Prothomalo:
2025-03-18@20:23:55 GMT

ভুল ভাবছেন, আপনার রোজা ভাঙেনি

Published: 18th, March 2025 GMT

রোজার দিনে এমন কিছু পরিস্থিতি তৈরি হয় যে আমরা ধন্দে পড়ে যাই, রোজাটা আসলেই নষ্ট হয়ে গেল কিনা। আসুন, এ সম্পর্কে কয়েকটি মাসআলা জেনে নিই।

 মাসআলা ১: রোজা অবস্থায় মুখে জমা থুতু বা লালা গিলে ফেলার কারণে রোজার ক্ষতি হয় না। কিন্তু মুখ থেকে রক্ত বের হলে সেই রক্ত থুতুর সঙ্গে গিলে ফেললে তাতে রোজা ভেঙে যাবে। তবে থুতুর চেয়ে রক্তের পরিমাণ কম হলে এবং গিলে ফেলার সময় রক্তের অনুভূতি না পেলে রোজা নষ্ট হবে না। (কিতাবুল ফিকহ, ১/৯২০)

 মাসআলা ২: দাঁতের ফাঁকে গোশত বা সুপারির অংশ অথবা অন্য কোনও বস্তু কিংবা খাদ্যদ্রব্য আটকে থাকলে তা যদি খিলাল বা জিহ্বা দিয়ে বের করে ফেলা হয়, তাহলে রোজা নষ্ট হবে না। কিন্তু তা বের না করে যদি গিলে ফেলে এবং সেই খাদ্যদ্রব্য একটি ছোলা বুটের সমান বা এর চেয়ে বেশি পরিমাণের হয়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। এর কম হলে রোজা নষ্ট হবে না। তবে তা যদি মুখ থেকে বের করে এনে পরে আবার গিলে ফেলে, তবে খাদ্যটি এই পরিমাণের চেয়ে কম হলেও রোজা ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়া আলমগিরি, ১/২০৮)

 মাসআলা ৩: চোখের দু-এক ফোঁটা পানি মুখে চলে গেলে রোজার ক্ষতি হয় না। ইবনে আব্বাস (রা.

) বলেন, ‘রোজা অবস্থায় সিরকা অথবা অন্য কোনো বস্তুর স্বাদ গ্রহণ করলে যদি তা গলার ভেতর না যায় তাহলে রোজা ভাঙে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, ৬/২০২)

আরও পড়ুনরোজাদারের দিন কীভাবে কাটবে০২ মার্চ ২০২৫

মাসআলা ৪: সুস্থ অবস্থায় রোজার নিয়ত করার পর যদি অজ্ঞান, অচেতন বা পাগল হয়ে যায় তাহলে রোজা নষ্ট হবে না। নাফে (রহ.) বলেন, ইবনে ওমর (রা.) নফল রোজা অবস্থায় বেহুঁশ হয়ে যেতেন কিন্তু এ-কারণে রোজা ভেঙে ফেলতেন না। (বাইহাকি, সুনানুল কুবরা, ৪/২৩৫)

 মাসআলা ৫: রোজা অবস্থায় প্রয়োজনে জিহ্বা দিয়ে কোনও স্বাদ নেওয়া বা প্রয়োজন হলে শিশুর জন্য খাদ্য চিবানো মাকরুহ নয়। সতর্ক থাকতে হবে, স্বাদ যেন গলার ভেতরে চলে না যায়। রোজাদার নারী তার শিশুর জন্য খাদ্য চিবানোকে ফকিহ ইবরাহিম নাখায়ি (রহ.) দোষের মনে করতেন না। (মুসান্নাফে আবদির রাজ্জাক, ৪/২০৭)

 মাসআলা ৬: রোজা রেখে টুথ পাউডার ইত্যাদি ছাড়া শুধু মিসওয়াক করা মাকরুহ নয়। এতে রোজার ক্ষতি হয় না; বরং অন্য সময়ের মতো রোজা রেখে মিসওয়াক করা সুন্নত। আমির ইবনে রাবিয়া (রা.) বলেন, নবীজিকে (সা.) আমি রোজা অবস্থায় বহুবার মিসওয়াক করতে দেখেছি। (বুখারি, ১/২৫৯); মুসান্নাফে আবদির রাজ্জাক, ৪/২০০)

 মাসআলা ৭: সাহরিতে কেউ এত খেয়েছে যে, সূর্যোদয়ের পর তার ঢেকুর আসতে শুরু করেছে, সঙ্গে পানিও বের হচ্ছে, এতে রোজার ক্ষতি হবে না। (ফাতাওয়া রশিদিয়া, ৩৭১)

 সুতরাং এই সকল অবস্থায় প্রথমেই রোজা নষ্ট হয়ে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃত খাবারে মনোযোগ দেওয়া উচিত হবে না। প্রয়োজনে যোগ্য আলেমদের সহায়তা নিন।

আরও পড়ুনযে কারণে রোজা ভেঙে যায়০৪ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ য়

এছাড়াও পড়ুন:

পাহাড়ে এখন জনপ্রিয় শজনের চাষ

২ / ৯বাগান থেকে শজনেডাঁটা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ