Samakal:
2025-04-18@22:40:35 GMT

তাড়াশে ঐতিহ্যবাহী দইমেলা

Published: 3rd, February 2025 GMT

তাড়াশে ঐতিহ্যবাহী দইমেলা

তাড়াশ উপজেলা সদরের তাড়াশ ঈদগাহ মাঠে রোববার ঐতিহ্যবাহী দইমেলা শুরু হয়েছে। প্রতিবছর মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে এ মেলার আয়োজন করা হয়। স্থানীয়দের ভাষ্য, আড়াইশ বছর ধরে এই মেলা হয়ে আসছে।
দিনব্যাপী এই মেলায় এসেছেন বগুড়া, শেরপুর, রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা, ঘুড়কা, পাবনার চাটমোহরের হান্ডিয়াল, নাটোরের গুরুদাসপুরের শ্রীপুর, উল্লাপাড়ার ধরইলের দই বিক্রেতারা। মেলায় ক্ষীরশা দই, শাহি দই, টক দই, ডায়াবেটিক দই, স্পেশাল দই, প্রিমিয়ামসহ হরেক রকম দই বিক্রি করা হয়। দইয়ের পাশাপাশি মুড়ি, মুড়কি, আমন, আউশ ধানের চিড়া, মোয়া, বাতাসা, কদমা, খাগরাই, খেজুরের গুড়সহ নানা ধরনের খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা। 
বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা, সিরাজগঞ্জ শীর্ষক বইয়ে তাড়াশের এ দইমেলার বর্ণনা রয়েছে। বলা হয়েছে, জমিদার আমলে মেলায় ৭০০-৮০০ জন ঘোষ ৮ থেকে ১০ হাজার মণ দই নিয়ে এসে বিক্রি করতেন। মেলাকে ঘিরে এ অঞ্চলে সাজ সাজ রব পড়ে যেত। এলাকায় নাইওরে আসত বউ-ঝি। বাদ যেতেন না দূরের স্বজনরা। তিন দিনের মেলা ছিল জৌলুসে ভরা। দইয়ের বেশ চাহিদা থাকায় এ বছরও কোনো বিক্রেতার দই অবিক্রীত ছিল না বলে জানান বিক্রেতা উজ্জল ঘোষ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জিনদের আহার্য

মহানবী (সা.) একবার তার সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বললেন কিছু পাথর নিয়ে আসতে। তবে হাড় বা গোবর আনতে নিষেধ করলেন। আবু হুরায়রা (রা.) কাপড়ে করে কিছু পাথর এনে সেগুলো নবীজি (সা.)-এর পাশে রেখে চলে গেলেন। নবীজি (সা.) কাজ সেরে ফিরে আসার পর আবু হুরাইরা জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর রাসুল, হাড় ও গোবরে সমস্যা কী? তিনি উত্তরে বললেন, সেগুলো জিনদের খাবার। নাসিবিন শহরে (সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যে আলজাযিরার একটি নগরী) জিনদের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা সবাই খুব ভালো জিন। আমার কাছে খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করি। তাই তারা যে হাড় বা গোবরের পাশ দিয়ে যাবে, তাতেই নিজেদের জন্য খাবার খুঁজে পাবে। (বুখারি, হাদিস: ৩,৫৭৮)

আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫

তাই কেউ যদি বিসমিল্লাহ বলে খাবার খায় এবং হাড় থেকে মাংস খাওয়ার পর নাপাক স্থানে না ফেলে, মুমিন জিনেরা সেই হাড় হাতে নিলে তাতে গোশত ফিরে আসবে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩,২৫৮)

আর দুষ্ট জিন ও শয়তানরা খায় এমন খাবার, যাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয় না। যেসব খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়, সেগুলো তারা ছুঁয়েও দেখে না।

গোবরে জিনদের পশুদের জন্য খাবার জমা হয়। তার মানে জিনদের পোষা প্রাণী আছে এবং তারা তাতে আরোহণ করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘গোবর বা হাড় নাপাকি পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করো না। কারণ এগুলো তোমাদের ভাই জিনদের খাবার।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৮)

আরও পড়ুনকোরআন শুনে একদল জিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন০৬ আগস্ট ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ