2025-04-21@00:23:41 GMT
إجمالي نتائج البحث: 10
«আরএসএস র»:
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস এবং কেন্দ্রে থাকা বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, ‘তৃণমূল বিজেপির স্ক্রিপ্ট এক, তা লেখা হয়েছে নাগপুরে, লিখে দিয়েছেন মোহন ভাগবত।’আজ রোববার বিকেলে কলকাতার ঐতিহাসিক ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে পশ্চিমবঙ্গের বাম দল সিপিএম–সমর্থিত চার গণসংগঠনের ডাকে আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশে এ কথা বলেন সেলিম।আজ ব্রিগেডে প্রচুর বাম কর্মী–সমর্থকের ভিড় হয়। সেই জনস্রোতের দিকে তাকিয়ে সেলিম বলেন, ‘যাঁরা দুরবিন দিয়ে লাল ঝান্ডা দেখতে পাচ্ছিল না, তাদের বুকে কাঁপন ধরাবে এই ব্রিগেড। কাজের জায়গা ছোট হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্র, রাজ্যে কোথাও নিয়োগ হচ্ছে না। যেখানে নিয়োগ হচ্ছে, সেখানে দুর্নীতির পাহাড়।’ব্রিগেডে এই মহাসমাবেশের ডাক দেয় সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু, প্রাদেশিক কৃষক সভা, ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন এবং রাজ্যের বস্তি ফেডারেশন।সমাবেশের প্রধান বক্তা...
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিকে ধারাবাহিকভাবে আক্রমণ করলেও ভারতে হিন্দুত্ববাদের মূল সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে (আরএসএস) সাধারণত কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন না। বরং তিনি অতীতে বলেছেন, আরএসএসে ভালো লোক আছেন। কিন্তু ১১-১২ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এক খোলাচিঠিতে মমতা সরাসরি আরএসএসের সমালোচনা করেছেন। ‘শান্তির আবেদন’ শীর্ষক ওই খোলাচিঠি গতকাল শনিবার রাতে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আসে।খোলাচিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘বিজেপি এবং তাদের সঙ্গীরা পশ্চিমবঙ্গে হঠাৎ খুব আক্রমণাত্মক হয়েছে। এই সঙ্গীদের মধ্যে আরএসএসও আছে। আমি আগে আরএসএসের নাম নিইনি, কিন্তু এবার বাধ্য হয়েই বলতে হচ্ছে, রাজ্যে যে কুশ্রী মিথ্যার প্রচার চলছে তার মূলে তারাও আছে। প্ররোচনার সূত্রে একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা (মুর্শিদাবাদের দাঙ্গা) ঘটে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতটিকে এরা ব্যবহার করছে। ব্যবহার করছে বিভেদের রাজনীতি করার...
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির ‘একরোখা নেতা’ হিসেবে পরিচিত দিলীপ ঘোষ আজ নিজের চিরকুমারের তকমা ঘোচাবেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার সল্টলেকের নিউটাউনের বাসভবনে বিয়ে হবে। এ বিয়ে হবে অনাড়ম্বরভাবে। পাত্রী তাঁর দল বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু মজুমদার।দিলীপ ঘোষের বাড়ি ঝাড়গ্রামে। এখন তিনি থাকছেন কলকাতার সল্টলেকের নিউটাউনের আবাসিক এলাকায়। বিয়ের অনুষ্ঠানে কিছু বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়স্বজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।গ্রামের বাড়ি ঝাড়গ্রাম থেকে সপ্তাহখানেক আগে দিলীপের মা চলে এসেছেন কলকাতায়। ছেলের সংসার গুছিয়ে তিনি পরে ফিরে যাবেন তাঁদের ঝাড়গ্রামের বাড়িতে।বিজেপির অনেক নেতাই বলছেন, দিলীপ ঘোষ দেখিয়ে দিলেন রাজনৈতিক জীবনের মতো তিনি ব্যক্তিগত জীবনেও একই রকম ‘কালারফুল’। তিন কাউকে রেয়াত দিয়ে কথা বলেন না। দিলীপ ঘোষ তিন মাস ধরে প্রেমে হাবুডাবু খাচ্ছিলেন।দিলীপ ঘোষ বহু বছর আগে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএসে নাম...
ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) দাবি করেছে, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ‘নিরবচ্ছিন্ন ও পদ্ধতিগত নির্যাতন’ চলছে। এর পেছনে ‘পাকিস্তান ও ডিপ স্টেট’ জড়িত রয়েছে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। আরএসএসের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (এবিপিএস) শনিবার বেঙ্গালুরুতে তাদের বার্ষিক সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস করেছে। এই প্রস্তাবে বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ‘প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়ন’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে উত্থাপন করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রস্তাবে অভিযোগ করা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রশাসনের কিছু অংশের পরোক্ষ সহায়তায় উগ্র ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলো মন্দির, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ পরিচালনা করছে। এর মধ্যে রয়েছে দেবদেবীদের অপবিত্র করার অভিযোগ, অগ্নিসংযোগ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ এবং...
এমন একটা পরিস্থিতিতে পড়তে হবে, তা হয়তো কল্পনাও করেনি ভারতের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদি সরকার। প্রশ্ন করলেই মিলছে এমন জবাব, যা দেশটির ক্ষমতাসীন কট্টরপন্থি বিজেপি-আরএসএস সরকারের মুখ বন্ধ করতে যথেষ্ট। এর প্রতিকারও বের করতে পারছে না। কারণ, এর পেছনে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে মার্কিন ধনকুবের ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজন ইলন মাস্কের। সূত্র: দ্য ওয়্যার কথা হচ্ছিল উন্নতমানের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) চ্যাটবট ‘গ্রোক-৩’ নিয়ে। ইলন মাস্কের সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’ ব্যবহারকারীরা এর মাধ্যমে নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে পারছেন। যে কোনো বিষয়ের সত্যতা যাচাই করতে পারছেন। গ্রোকের দাবি, এসব জবাব পুরোপুরি তথ্যনির্ভর। তবে এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে কট্টরপন্থি সংগঠনগুলো। এতদিন এসব সংগঠন যা দাবি করছিল, গ্রোক তার উল্টো উত্তর দিচ্ছে। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ‘বার ডান্সার’ ছিলেন কিনা– প্রশ্নে বলছে, তিনি বার অ্যাটেন্ডেন্ট হিসেবে কাজ...
এভাবে অতর্কিতে আক্রান্ত হতে হবে, বেইজ্জত হতে হবে, সত্য উদ্ঘাটিত হয়ে তাঁদের বে–নকাব হতে হবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি কিংবা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) সম্ভবত তা কল্পনাও করতে পারেননি। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায়ইবা কী, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণাও নেই। তাঁদের কাছে এ যেন ছায়ার সঙ্গে কুস্তি।ভারতের শাসককুলকে অপ্রত্যাশিত এই লড়াইয়ের মুখোমুখি করিয়েছে উন্নতমানের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর চ্যাটবট ‘গ্রোক ৩’। ইলন মাস্কের সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’ ব্যবহারকারীরা যার মাধ্যমে নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে পারছেন। যেকোনো বিষয়ের সত্যতা যাচাই করতে পারছেন। সেই উত্তর, ‘গ্রোক ৩’–এর দাবি অনুযায়ী, পুরোপুরি তথ্যনির্ভর।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নির্ভর ভারতের রাজনীতি আচমকাই চনমনে হয়ে উঠেছে এই ‘গ্রোক ৩’–এর রকমারি উদ্ঘাটনে। বিরোধীরা হাতে পেয়েছেন নতুন অস্ত্র। এত দিন ধরে যে দাবি তাঁরা জানিয়ে আসছিলেন, যে অভিযোগ করে আসছিলেন, অথচ সরকার...
রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) সম্পর্কে নিজের মন্তব্য থেকে এক চুলও সরতে নারাজ মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র তুষার গান্ধী। গতকাল শুক্রবার তিনি বলেছেন, আরএসএসের আচরণ তাঁকে আরও দৃঢ় করে তুলেছে। তারা কত বড় বিশ্বাসঘাতক, তা আরও জোরালোভাবে তিনি প্রমাণ করবেন।সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে আরএসএসকে ‘বিষ’ বলে অভিহিত করেছিলেন তুষার। সেই মন্তব্যের জন্য আরএসএস তাঁকে দুঃখ প্রকাশ করতে বলেছিল। বলেছিল ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে। কিন্তু তুষার বলেছিলেন, ‘আমি তা করি না, করবও না। বরং তাদের আচরণ আমাকে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করেছে বিশ্বাসঘাতকদের চরিত্র উদ্ঘাটনে।’মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র বলেছিলেন, ‘এই লড়াই স্বাধীনতা সংগ্রামের চেয়েও বেশি জরুরি। আমাদের শত্রু এখন একটাই। সেই শত্রুর মুখোশ খুলে দেওয়া দরকার।’এ সপ্তাহে কেরালার তিরুবনন্তপুরম জেলার নেয়াট্টিনকারায় বিশিষ্ট গান্ধীবাদী গোপীনাথন নায়ারের এক আবক্ষ মূর্তির উন্মোচন উপলক্ষে তুষার গান্ধী বলেছিলেন, ‘বিজেপিকে...
ভারতের নরেন্দ্র মোদির সরকার ‘ফ্যাসিস্ট’ বা ‘নিও ফ্যাসিস্ট’ কি না, তা নিয়ে কেরালায় শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। সিপিএমের ২৪তম পার্টি কংগ্রেসের প্রাক্কালে দলের পক্ষে রাজ্যে রাজ্যে রাজনৈতিক প্রস্তাবের যে খসড়া পাঠানো হয়েছে, বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়েই। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মোদি সরকারের ১১ বছরের কাজকর্মে নব্য ফ্যাসিস্ট বৈশিষ্ট্যের বিচ্ছুরণ ঘটলেও সরকারকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দেওয়া হচ্ছে না। প্রস্তাব অনুযায়ী, বিরোধীদের দমানো ও গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধে কর্তৃত্ববাদী মোদি সরকারের চাপ ও প্রতিক্রিয়াশীল হিন্দুত্ববাদের প্রসারের মধ্য দিয়ে নব্য ফ্যাসিবাদী বৈশিষ্ট্যগুলোর বিচ্ছুরণ দেখা দিচ্ছে। সিপিএমের আদর্শগত মুখপত্র বলে পরিচিত চিন্তা সাপ্তাহিকে প্রস্তাবের ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, বিজেপি ও আরএসএসের কাজকর্মে নব্য ফ্যাসিবাদী লক্ষণ থাকলেও মোদি সরকারকে ফ্যাসিস্ট বা নব্য ফ্যাসিস্ট বলা হচ্ছে না। ভারত সরকারকে ওভাবে চিত্রায়িতও করা হচ্ছে না।রাজ্যে রাজ্যে ওই প্রস্তাব আলোচনার...
এ মাসের শুরুতে দিল্লিতে কেজরিওয়ালের দলের পরাজয়ের কথা জেনেছি আমরা। এ সংবাদের আড়ালে একই সপ্তাহে একই শহরে ঘটে যাওয়া আরেক সামাজিক ঘটনার সংবাদ হয়তো অনেকের নজর এড়িয়ে গেছে।রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) দিল্লিতে নতুন অফিসে উঠল ৮ ফেব্রুয়ারি, বিধানসভা নির্বাচনের কমবেশি ৭২ ঘণ্টা পর। ১৫০ কোটি রুপিতে তৈরি চার একর জায়গায় এই দপ্তর। তাতে আছে ১২ তলাবিশিষ্ট তিনটি ভবন। ৩০০ কক্ষের ‘কেশব কুঞ্জ’ বানানো হয়েছে শতবর্ষী পুরোনো এই দল তাদের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগওয়ারের নামে।১৯৩৯ সালে দিল্লিতে প্রথম ছোট্ট একটা দপ্তর খুলেছিল আরএসএস। ৮৬ বছরে তারা আজকের এই অবস্থায় এল। তিন দিন আগে কেজরিওয়ালের দলকে বিধ্বস্ত করে নতুন বাড়িতে ওঠার উদ্যাপনটা অনন্য এক উচ্চতায়ও নিয়ে গেল সংঘ পরিবার।ফেব্রুয়ারির শুরুতে দিল্লিতে ঘটে যাওয়া দুটি ঘটনা শীতল এক অনুভূতি ছড়িয়েছে সুদূর কলকাতার মেরুদণ্ডজুড়েও।...
দিল্লি ভারতের একটি শহর। এখানে যে-ই বসুক, এর ক্ষমতা সীমিত। তবে শনিবার প্রকাশিত লোকসভা নির্বাচনের ফলে যেভাবে বিজেপির জয় আমরা দেখেছি, তাতে এ জয় জাতীয় রাজনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। অপ্রত্যাশিত ধাক্কার পর গত বছর হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্র প্রদেশে বিজেপি ফিরে আসার অসাধারণ ক্ষমতা দেখিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এটি তার মিত্রদের ধরে রাখার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, শিবসেনার (ইউবিটি) একটি দল শিগগিরই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে যোগ দিতে পারে। ২৭ বছরের দীর্ঘ রাজনৈতিক প্রচেষ্টার পর বিজেপি দিল্লি দখল করেছে। প্রথমে শীলা দীক্ষিতের বিরুদ্ধে জয়লাভ, যখন তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ সাল ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। তারপর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছ থেকে, যিনি শীলা দীক্ষিতকে ২০১৩ সালে পরাজিত করেছিলেন এবং ২০১৫ ও ২০২০ সালে দিল্লিতে ক্ষমতায় বসেন। এমনকি নরেন্দ্র মোদি ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে...