ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) দাবি করেছে, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ‘নিরবচ্ছিন্ন ও পদ্ধতিগত নির্যাতন’ চলছে। এর পেছনে ‘পাকিস্তান ও ডিপ স্টেট’ জড়িত রয়েছে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

আরএসএসের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (এবিপিএস) শনিবার বেঙ্গালুরুতে তাদের বার্ষিক সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস করেছে। এই প্রস্তাবে বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ‘প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়ন’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে উত্থাপন করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রস্তাবে অভিযোগ করা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রশাসনের কিছু অংশের পরোক্ষ সহায়তায় উগ্র ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলো মন্দির, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের  ওপর আক্রমণ পরিচালনা করছে। এর মধ্যে রয়েছে দেবদেবীদের অপবিত্র করার অভিযোগ, অগ্নিসংযোগ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ এবং নারীদের ওপর যৌন সহিংসতা। 

আরএসএস দাবি করেছে, এই সহিংসতা কেবল বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয় বরং এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। “প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে অবিশ্বাস এবং শত্রুতার পরিবেশ তৈরি করার জন্য আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো, বিশেষ করে পাকিস্তান এবং ডিপ স্টেটের সম্মিলিত প্রচেষ্টা চলছে” বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য এবিপিএস ভারত সরকারের প্রতি কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছে। প্রস্তাবে জাতিসংঘসহ বিশ্বব্যাপী সংস্থাগুলোকে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ত ব

এছাড়াও পড়ুন:

৩২ এর প্রজ্ঞাপন বাতিল না করলে ২৭ এপ্রিল সমাবেশ

সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স সর্বনিম্ন ৩২ বছরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে পুরুষদের সর্বনিম্ন ৩৫ ও নারীদের সর্বনিম্ন ৩৭ বছর করার দাবি জানিয়েছেন ৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ। দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ২৭ এপ্রিল বৃহৎ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তারা।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন ।

লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বাস্তবায়নের দাবিতে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার আমাদের যৌক্তিক দাবির প্রতি কোনো গুরুত্ব দেয়নি। বর্তমান অন্তবর্তী সরকারও ৩৫ এর পরিবর্তে ৩২ বছরের প্রজ্ঞাপন জারি করে আমাদের সঙ্গে প্রহসন করেছে, যা আমরা ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছি। 

আরো পড়ুন:

ঢাবিতে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম খুঁজতে তদন্ত কমিটি

‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম পরিবর্তন করায় ঢাবি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

তারা আরো বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে করোনা, সেশনজট, অর্থনৈতিক মন্দা, টানা ১৬ বছর দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ, নিয়োগ দুর্নীতি, প্রক্সি, সুপারিশসহ নানা কারণে প্রকৃত মেধাবী সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার স্বাক্ষর রাখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। 

প্রত্যাশার কথা জানিয়ে তারা বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল দীর্ঘ ১৬ বছরের লড়াই, সংগ্রাম, আত্মত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন সরকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫/৩৭ (সুপারিশ) বাস্তবায়ন করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত প্রজন্মগুলোকে নতুন করে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ করে দেবে। কিন্তু বর্তমান সরকার তা না করে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করার কারণে বিগত ১৬ বছরে প্রকৃত ক্ষতিগ্রপ্ত প্রজন্মগুলো বাদ পড়ে গেছে ।

হুশিয়ারি দিয়ে তারা বলেন, আবেদনের বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৩২ বছরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে পুরুষদের সর্বনিম্ন ৩৫ ও নারীদের সর্বনিম্ন ৩৭ বছর করতে হবে। আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে এ দাবি বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে উপযুক্ত পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হলে আগামী ২৭ এপ্রিল জাতীয় জাদুঘরের সামনে বৃহৎ সমাবেশ করা হবে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ