চাঁদপুরে দই মানেই যেনো চাঁদপুরের মতলব উত্তরের নন্দলালপুরের নাছিরের তৈরিকৃত মিষ্টি দই। যেমনি স্বাদ তেমনি পুষ্টিসমৃদ্ধ এই দই, দাবী এখানকার দই প্রেমীদের। আর এজন্যই প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নাছিরের দোকানে দই প্রেমীদের ভিড় লেগেই থাকে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রমজানকে ঘিরে নন্দলালপুরের নাসির দই ভাণ্ডারে গিয়ে বেচাবিক্রিতে ব্যস্ততা দেখা যায়।
মিজান নামের এক ক্রেতা বলেন, অন্যান্য স্থানের দইয়ের চেয়ে নাসিরের তৈরিকৃত দই পুষ্টিসমৃদ্ধ। কারণ, সে এখানকার গরুর খাঁটি দুধ দিয়ে নির্ভেজালভাবে দই তৈরি করে। আর দামও অন্যান্য স্থানের চেয়ে কম। তাই আমরা সময় সুযোগে দইয়ের প্রয়োজন হলেই এখানে দই কিনতে চলে আসি।
স্থানীয়রা জানান, এখানে এক সময় নাছির উদ্দিন (৩৮) তার বাবা মো.
নাসির উদ্দিন বলেন, “বাবার হাত ধরে ২০০৪ সালে মাত্র ২০ হাজার টাকা নিয়ে নেমে ২১ বছরের বেশি সময় যাবৎ চলছে আমার এই ব্যবসা। অভাব অনটনে নবম শ্রেণির বেশি পড়ালেখা করতে না পারিনি। তবে দই ব্যবসায় মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। মানুষজন দূরদূরান্ত থেকে এখানে এসে দই খেয়ে তৃপ্তি পান। যখন ভালো বলেন তখন মানসিক শান্তি পাই। আমি গ্রাম থেকে গরুর খাঁটি দুধ সংগ্রহ করে চিনি ও দুধের অনুপাত ঠিক রেখে চাহিদানুযায়ী গ্যাসের চুলায় বাড়িতে এবং কখনো দোকানেই দই তৈরি করে বিক্রি করছি। যে কেউ চাইলে আগাম অর্ডারও করতে পারেন এই দই।”
নাসির উদ্দিন আরও বলেন, “দুধের দাম বেশি হওয়ায় এখন খরচ পোষাতে এক গ্লাস দই ৩০ টাকা এবং কেজি প্রতি দই ২০০ টাকা দামে বিক্রি করছি। আমার তৈরিকৃত মিষ্টি দই বিক্রির জন্য কাচের ও প্লাস্টিকের গ্লাসে এবং পাতিলে করে সংরক্ষণে রাখি। প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ গ্লাস দই বিক্রি করছি। এছাড়াও পাতিলে করে প্রতিদিন দই বিক্রি হয় গড়ে ১৫ থেকে ২০ কেজি। এই ব্যবসা করেই আমার ২ মেয়ে ও ১ ছেলের পড়ালেখার খরচসহ স্ত্রী ও বাবা মাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করছি। তবে প্রশাসনিক বা কোন সংস্থা বা কারো কোন সহায়তা পেলে এই ব্যবসাটিকে আরও নান্দনিকভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হতো।”
ঢাকা/অমরেশ/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সোসিয়েদাদকে উড়িয়ে রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান বাড়াল বার্সেলোনা
লা লিগার শীর্ষস্থান আরও সুসংহত করলো বার্সেলোনা। রিয়াল সোসিয়েদাদকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে টানা সপ্তম জয় তুলে নিয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। ২৬ ম্যাচ শেষে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে এখন এককভাবে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে তারা এক পয়েন্ট এগিয়ে, আর ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ, যারা শনিবার রিয়াল বেতিসের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে।
ম্যাচের শুরুতেই অবশ্য সোসিয়েদাদ গোলের দেখা পেয়েছিল, তবে জাভি লোপেসের সেই গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। এরপর ১৭ মিনিটে দানি ওলমোকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন সোসিয়েদাদের আরিৎস এলুসতোন্দো, যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বার্সেলোনা এরপর ম্যাচে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে।
২৫ মিনিটে লামিনে ইয়ামালের দারুণ ড্রিবলিং থেকে বল পান দানি ওলমো, যিনি চিপ পাস বাড়ান জেরার্ড মার্টিনের উদ্দেশে। মার্টিন নিখুঁত কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠিয়ে দলকে এগিয়ে দেন। মাত্র চার মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বার্সেলোনার যুব অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা মার্ক কাসাদো। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলেও ওলমোর নেয়া শট কাসাদোর হাঁটু ছুঁয়ে জালে প্রবেশ করে।
৫৬ মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বলে প্রথমে হেড করেছিলেন লেভান্ডোভস্কি, তবে সোসিয়েদাদ গোলরক্ষক ফিরিয়ে দেন। তবে ফিরতি বলে হেড করেই জালে পাঠান রোনাল্ড আরাউহো। এরপর আরেকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেন আরাউহোই। তার শটে আলতো ছোঁয়া দিয়ে বলের দিক পরিবর্তন করে জালে পাঠান রবার্ট লেভান্ডোভস্কি, যা এবারের লিগে তার ২১তম গোল।