টমেটো, শসা ও টক দইয়ের সালাদ শরীরকে হাইড্রেটেড বা জলযোজিত রাখতে ও পাচনতন্ত্র স্বাভাবিক রাখতে কার্যকর। শসা আঁশসমৃদ্ধ। এতে পাবেন নানা ধরনের ভিটামিন। আর এতে থাকা পানি খাবার হজমে সহায়ক। নিয়মিত শসা খাওয়ার ফলে পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। শসায় ভিটামিন কে এবং অল্প পরিমাণে ক্যালসিয়ামও পাওয়া যায়। ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৫ ও বি৭, ফসফরাসসহ আরও অনেক উপাদানও পাবেন এতে। নিয়মিত শসা খেলে পেট ভরা থাকে, ক্ষুধা লাগে কম, যেটা পরোক্ষভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।

আরও পড়ুনকিনওয়া ও ছোলার সালাদ বানাবেন যেভাবে২০ জানুয়ারি ২০২৫

টমেটো নিয়মিত খেলে মুখের ত্বকের সৌন্দর্য অটুট থাকে। বয়স বাড়ার সময় আমাদের মুখের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে, নিয়মিত টমেটো খেলে এই ছাপ পড়ে ধীরে ধীরে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও টমেটো সহায়ক।

এই সালাদটি কম দামে ও সহজে পাওয়া যায় বলে জনপ্রিয়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে পাঁচটি রাজ্য সরকার চায় বিএমজেপি

কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি দেশকে পাঁচটি রাজ্যে বিভক্ত করে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা প্রচলনসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছে বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টি (বিএমজেপি)। দলটি বলেছে, বাংলাদেশ আয়তনে ছোট হলেও ভূ-রাজনীতির কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। পৃথিবীর কোনো পরাশক্তি বাংলাদেশকে ছোট করে দেখতে পারবে না। সেজন্য প্রতিবেশী দেশসহ সব দেশের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্কের বিকল্প নেই। অবশ্যই সেই সম্পর্ক হবে সমমর্যাদা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত বিএমজেপি এর সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি উত্থাপন করা হয়। 

দলটির পাঁচদফা দাবিতে আরও রয়েছে, ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ আদর্শ প্রতিষ্ঠা; সর্বস্তরে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করে রাষ্ট্রের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা; জাতীয় শিক্ষাক্রমের সব পর্যায়ে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতিফলনশীল পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন এবং পাঠদানের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।

নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাওয়ার পর দলটির পক্ষে আয়োজিত প্রথম এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএমজেপি সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল। দলকে নিবন্ধন দেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন কমিশন ও উচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ভয়কে জয় করে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে বিএমজেপি।

তিনি বলেন, ছাত্রদের গণ-আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে স্থিতিশীলতা নিয়ে এসেছে। এ কাজে সেনাবাহিনী ও পুলিশবাহিনী নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উত্তরণে বড় রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকাও প্রশংসনীয়।
  
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএমজেপি এর মহাসচিব দিলীপ রায়, যুগ্ম মহাসচিব ডা. ফাইজুর রহমান, অ্যাডভোকেট তারক চন্দ্র রায় ও অ্যাডভোকেট সুধীর কুমার সূত্রধর।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ