Prothomalo:
2025-04-14@04:03:58 GMT

শতক পূর্ণ করেও ‘নটআউট’ যে বই

Published: 10th, April 2025 GMT

উপন্যাস বা চলচ্চিত্র—যেভাবেই হোক নামটা কম-বেশি সবারই জানা। অবধারিতভাবে এটি আছে ‘বইয়ের পোকা’দের পছন্দের তালিকায়। আর সৃজনশীলতার সঙ্গে এ অবধি সেলুলয়েডে বন্দী করা হয়েছে আমেরিকান ধ্রুপদি সাহিত্যের যত গল্পকাহিনি, সেগুলোরও অন্যতম এ উপন্যাস। পাঠক এতক্ষণে কয়েকটি নামের মধ্যে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছেন। লেখকের নামই না হয় প্রথমে বলি, ফ্রান্সিস স্কট ফিটজেরাল্ড, যিনি স্কট ফিটজেরাল্ড নামে সমধিক পরিচিত। এখন যে কেউই বলতে পারবেন, মার্কিন এই ঔপন্যাসিকের অমর ‍সৃষ্টি দ্য গ্রেট গ্যাটসবির কথাই বলা হচ্ছে।

১৯২৫ সালের ১০ এপ্রিল প্রথম প্রকাশিত হয় এ উপন্যাস, প্রকাশনা সংস্থা স্ক্রিবনার। আজ প্রকাশের শত বছর পূর্ণ হচ্ছে উপন্যাসটির। এখনো এটি সমানভাবে আলোচিত, পাঠকনন্দিত এবং প্রাসঙ্গিকও বটে। তাহলে আর কী বাকি থাকে একটি বইয়ের ‘কালজয়ী’ হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের? থাকে না।

তবে অবাক করার বিষয়, ভূয়সী প্রশংসা ও ইতিবাচক পর্যালোচনার পরও শুরুর দিকে উপন্যাসটির বিক্রি ছিল হতাশাজনক। ত্রিশের দশক পেরিয়েও এর পাঠক ছিল সীমিত। ১৯৪০ সালের ২১ ডিসেম্বর মাত্র ৪৪ বছরে মারা যান স্কট ফিটজেরাল্ড। পরের বছর ১৯৪১ সালে স্ক্রিবনার নতুন করে বাজারে আনে দ্য গ্রেট গ্যাটসবি এবং এ পর্যায়ে দান উল্টে যায়। পণ্ডিত ও বিদগ্ধ পাঠকমহলে বিপুল সাড়া পড়ে। বিক্রি বাড়তে থাকে হু হু করে। যার ফল হয়েছে এই: বিশ শতকের কোনো মার্কিন ঔপন্যাসিকের লেখা বেশি পঠিত উপন্যাসের একটি দ্য গ্রেট গ্যাটসবি।

উপন্যাসটির পটভূমি আমেরিকার গত শতকের বিশের দশকের উত্তাল সময়, ডামাডোলপূর্ণ ‘জ্যাজ এজ’। এতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘আমেরিকান স্বপ্ন’, প্রণয়, ধনসম্পদ ও নৈতিক অধঃপতনের এক নিটোল চিত্র, অনবদ্য দক্ষতায়।

উপন্যাসটি প্রথম পুরুষে বর্ণিত, তিনি নিক ক্যারাওয়ে। এই ইয়েল গ্র্যাজুয়েট মিডওয়েস্ট থেকে ওয়েস্ট এগে (কল্পিত স্থান) যান বন্ড ব্যবসার জন্য। তিনি উপন্যাসের প্রধান চরিত্র জে গ্যাটসবির বিশাল প্রাসাদের পাশে একটি ছোট বাড়ি ভাড়া নেন। কোটিপতি গ্যাটসবি বাইরের মানুষের কাছে অনেকটাই রহস্যাবৃত। তিনি জাঁকজমকপূর্ণ পার্টি দেওয়ার জন্য সুপরিচিত। উপসাগরের ওপারে ইস্ট এগে (এটিও কল্পিত স্থান) থাকেন ক্যারাওয়ের কাজিন ডেইজি বুকানন ও তাঁর ধনকুবের স্বামী টম বুকানন।

ফ্রান্সিস স্কট ফিটজেরাল্ড.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপন য স

এছাড়াও পড়ুন:

ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শেষ, গাজায় নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা

রাজধানীর রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শেষের আগমুহূর্তে শিল্পী ও দর্শনার্থীরা দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। পরে ছায়ানটের শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে ছায়ানটের এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শেষ হয়।

নীরবতা পালনের আগে ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ মানবতার বিপর্যয় এবং গণহত্যায়, বিশেষ করে শিশু হত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ফিলিস্তিনবাসী আপন ভূমি রক্ষায় যে সংগ্রাম করছেন, তার প্রতি আমরা সংহতি জানাই। ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহত মানুষদের স্মরণে সবাইকে এক মিনিট নীরবতা পালনের অনুরোধ করছি।

এবার ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। আলো, প্রকৃতি, মানুষ ও দেশপ্রেমের গান দিয়ে সাজানো হয় আজকের অনুষ্ঠান।

বাংলা বর্ষবরণের এ আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলেও এই অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়।

দেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংস্থা ছায়ানট ১৯৬৭ সাল থেকে রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। এবার ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিতে গত তিন মাস ধরে ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে চলে গানের মহড়া। 

ঢাকা/সুকান্ত/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ