2025-03-19@19:46:45 GMT
إجمالي نتائج البحث: 8

«ঔপন ব শ ক»:

    জাতীয় রাজনীতি, শিল্প, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রখ্যাত ব্যক্তির নামে ঐতিহাসিক স্থাপনা বা প্রতিষ্ঠানের নামকরণের রীতি উন্নত-অনুন্নত প্রায় প্রতিটি দেশেই প্রচলিত রয়েছে। এটি কেবল একটি প্রশাসনিক বিষয় নয়, এটি একটি দেশের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক চেতনার প্রতিফলন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাস্তা, ভবন, প্রতিষ্ঠান, স্মৃতিস্তম্ভ, শহর বা এমনকি পুরো দেশের নাম পরিবর্তনের ঘটনা দেখা যায়। এই পরিবর্তনগুলোর পেছনে থাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, ঐতিহাসিক পুনর্মূল্যায়ন, সাংস্কৃতিক পরিচয় প্রতিষ্ঠা বা ঔপনিবেশিক অতীত থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা। নামকরণ ও নাম পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়া রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যা সমাজের মূল্যবোধ ও আদর্শকে প্রকাশ করে।ঔপনিবেশিক শাসনের ইতিহাস বহু দেশের স্থাপনাগুলোর নামে রয়ে গেছে। স্বাধীনতা অর্জনের পর অনেক দেশই ঔপনিবেশিক নাম পরিবর্তন করে নিজেদের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের মুম্বাই শহরটি ব্রিটিশ...
    পৃথিবীর বহু দেশ ভাষিক সাম্রাজ্যের কবলে পড়েছে। এতে জাতীয় আদর্শ পরিপন্থি আদর্শ অনুসরণ করে দেশগুলো নিজেদের ভাষানীতি প্রণয়ন করছে। এই বাস্তবতা থেকে ভাষিক সাম্রাজ্যবাদ ধারণার জন্ম। ভাষিক সাম্রাজ্যবাদ হলো প্রভাবশালী দেশের কোনো ভাষা কোনো অনুবর্তী দেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়াসবিশেষ। সাম্রাজ্যবাদী রাজনৈতিক শক্তি কর্তৃক অনুবর্তী দেশের জনগণের চাপিয়ে দেওয়ার এই প্রয়াস রাজনৈতিক সাম্রাজ্যবাদ থেকে উৎসারিত। সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর রাজনৈতিক ক্ষমতা, সামরিক ক্ষমতা বা অর্থনৈতিক ক্ষমতার মাধ্যম ভাষিক সাম্রাজ্যবাদিতা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। ইউরোপীয় দেশগুলোর এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার সাবেক উপনিবেশগুলোয় তাদের ভাষা দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রচলনের যে বাস্তবতা, তা মূলত ভাষিক সাম্রাজ্যবাদের বহিঃপ্রকাশ। সমসাময়িককালে আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থা, জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক ইত্যাদি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ভাষিক সাম্রাজ্যবাদীদের ভাষাগুলোকে বিশ্বায়নের ভাষা হিসেবে প্রচলনে তৎপর। বিশ্বজুড়ে ভাষিক সাম্রাজ্যবাদের বাস্তবতা হলো এই, সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশভুক্ত...
    জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক আবু সাঈদ খান রচিত ‘মুক্তিসংগ্রামে বিপ্লববাদ ও অন্যান্য’ গ্রন্থটিকে ঐতিহাসিক তথ্যাশ্রয়ী একটি বিশ্লেষণী গ্রন্থ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। এ গ্রন্থে সুলতানি শাসনাধীন সময়ের কিছু স্পর্শকাতর অংশ, ঔপনিবেশিক ও উপনিবেশোত্তর কাল, দেশভাগ, প্রাক-স্বাধীনতাকালের ধারাক্রমিক অভ্যুত্থান, একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ, বাংলাদেশোত্তর অস্থির রাজনীতি, এর প্রায় সব ঐতিহাসিক চরিত্র, ধাপ, ঝাঁপ, বাঁক, অভিঘাতসহ বর্ণিত ও বিশ্লেষিত। লেখক নিজেও বর্ণিত আন্দোলনঘন সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের প্রত্যক্ষদর্শী ও অংশী। তাই তাঁর বিশ্লেষণ হয়ে উঠেছে প্রাণময়; তত্ত্বের ওপর তথ্য, স্বপ্নাবিষ্টতার ওপর বাস্তবতা, অনুমানের ওপর অভিজ্ঞতা প্রাধান্য পেয়েছে। মানুষের পক্ষে নির্মোহ হওয়া কঠিন। গণতান্ত্রিক কাঠামোয় যেহেতু প্রত্যেকের হাতে অদৃশ্য রাজদণ্ড আছে, সেহেতু মোহমুক্ত মন নিয়ে তাকে রাজ্যভার বহন ও চালনার স্বার্থে ইতিহাসের প্রবাহ বুঝতে হয়, গন্তব্যের দিকে চোখ রাখতে হয়, প্রতিবন্ধকগুলোর মুখোমুখি হওয়ার সাহস...
    ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসচর্চা গত পাঁচ দশকে বদরুদ্দীন উমর থেকে বেশি দূর এগোয়নি। বদরুদ্দীন উমরের কালজয়ী গবেষণাগ্রন্থ পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি-এর প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৯৭০ সালে, তৃতীয় ও সর্বশেষ খণ্ড ১৯৮৪ সালে। ১৯৯০ সালে বদরুদ্দীন উমরের কাঠামোকে অনুসরণ করেই সামাজিক গবেষণার আদলে ইউপিএল থেকে বের হয় ভাষা আন্দোলনের আর্থ-সামাজিক পটভূমি। আর্কাইভমূলক কিছু কাজের বাইরে এর পরের তিন দশকের ইতিহাসকারেরা তাঁদের শ্রম খরচ করেছেন প্রধানত স্বাধীনতার পরে রাজনীতিতে ক্রিয়াশীল বিবিধ পক্ষের (আওয়ামী [মুসলিম]) লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন, তমুদ্দন মজলিসসহ ‘ডানপন্থী’ গ্রুপ এবং কমিউনিস্ট পার্টিসহ ‘বামপন্থী’দের ভূমিকা মূল্যায়নে। যার চূড়ান্ত পরিণতি দাঁড়িয়েছিল দেড় দশকজুড়ে ক্ষমতার চূড়ান্ত এককেন্দ্রীকরণের সমান্তরালে মুক্তিযুদ্ধের মতো ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকেও চরম একদেশদর্শী বয়ানে এঁটে ফেলার মধ্য দিয়ে।ইতিহাসের সত্য যে কেবল তথ্যে নিহিত থাকে না, নানা রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক...
    ‘প্রতিবাদের ভাষা’ কোনো মুখস্থবিদ্যা নয়, কিংবা কোনো ঔপনিবেশিক চাতুরি থেকেও এর পয়দা হয় না। জনতা থেকে জনপরিসর, প্রকৃতি থেকে সংস্কৃতি প্রতিবাদের ভাষা গড়ে ওঠে। নির্মিত হয়। বিদীর্ণ হয়। বিকশিত ও রূপান্তরিত হয়। মানুষের সমাজে প্রতিবাদের ভাষা বলতে আমরা হয়তো কেবলমাত্র ‘হোমো স্যাপিয়েন্স’ সমাজের আলাপই সামনে আনি। কারণ নিয়ানডার্থাল, ইরেকটাস, ডেনিসোভান বা ফ্লোরিয়েনসিস মানুষের প্রতিবাদের ভাষা আমাদের জানা নেই। এমনকি আমাদের ‘প্রতিবাদের ভাষার’ বয়ান বহুলভাবে, হয়তো অধিকাংশ সময় নিষ্ঠুরভাবে, প্রবল এথনোপোসেন্ট্রিক। প্রতিবাদের ভাষা বলতে আমরা কেবল ‘মানুষকেন্দ্রিক’ প্রতিবাদের ভাষা বুঝি। আড়াল ও অপর হয়ে যায় পাখি, মাছ, গাছ, পতঙ্গ প্রাণ-প্রকৃতি। সাফারিং পার্কের বন্দিদশা ভেঙে মুক্ত হওয়া নীলগাইয়ের প্রতিবাদের ভাষা বোঝার দায় ও দরদ এখনও আমাদের তৈরি হয় নাই। নির্বিচার বালু উত্তোলনের নামে নৃশংসভাবে ক্ষতবিক্ষত করা একটি মুমূর্ষু নদীর প্রতিবাদের ভাষা কী?...
    জলবায়ু পরিবর্তন এমন এক বিষয়, শুনলেই সাধারণত আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। অসময়ে বন্যা, তীব্র জলোচ্ছ্বাস, খরা, বাসযোগ্যহীন লোকালয় ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কাবু মানব জাতির চিত্র ফুটে ওঠে। মনে হয়, এক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই মানুষের এই দুর্দশা। বস্তুত এমন চিত্র তুলে ধরা হয়ে থাকে, যেন জলবায়ু পরিবর্তন এক বিরাট দানবীয় বিষয়। পৃথিবীর ‘সাজানো গোছানো পরিবেশ’ তছনছ করে দিচ্ছে। বৈশ্বিক এই ধারণার সঙ্গে বঙ্গীয় ব-দ্বীপে অবস্থিত আমাদের প্রিয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশও এই ধারণায় বিস্ময়করভাবে প্রভাবিত। প্রশ্ন হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে এই ধারণার দার্শনিক রূপরেখা কী? বৈশ্বিক পরিবেশ ব্যবস্থাপনার মূলধারায় ‘জলবায়ু পরিবর্তন’ শব্দটি চার দশক ধরে সাধারণত বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বৈজ্ঞানিক অনুমান ও অনুসন্ধানের ভিত্তিতে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন এটা ব্যবহারে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এর সাধারণ ভাষ্য অনুযায়ী বায়ুমণ্ডলের অবনতির মূল হোতা বায়ুদূষণের কারণে...
    শওকত আলী বাংলা কথাসাহিত্যে একজন শক্তিমান ও বিরলপ্রজ ঔপন্যাসিক। স্বতঃস্ফূর্ততা ও সাহসিকতার সঙ্গে তিনি তাঁর বক্তব্যকে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। ষাটের দশকে বাংলা কথাসাহিত্যের জগতে প্রবেশ করেই তিনি তাঁর সক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করেন। প্রচলিত সাহিত্যাদর্শের সমান্তরাল ধারার বিষয়ে যেমন নিয়ে আসেন অভিনবত্ব, কলাকৌশলে নিয়ে আসেন বৈচিত্র্যময় টেকনিক, তেমনি ট্রিটমেন্ট ও পদ্ধতিগত ভিন্নতা। বাংলা কথাসাহিত্যের প্রবহমান ধারায় অঙ্গীভূত থেকে, অগ্রজদের সাহিত্যকর্মের নির্যাস আহরণ করে, সমকালীনদের  মধ্যে থেকেও শওকত আলী নির্মাণ করেছেন আপন শিল্পভুবন। সাতচল্লিশপূর্ব ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কাল, ষাটের দশকের নব্য ঔপনিবেশিক কাল, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা-পরবর্তী বাঙালি জীবন, ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থান, বিশ শতকের প্রযুক্তিযুগসহ দীর্ঘ পাঁচ দশকের বাঙালি জীবন তাঁর উপন্যাসে চিত্রিত হয়েছে স্বতন্ত্রধারায়। প্রথম উপন্যাস ‘পিঙ্গল আকাশ’-এ অভাজনের জীবনমথিত কান্না শোনা গেলেও এ উপন্যাসে শহর ও গ্রামকে তিনি একীভূত করেছেন। শওকত আলীর কথাসাহিত্যে...
    ৭২ বছর বয়সী তুর্কি লেখক বলেছেন তাঁর বাবার শৈল্পিক পৃষ্ঠপোষকতা, মধ্যপ্রাচ্যে একজন নারীবাদী হওয়া, ইস্তাম্বুলের প্রতি তাঁর ভালোবাসা আর সরকারি দমনপীড়নভীতি ইত্যাদি বিবিধ প্রসঙ্গে। কথা বলেছেন হ্যানা নিউটন। অনুবাদ: আহসানুল করিম আমি বেড়ে উঠেছি একটি মধ্যবিত্ত বুর্জোয়া সেক্যুলার পরিবারে। বাবার বড় একটি লাইব্রেরি ছিল। তিনি শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী ছিলেন এবং প্রায়ই জঁ-পল সার্ত্রের কথা বলতেন। অন্যদিকে যখন আমার বন্ধুদের বাড়িতে যেতাম, দেখতাম তাদের বাড়িতে তেমন বেশি বইপত্র নেই। তাদের বাবারা চাইতেন তারা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা (পাশা), ধনী রাজনীতিবিদ, এমনকি ধর্মের পথে বীর হয়ে উঠুক। তারা কেউ কোনোদিন বলেনি: “একজন কল্পনাশক্তিসম্পন্ন লেখক কিংবা শিল্পী হও।” আমার বাবা ছিলেন ব্যতিক্রম। আমার বাবা ছিলেন একজন স্বাপ্নিক মানুষ যিনি কবি হতে চেয়েছিলেন। আমার মা ছিলেন বাস্তববাদী। তিনি বলতেন, “সোনা, যদি সত্যিই তুমি একজন...
۱