Samakal:
2025-03-24@17:02:01 GMT

খালি পেটে টক দই খাওয়া কি ঠিক?

Published: 16th, February 2025 GMT

খালি পেটে টক দই খাওয়া কি ঠিক?

টক দই স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী এটা কমবেশি সবারই জানা। বিশেষ করে যারা দুধ খেতে পারেন না,তারা বিকল্প হিসেবে টক দই খেতে পারেন। তবে দইয়ে চিনি মেশালে হবে না। এর পরিবর্তে লবণ দিয়ে, বিশেষ করে বিট লবণ দিয়ে যদি টক দই খেতে পারেন তাহলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায। শরীর-স্বাস্থ্যের অনেক সমস্যার সমাধানও হয়। অনেকেরই প্রশ্ন, খালি পেটে টক দই খাওয়া কি আদৌ ঠিক?

দইয়ের ঘোল কিংবা লাচ্ছি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরে থাকে। এ কারণে খিদে পেলে দই খাওয়া যেতেই পারে। এতে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে থাকবে। সহজে খিদে পাবে না। দইয়ের শরবত তৈরি করে নেওয়াও খুবই সহজ। অল্প সময়ে বানিয়ে নেওয়া যায় এই স্বাস্থ্যকর পানীয়। 

খালি পেটে টক দই খাওয়া কেন উপকারী

দইয়ের মধ্যে প্রচুর প্রোবায়োটিকস থাকে যা আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। সেই সঙ্গে হজমশক্তি ভালো হয়। এতে বদহজম, অ্যাসিডিটি, গ্যাসের সমস্যা দূর হয়। পেট ভার লাগে না। প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ টক দই খালি পেটে খেলে অন্যান্য খাবার হজমে সাহায্য করবে। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও দূর হবে। নিয়মিত পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে। দইয়ের মধ্যে থাকা ক্যালশিয়াম, প্রোটিন হাড়ের গঠন মজবুত করে। হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। দইয়ের মধ্যে থাকা ভিটামিন বি পেশি মজবুত এবং সুঠাম করতেও সাহায্য করে। তাই খালি পেটে দই খেতে পারেন আপনি। গরমের দিনে খালি পেটে টক দই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকবে। বাইরের গরম বাতাস শরীরে প্রভাব ফেলবে না। দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা সঠিক ভাবে বজায় থাকবে। 

কিছু সমস্যাও রয়েছে 

খালি পেটে টক দই বেশি খেলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। তাই যাদের অ্যাসিডিটি হওয়ার প্রবণতা রয়েছে তাদের খালি পেটে টক দই না খাওয়াই ভালো। আবার দই যেহেতু ঠান্ডা জিনিস, তাই যাদের অল্পতেই ঠান্ডা লেগে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে খালি পেটে দই খাওয়ার অভ্যাস সর্দির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে যাদের সাইনাসের সমস্যা রয়েছে তা বাড়তে পারে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

বাজেট বাস্তবায়নে সচিবদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বজায় রাখার নির্দেশ অর্থ উপদেষ্টার

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বজায় রাখতে সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেন, ‘আমি তাঁদের বলেছি, বাজেট বাস্তবায়নে তাঁরা যেন জনগণের কল্যাণটা দেখেন এবং সময়মতো সবকিছু করা হয়।’

সচিবালয়ে আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক্‌-বাজেট আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন। বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ২৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে এ আলোচনা হয় অর্থ উপদেষ্টার। তিনি এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেকসহ মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সচিবেরা উপস্থিত ছিলেন।

সচিবেরা কী পরামর্শ দিলেন—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘পরামর্শ ঠিক না। আমি তাঁদের বলেছি, আমাদের বাজেটটা যথাসম্ভব বাস্তবায়ন করতে হবে।’ বলেছি, ‘তাঁরা যেন জনগণের কল্যাণটা দেখেন এবং বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকে। আরও বলেছি যে সময়মতো যেন সবকিছু করা হয়।’

আপনি যা বললেন, সব সরকারেরই দর্শন। বাজেট বাস্তবায়িত না হওয়া নিয়ে সচিবেরা কী সমস্যায় ভোগেন বলে আপনাকে জানিয়েছেন—এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আছে, অনেক কারণ আছে।’ একই আমলাতন্ত্র দিয়ে কি বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবেন—এ প্রশ্নেরও জবাব দেননি অর্থ উপদেষ্টা।

এদিকে ২৬ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন। চীনের সঙ্গে কোনো ঋণ চুক্তি হবে কি না, জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সেগুলো আমি বলব না। ইআরডি সচিব সে সফরে যাচ্ছেন।’

আগামী বাজেটে কোন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য কত টাকা বরাদ্দ থাকছে, তা ইতিমধ্যে ঠিক করেছে অর্থ বিভাগ। বৈঠকে অংশ নেওয়া তিনজন সচিবের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ সচিবই আগামী বাজেটে তাঁদের মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। যেমন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্তির জন্য তাদের বাড়তি টাকা লাগবে।

সূত্রগুলো জানায়, অর্থ উপদেষ্টা অপচয় রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে শুধু ভবন নির্মাণ, অর্থাৎ অবকাঠামো তৈরিতে সবাই মনোযোগী। এ অবস্থা আর চলতে দেওয়া যাবে না।

সংশোধিত বাজেট নিয়েও কথা উঠেছে আলোচনায়। সচিবেরা বলেছেন, প্রতিবছরই সংশোধিত বাজেট প্রণয়ন করতে দেরি হয়। এমনকি এবারের সংশোধিত বাজেট হতেও দেরি হচ্ছে। এতে বাজেট বাস্তবায়নে সমস্যায় পড়েন তাঁরা। এমন পরিস্থিতির অবসান চাইলে অর্থ উপদেষ্টা তাতে একমত পোষণ করেন।

আগামী বাজেটকে অংশগ্রহণমূলক করতে পাঁচটি প্রাক্‌-বাজেট আলোচনার উদ্যোগ দেন অর্থ উপদেষ্টা। প্রথমটি হয় ১৬ মার্চ অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে। এরপর প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক এবং ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে হয় আলাদা দুটি প্রাক্‌-বাজেট আলোচনা। আজ হয়েছে সচিবদের সঙ্গে। আজ মঙ্গলবার অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে রয়েছে প্রাক্‌-বাজেট আলোচনা।

আগের আলোচনাগুলোর পর অর্থ উপদেষ্টা যেসব কথা বলেছেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আগামী বাজেট হবে বাস্তবসম্মত। অহেতুক এর আকার বড় করা হবে না। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) স্থানীয় চাহিদাভিত্তিক প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কোটি কোটি ডলারের মাধ্যমে তৈরি করতে হবে, এমন ধরনের প্রকল্প নেওয়া হবে না এবং আগামী বাজেট হবে ব্যবসাবান্ধব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ