলেন, অন্যান্য স্থানের দইয়ের চেয়ে নাসিরের তৈরিকৃত দই পুষ্টিসমৃদ্ধ। কারণ, সে এখানকার গরুর খাঁটি দুধ দিয়ে নির্ভেজালভাবে দই তৈরি করে। আর দামও অন্যান্য স্থানের চেয়ে কম। তাই আমরা সময় সুযোগে দইয়ের প্রয়োজন হলেই এখানে দই কিনতে চলে আসি। স্থানীয়রা জানান, এখানে এক সময় নাছির উদ্দিন (৩৮) তার বাবা মো. আবুল হোসেনের সাথে দোকানে বসত। এরপর বাবার দেখাদেখি ছোটবেলা থেকেই সে...
পাকা সড়কের দুপাশে রোদে শুকানো হচ্ছে মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিস। সড়কের পাশেই একটি ঘরে মাটি দিয়ে তৈরি হচ্ছে এসব জিনিস। রোদে শুকানোর পর সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে বিক্রির জন্য উপযোগী করা হয়। যুগ যুগ ধরে পালপাড়ার মৃৎশিল্পীদের এ কর্মব্যস্ততা। মাটির তৈরি জিনিসের চাহিদা দিন দিন কমলেও এখনো টিকে আছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার মৃৎশিল্প। আদি পেশা আঁকড়ে জীবন কাটিয়ে যাচ্ছেন এসব পরিবারের সদস্যরা।ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সবচেয়ে বড় পালপাড়া হলো পুটিজানা ইউনিয়নের শিবগঞ্জ পালপাড়া। এ গ্রামে প্রায় ২০০ পাল পরিবার বসবাস করে। তাদের সবার পেশা মাটি দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করা। সম্প্রতি শিবগঞ্জ পালপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি পাল পরিবারের উঠানে তৈরি হচ্ছে প্রয়োজনমতো জিনিসপত্র। মাটির তৈরি জিনিসপত্র তৈরিতে ব্যস্ত নারীরা। পুরুষেরা করছেন অন্য কাজ। মাটির বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে উঠানে কিংবা পাকা সড়কের...
মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রোজা প্রভাব বিস্তার করে আছে। রোজা ইমানের পরিপূরক, রোজা তাকওয়ার সহায়ক, রোজা বেহেশতের সওগাত। ইসলামের প্রতিটি মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রোজার সঙ্গে সম্পর্কিত; তাই রোজার শিক্ষা জীবনঘনিষ্ঠ ও জীবনব্যাপী। ইমান ও রোজাইমান হলো ইসলামের প্রাণশক্তি। ইমানের ভিত্তি হলো অহি। অহি বা আসমানি কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে রোজার মাসে। কোরআন মজিদও রোজার মাসের শবে কদরে অবতীর্ণ হয়েছে। তাই রোজার সঙ্গে ইমানের সুদৃঢ় যোগসূত্র বিদ্যমান। ইমান যেমন মানুষকে কুফর ও শিরক থেকে মুক্ত করে, তেমনি রোজা মানুষকে পাপ থেকে পবিত্র করে। নামাজ ও রোজাইমানের পরেই হলো নামাজ। রোজার মাস হলো নামাজের মাস। যেমন তারাবিহর নামাজ ও কিয়ামুল লাইল নামাজের পাশাপাশি রোজারে সাহ্রির কারণে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া সহজ হয়; এশার নামাজ ও ফজরের নামাজ জামাতে পড়ার সুযোগ বৃদ্ধি হয়, যাতে পূর্ণ...
টমেটো, শসা ও টক দইয়ের সালাদ শরীরকে হাইড্রেটেড বা জলযোজিত রাখতে ও পাচনতন্ত্র স্বাভাবিক রাখতে কার্যকর। শসা আঁশসমৃদ্ধ। এতে পাবেন নানা ধরনের ভিটামিন। আর এতে থাকা পানি খাবার হজমে সহায়ক। নিয়মিত শসা খাওয়ার ফলে পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। শসায় ভিটামিন কে এবং অল্প পরিমাণে ক্যালসিয়ামও পাওয়া যায়। ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৫ ও বি৭, ফসফরাসসহ আরও অনেক উপাদানও পাবেন এতে। নিয়মিত শসা খেলে পেট ভরা থাকে, ক্ষুধা লাগে কম, যেটা পরোক্ষভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।আরও পড়ুনকিনওয়া ও ছোলার সালাদ বানাবেন যেভাবে২০ জানুয়ারি ২০২৫টমেটো নিয়মিত খেলে মুখের ত্বকের সৌন্দর্য অটুট থাকে। বয়স বাড়ার সময় আমাদের মুখের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে, নিয়মিত টমেটো খেলে এই ছাপ পড়ে ধীরে ধীরে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও টমেটো সহায়ক।এই সালাদটি কম দামে ও...
টক দই স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী এটা কমবেশি সবারই জানা। বিশেষ করে যারা দুধ খেতে পারেন না,তারা বিকল্প হিসেবে টক দই খেতে পারেন। তবে দইয়ে চিনি মেশালে হবে না। এর পরিবর্তে লবণ দিয়ে, বিশেষ করে বিট লবণ দিয়ে যদি টক দই খেতে পারেন তাহলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায। শরীর-স্বাস্থ্যের অনেক সমস্যার সমাধানও হয়। অনেকেরই প্রশ্ন, খালি পেটে টক দই খাওয়া কি আদৌ ঠিক? দইয়ের ঘোল কিংবা লাচ্ছি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরে থাকে। এ কারণে খিদে পেলে দই খাওয়া যেতেই পারে। এতে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে থাকবে। সহজে খিদে পাবে না। দইয়ের শরবত তৈরি করে নেওয়াও খুবই সহজ। অল্প সময়ে বানিয়ে নেওয়া যায় এই স্বাস্থ্যকর পানীয়। খালি পেটে টক দই খাওয়া কেন উপকারী দইয়ের মধ্যে প্রচুর প্রোবায়োটিকস থাকে যা আমাদের অন্ত্রের...
তাড়াশ উপজেলা সদরের তাড়াশ ঈদগাহ মাঠে রোববার ঐতিহ্যবাহী দইমেলা শুরু হয়েছে। প্রতিবছর মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে এ মেলার আয়োজন করা হয়। স্থানীয়দের ভাষ্য, আড়াইশ বছর ধরে এই মেলা হয়ে আসছে। দিনব্যাপী এই মেলায় এসেছেন বগুড়া, শেরপুর, রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা, ঘুড়কা, পাবনার চাটমোহরের হান্ডিয়াল, নাটোরের গুরুদাসপুরের শ্রীপুর, উল্লাপাড়ার ধরইলের দই বিক্রেতারা। মেলায় ক্ষীরশা দই, শাহি দই, টক দই, ডায়াবেটিক দই, স্পেশাল দই, প্রিমিয়ামসহ হরেক রকম দই বিক্রি করা হয়। দইয়ের পাশাপাশি মুড়ি, মুড়কি, আমন, আউশ ধানের চিড়া, মোয়া, বাতাসা, কদমা, খাগরাই, খেজুরের গুড়সহ নানা ধরনের খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা, সিরাজগঞ্জ শীর্ষক বইয়ে তাড়াশের এ দইমেলার বর্ণনা রয়েছে। বলা হয়েছে, জমিদার আমলে মেলায় ৭০০-৮০০ জন ঘোষ ৮ থেকে ১০ হাজার মণ দই নিয়ে এসে বিক্রি...
টক দই পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। রোজ একবাটি করে টক দই খেলে না ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। তবে অনেকের হয়তো জানা নেই, টক দইয়ের সঙ্গে অনেক ধরনের খাবার খাওয়া যায় না। এতে উপকারের পরিবর্তে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। যেমন- মাছ মাছের সঙ্গে টক দই না খাওয়াই ভালো। দই দিয়ে তৈরি মাছের কোনও পদ খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারও কারও ত্বকে অ্যালার্জি, র্যাশের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাছ ও দই একসঙ্গে খেলে দেহে টক্সিনের মাত্রা অত্যধিক পরিমাণে বেড়ে যায়। পেঁয়াজ অনেকেই পেঁয়াজ ও টক দই একসঙ্গে খান। কখনও তরকারি বানাতে আবার কখনও রায়তায় কাজে লাগে টক দই। পেঁয়াজ ও টক দই একসঙ্গে খেতে ভালো লাগলেও এতে পেটের সমস্যা হতে পারে। গ্যাস,পেট ফাঁপা, পেট খারাপ হতে পারে। দুধ...
যে কোনো বেলার খাবারের শেষে একটু হলেও দই থাকাটা রসনাবিলাসী বাঙালি আশা করতেই পারে। অঞ্চলভেদে পুরোনো সব আদব-কায়দা আমরা হরহামেশাই হারিয়ে ফেলি। বাঙালির এমন কিছু ইতিহাস, ঐতিহ্য, রেওয়াজ, সংস্কৃতি একেবারেই মুছে ফেলা বা ভোলা যায় না। মানুষের মধ্যে অল্পস্বল্প হলেও তা রয়ে যায়। জমিদারি আমলে চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশের তৎকালীন জমিদার রাজা রায় বাহাদুরের প্রচলন করা প্রায় ৩০০ বছর আগেকার দইয়ের মেলা তেমনি একটি ঐতিহ্য। ইতিহাস থেকে জানা যায়, সতেরো শতকে বাসুদেব তালুকদার নামে এক ব্যক্তি তাড়াশ অঞ্চলে জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন। মুর্শিদাবাদের নবাবের অধীন হয়ে রাজস্ব বিভাগে চাকরি নেওয়ার মাধ্যমে বাসুদেব তালুকদারের কর্মজীবন শুরু হয়। পাশাপাশি তাঁর সততা এবং নবাবের প্রতি আনুগত্যের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে তাড়াশ মহাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাঁকে ‘রায় চৌধুরী’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।...