2025-04-01@00:21:24 GMT
إجمالي نتائج البحث: 11
«আবদ ল ল হ ইবন ল হ র স»:
আরব উপদ্বীপের আস-সারাত অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন উম্মু রুমান বিনতে আমির। তাঁর বিয়ে হয় আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস ইবনে সাখবারার সঙ্গে। এই বিয়েতে তুফাইল ইবনে আবদিল্লাহ নামের এক পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করেন উন্মু রুমানের ঘরে। (তাবাকাতে ইবনে সাদ, ৮/১৯৩)আবদুল্লাহ ইবনুল হারিসের স্বপ্ন ছিল কাবার প্রতিবেশী হওয়া। স্ত্রী সন্তান নিয়ে তিনি বসতি স্থাপন করেন কাবায়। সেই যুগের নিয়ম ছিল, বাইরের কেউ যদি মক্কায় এসে থাকতে চায়, তাহলে স্থানীয় কারও সঙ্গে মৈত্রী চুক্তি করতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস মৈত্রী চুক্তি করেন আবু বকরের (রা.) সঙ্গে। (তাবাকাতে ইবনে সাদ: ৮/১৯৩)কিছুদিন যেতে না যেতে আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস ইন্তেকাল করেন। উম্মু রূমানের কাছে মক্কা ছিল ‘বিদেশ’। এখানে তাঁর আত্মীয় নেই, পরিচিত কেউ নেই। স্বামী হারিয়ে ছোট সন্তান নিয়ে একেবারে অসহায় হয়ে পড়েন তিনি। ঠিক সেই সময়...
রোজার দিনে এমন কিছু পরিস্থিতি তৈরি হয় যে আমরা ধন্দে পড়ে যাই, রোজাটা আসলেই নষ্ট হয়ে গেল কিনা। আসুন, এ সম্পর্কে কয়েকটি মাসআলা জেনে নিই। মাসআলা ১: রোজা অবস্থায় মুখে জমা থুতু বা লালা গিলে ফেলার কারণে রোজার ক্ষতি হয় না। কিন্তু মুখ থেকে রক্ত বের হলে সেই রক্ত থুতুর সঙ্গে গিলে ফেললে তাতে রোজা ভেঙে যাবে। তবে থুতুর চেয়ে রক্তের পরিমাণ কম হলে এবং গিলে ফেলার সময় রক্তের অনুভূতি না পেলে রোজা নষ্ট হবে না। (কিতাবুল ফিকহ, ১/৯২০) মাসআলা ২: দাঁতের ফাঁকে গোশত বা সুপারির অংশ অথবা অন্য কোনও বস্তু কিংবা খাদ্যদ্রব্য আটকে থাকলে তা যদি খিলাল বা জিহ্বা দিয়ে বের করে ফেলা হয়, তাহলে রোজা নষ্ট হবে না। কিন্তু তা বের না করে যদি গিলে ফেলে এবং সেই খাদ্যদ্রব্য একটি...
একবার খলিফা উমর (রা.) এক নারীর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার কী হয়েছে?’ নারীটি বললেন, ‘কয়েক মাস ধরে আমার স্বামী আমার কাছ থেকে দূরে আছে। তাঁকে আমার কাছে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তীব্র হয়ে উঠেছে।’উমর (রা.) তখন তাঁর মেয়ে হাফসা (রা.)–র কাছে গিয়ে বললেন, ‘আমি তোমার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে চাই। আমাকে সাহায্য করো। স্বামী কত দিন দূরে থাকলে স্বামীকে কাছে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা মেয়েদের মধ্যে তীব্র হয়ে ওঠে?’হাফসা (রা.) লজ্জায় মাথা নত করে ফেলেন। উমর (রা.) তখন বললেন, ‘আল্লাহ সত্য প্রকাশের ব্যাপারে লজ্জা করেন না।’হাফসা (রা.) তখন হাতে ইশারা করে বুঝিয়ে দিলেন তিন বা চার মাস।উমর (রা.) নির্দেশ দিলেন, কোনো সৈনিককে যেন চার মাসের বেশি সময় আটকে রাখা না হয়।হাফসা (রা.) ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)–র কন্যা। তাঁর ভাই...
মদিনায় এক লোক ছিল, যাকে সবাই বলত ‘হিমার’ মানে গাধা। মহানবী মুহাম্মাদ (সা.)-কে সে এত ভালোবাসত যে, নবীজি (সা.) তাঁর সম্পর্কে ঘোষণা করেছেন, নিশ্চয়ই সে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে ভালোবাসে।তার নাম ছিল আবদুল্লাহ। তার বাবার নাম নুয়াইমান। সেই সূত্রে তাকে ইবন নুয়াইমান, আবার কখনো বাবার নামে তাকে নুয়াইমান আনসারিও বলা হতো। (আল-ইসাবা ফি তাময়িয আস-সাহাবা, ৩/৩৬৬)তার সঙ্গে নবীজির সম্পর্ক ছিল হাস্যরসের। সে প্রায়ই নবীজির জন্য সুস্বাদু খাবার উপহার আনত। একবার কোনো ব্যবসায়ী কাফেলা মদিনায় এলে সে তাদের কাছ থেকে খানিকটা মাখন বা মধু বাকিতে কিনে নবীজির (সা.)সামনে রাখল। পরে বিক্রেতা অর্থ দাবি করলে আবদুল্লাহ তাকে নিয়ে নবীজির (সা.)কাছে এল। বলল, এগুলোর দাম এই লোকটাকে দিয়ে দিন।আরও পড়ুনইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম কেন পড়া দরকার০৩ মার্চ ২০২৫নবীজি (সা.) বললেন, তুমি এসব...
সবচেয়ে বেশি হাদিস বর্ণনা করেছেন যারা, তাদের মধ্যে আনাস ইবনে মালিক (রা.) অন্যতম। তিনি নাজ্জার গোত্রের জুনদুব ইবন আমিরের বংশধর। এই জুনদুব হলেন নবীজির (সা.) দাদা আবদুল মুত্তালিবের মা সালামার ভাই। সেই হিসেবে তিনি ছিলেন মদিনায় নবীজির (সা.) আপনজন। তার বয়স যখন দশ, তখন তার মা উম্মু সুলাইম তাকে নবীজির ঘরের কাজে সহযোগিতার উদ্দেশ্যে রেখে যান। তিনি নবীজি (সা.)কে অজুর পানি এগিয়ে দিতেন। (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা, ৩/৩৯৫; সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫,১৮৫ ও ২,৭৬৮)এই সময় নবীজির (সা.)ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে একটি ইহুদি ছেলেকে নিয়োগ দেওয়া হয়। মদিনার অধিবাসীদের অর্ধেকেরও বেশি তখন ইহুদি। ছেলেটিও ছিল সাধারণ ইহুদি পরিবারের একজন। জীবিকার তাগিদে সে একটি কাজ খুঁজছিল, যা মাধ্যমে পরিবারকে সাহায্য করা যায়। সে মদিনার বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করছিল। ছোটখাটো কাজ, ফুটফরমাশ খাটা বলতে যা...
পবিত্র রমজান মাস ইবাদতের মাস। রমজানের সঙ্গে তারাবিহ নামাজের সম্পর্ক অত্যন্ত সুনিবিড়। রাসুলে করিম (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করেছেন, আর আমি তোমাদের জন্য তারাবিহ নামাজকে সুন্নত করেছি। যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজান মাসে দিনের বেলায় রোজা পালন করবে এবং রাতে তারাবিহ সালাত আদায় করবে, সে গুনাহ থেকে এরূপ পবিত্র হয়ে যাবে, যেরূপ নবজাতক শিশু মাতৃগর্ভ থেকে নিষ্পাপ অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়।’ (নাসায়ি, পৃষ্ঠা: ২৩৯)রমজান মাসের বিশেষ ইবাদত সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ ২০ রাকাত তারাবিহ নামাজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের উদ্দেশ্যে রমজান মাসে তারাবিহ নামাজ আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি: ৩৬)যাঁরা শরিয়তসম্মত কোনো গ্রহণযোগ্য ওজরের কারণে রোজা পালনে অক্ষম, তাঁদের জন্যও সুযোগ ও সামর্থ্য থাকলে তারাবিহ নামাজ...
হাসির মতো কান্নাতেও মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে। হাসি-কান্না মানুষের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এ দুটি মানবতত্ত্বের এক নিগুঢ় রহস্য। আল্লাহ–তায়ালা বলেন, তিনিই হাসান ও কাঁদান। (সুরা নাজম, আয়াত: ৪৩)আল্লাহ্ই মানুষের মধ্যে হাসি-কান্নার উপাদান সৃষ্টি করেছেন। তাঁর কান্নার ধরনকান্নার ধরন অনেক। ভয়ের কান্না, বিরহের কান্না, অসহায়ত্বের কান্না, শোক ও বিষণ্নতার কান্না ইত্যাদি। রাসুল (সা.) স্বাভাবিক মানবীয় প্রকৃতির মতোই কোনো আত্মীয় ও প্রিয়জনের মৃত্যুতে কাঁদতেন। এ ধরনের বহু ঘটনা হাদিসের কিতাবে রয়েছে।ইবনুল কাইয়িম (র.) বলেন, রাসুল (সা.)-এর কান্না ছিল হাসিরই অনুরূপ। তিনি সশব্দে যেমন হাসতেন না, তেমনই শব্দ করে কাঁদতেনও না। কেবল তাঁর দু চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরত। (জাদুল মায়াদ, খণ্ড ১, হাদিস: ১৮৩)আরও পড়ুনমহানবী (সা.)-এর কথা বলার ভঙ্গি০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩সন্তান–শোকে কান্নাআনাস (রা.) বলেন, (নবী-পুত্র) ইব্রাহিমকে আমি নবীজির(সা.) সামনে মৃত্যুপ্রায় অবস্থায় দেখেছি নবীজির (সা.)...
হাসি ও আনন্দ মানুষের ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করে দেয়। নবীজির (সা.)হাসিখুশির ভঙ্গিও ছিল তাঁর ব্যক্তিত্বের খুবই জরুরি অনুষঙ্গ। এ সম্পর্কিত হাদিসগুলো খণ্ডিত হলেও একেবারে অপ্রতুল নয়।মহানবী (সা.)-এর আনন্দ তাঁর চেহারায় প্রকাশ পেতো। সাহাবিদের অনেকেই তাঁর আনন্দের টুকরো টুকরো ছবি তুলে ধরেছেন। আনন্দের প্রকাশমহানবী (সা.)-এর আনন্দ প্রকাশের ধরন নিয়ে দুটি ঘটনার উল্লেখ করা যায়।সিরাত পাঠকমাত্রই কাব ইবনে মালেকের (রা.) ঘটনা সম্পর্কে জানেন। তাবুক যুদ্ধে শরিক না থাকায় তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। পরে যখন আল্লাহ তাঁর তাওবা কবুল করেন। সে সময়ে নবীজির অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি নিজেই বলেছেন, আমি নবীজিকে সালাম দিলাম, আনন্দে তাঁর চেহারা ঝলমল করছিল। তিনি বললেন, ইতোমধ্যে তোমার কেটে যাওয়া জীবনের ওপর সুসংবাদ গ্রহণ করো...। (বুখারি, হাদিস: ৪৪১৮)কাব (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আনন্দিত হলে তাঁর চেহারা এমন আলোকিত...
মহানবী (সা.) হিজরতের আগে মক্কায় মুসলমানদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের অসম্ভব কঠিন এক পরিস্থিতি। তাকে উপেক্ষা করে মক্কার বায়তুল্লাহ প্রাঙ্গণে মহানবী (সা.)–এর সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) প্রকাশ্যে কোরআন তিলাওয়াত করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি কাবা শরিফে মাকামে ইবরাহিমের কাছে দাঁড়িয়ে উচচ স্বরে সুরা আর রহমানের কিছু অংশ তিলাওয়াত করেন। কুরাইশ নেতারা তা শুনে হতবাক হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা তাঁর দিকে ছুটে গিয়ে নির্দয়ভাবে তাঁর মুখে আঘাত করতে থাকে। নির্যাতনের পরও তিনি বলেছিলেন, আল্লাহর শত্রুরা আমার কাছে খুবই তুচ্ছ। আমি আবারও গিয়ে তাদের সামনে কোরআন তিলাওয়াত করব। তিনিই প্রথম মুসলমান যিনি প্রকাশ্যে কোরআন তিলাওয়াত করেছিলেন।আরও পড়ুনঅনাথ ও দরিদ্রের প্রতি কোমলতা সুরা দোহার শিক্ষা১২ এপ্রিল ২০২৩হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)–র আবেগময় কোরআন তিলাওয়াতের প্রশংসা করে রাসুল (সা.) বলেছেন, কোরআর যেভাবে নাজিল হয়েছে, কেউ...
বদরের যুদ্ধে তুমুল লড়াই চলছে। চারদিকে শত্রু খুঁজছে সবাই। হজরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) এক জায়গায় দাঁড়িয়ে লক্ষ করেছিলেন, শত্রুকে কীভাবে ঘায়েল করা যায়। তাঁর দুই পাশে এসে দাঁড়াল দুটি বালক।আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.)-কে তারা বলল, চাচা, আপনি আবু জাহেলকে চেনেন? আমাদের দেখিয়ে দিন। তিনি দূর থেকে আবু জাহেলকে দেখিয়ে দিলেন।ছুটতে ছুটতে আবু জাহেলের সামনে গিয়ে হাজির হলো দুই বালক। আবু জাহেল তখন ঘোড়ায় চড়ে ছুটছিলেন। বালক দুজনের পক্ষে ঘোড়ায় চড়ে থাকা আবু জাহেলের শরীরে সরাসরি আঘাত করা অসম্ভব ছিল।আরও পড়ুনবদর যুদ্ধের ইতিহাস: বদর যুদ্ধক্ষেত্রে একটি দিন০৯ এপ্রিল ২০২৩একজন আক্রমণ করল আবু জাহেলের ঘোড়ায়। আরেকজন তলোয়ার দিয়ে আবু জাহেলের পায়ে। মুহূর্তের মধ্যেই আবু জাহেল মাটিতে গড়িয়ে পড়লেন। পড়ে ছটফট করতে লাগলেন। বালক দুজন সমানতালে তাঁকে আঘাত করে চলল।...
মহানবী (সা.) হিজরতের আগে মক্কায় মুসলমানদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের অসম্ভব কঠিন এক পরিস্থিতি। তাকে উপেক্ষা করে মক্কার বায়তুল্লাহ প্রাঙ্গণে মহানবী (সা.)–এর সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) প্রকাশ্যে কোরআন তিলাওয়াত করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি কাবা শরিফে মাকামে ইবরাহিমের কাছে দাঁড়িয়ে উচচ স্বরে সুরা আর রহমানের কিছু অংশ তিলাওয়াত করেন। কুরাইশ নেতারা তা শুনে হতবাক হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা তাঁর দিকে ছুটে গিয়ে নির্দয়ভাবে তাঁর মুখে আঘাত করতে থাকে। নির্যাতনের পরও তিনি বলেছিলেন, আল্লাহর শত্রুরা আমার কাছে খুবই তুচ্ছ। আমি আবারও গিয়ে তাদের সামনে কোরআন তিলাওয়াত করব। তিনিই প্রথম মুসলমান যিনি প্রকাশ্যে কোরআন তিলাওয়াত করেছিলেন।হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)–র আবেগময় কোরআন তিলাওয়াতের প্রশংসা করে রাসুল (সা.) বলেছেন, কোরআর যেভাবে নাজিল হয়েছে, কেউ যদি সে অনুসারে সুন্দরভাবে তা তিলাওয়াত করে আনন্দ পেতে...