টঙ্গীতে দুই সন্তানকে হত্যার অভিযোগে আটক মাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ
Published: 20th, April 2025 GMT
গাজীপুরের টঙ্গীতে মালিহা আক্তার (৬) ও মো. আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (৪) নামের দুই শিশুকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক মা আলেয়া বেগমকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আলেয়া বেগম তাঁর দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার কথা আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন এবং তাঁর আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদি কোনো কারণে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান, তাহলে রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে।’
টঙ্গীর আরিচপুর জামাইবাজার এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় এই দুই শিশুর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ওই ঘর থেকে রক্তমাখা একটি বঁটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মালিহা আক্তার ও আবদুল্লাহ ইবনে ওমরের বাবার নাম আবদুল বাতেন মিয়া। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার তাতুয়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা। পরিবার নিয়ে আরিচপুর জামাইবাজার এলাকার সেতু ভিলা নামের আটতলা একটি ভবনের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন বাতেন মিয়া।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শিশু দুটির লাশ উদ্ধারের পর সন্দেহভাজন হিসেবে মা আলেয়া বেগমকে আটক করে পুলিশ। পরদিন শনিবার ওই ঘটনায় নিহত শিশু দুটির বাবা বাতেন মিয়া বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় তিনি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করেছেন।
আরও পড়ুনটঙ্গীতে দুই শিশুকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তাদের মা: পুলিশ১৯ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনটঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসায় ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যা১৮ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অনুপ্রবেশ করে আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে: জামায়াত
বাংলাদেশের সার্বভৌম সীমা লঙ্ঘন করে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির এ দেশে অনুপ্রবেশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি মনে করে, অনুপ্রবেশ করে উৎসব করার মাধ্যমে আরাকান আর্মি মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ রোববার এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৬ ও ১৭ এপ্রিল ইউনিফর্ম ও অস্ত্রধারী আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌম সীমা লঙ্ঘন করে বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের রেমাক্রি মুখ এলাকায় বাংলাদেশের ১০ কিলোমিটার ভেতরে অনুপ্রবেশ করেছে। সেখানে তারা স্থানীয় উপজাতিদের নিয়ে জলকেলি উৎসব পালন করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, তারা শুধু জলকেলি উৎসব পালন করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, ওই উৎসবের সচিত্র ভিডিও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছে। আরাকান আর্মির রাজনৈতিক শাখা ‘ইউএলএ’ এবং স্থানীয় জনগণ ওই উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের সীমানার ১০ কিলোমিটার ভেতরে অনুপ্রবেশ করে উৎসব করার মাধ্যমে তারা মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এ ঘটনা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর এক মারাত্মক হুমকি ও উদ্বেগজনক। ওই সময় আমাদের সরকার, বিজিবি ও সশস্ত্র বাহিনী কী করছিল? এটা বর্তমান সরকার ও সামরিক বাহিনীর জন্য চরম ব্যর্থতা। এ ধরনের উদাসীনতা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি। দেশবাসী এ ব্যাপারে বর্তমান সরকার ও সামরিক বাহিনীর সুস্পষ্ট বক্তব্য জানতে চায়।’
বান্দরবানসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় আরাকান আর্মির ধৃষ্টতাপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।