Prothomalo:
2025-04-13@13:55:57 GMT

ভুল ভাবছেন, আপনার রোজা ভাঙেনি

Published: 18th, March 2025 GMT

রোজার দিনে এমন কিছু পরিস্থিতি তৈরি হয় যে আমরা ধন্দে পড়ে যাই, রোজাটা আসলেই নষ্ট হয়ে গেল কিনা। আসুন, এ সম্পর্কে কয়েকটি মাসআলা জেনে নিই।

 মাসআলা ১: রোজা অবস্থায় মুখে জমা থুতু বা লালা গিলে ফেলার কারণে রোজার ক্ষতি হয় না। কিন্তু মুখ থেকে রক্ত বের হলে সেই রক্ত থুতুর সঙ্গে গিলে ফেললে তাতে রোজা ভেঙে যাবে। তবে থুতুর চেয়ে রক্তের পরিমাণ কম হলে এবং গিলে ফেলার সময় রক্তের অনুভূতি না পেলে রোজা নষ্ট হবে না। (কিতাবুল ফিকহ, ১/৯২০)

 মাসআলা ২: দাঁতের ফাঁকে গোশত বা সুপারির অংশ অথবা অন্য কোনও বস্তু কিংবা খাদ্যদ্রব্য আটকে থাকলে তা যদি খিলাল বা জিহ্বা দিয়ে বের করে ফেলা হয়, তাহলে রোজা নষ্ট হবে না। কিন্তু তা বের না করে যদি গিলে ফেলে এবং সেই খাদ্যদ্রব্য একটি ছোলা বুটের সমান বা এর চেয়ে বেশি পরিমাণের হয়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। এর কম হলে রোজা নষ্ট হবে না। তবে তা যদি মুখ থেকে বের করে এনে পরে আবার গিলে ফেলে, তবে খাদ্যটি এই পরিমাণের চেয়ে কম হলেও রোজা ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়া আলমগিরি, ১/২০৮)

 মাসআলা ৩: চোখের দু-এক ফোঁটা পানি মুখে চলে গেলে রোজার ক্ষতি হয় না। ইবনে আব্বাস (রা.

) বলেন, ‘রোজা অবস্থায় সিরকা অথবা অন্য কোনো বস্তুর স্বাদ গ্রহণ করলে যদি তা গলার ভেতর না যায় তাহলে রোজা ভাঙে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, ৬/২০২)

আরও পড়ুনরোজাদারের দিন কীভাবে কাটবে০২ মার্চ ২০২৫

মাসআলা ৪: সুস্থ অবস্থায় রোজার নিয়ত করার পর যদি অজ্ঞান, অচেতন বা পাগল হয়ে যায় তাহলে রোজা নষ্ট হবে না। নাফে (রহ.) বলেন, ইবনে ওমর (রা.) নফল রোজা অবস্থায় বেহুঁশ হয়ে যেতেন কিন্তু এ-কারণে রোজা ভেঙে ফেলতেন না। (বাইহাকি, সুনানুল কুবরা, ৪/২৩৫)

 মাসআলা ৫: রোজা অবস্থায় প্রয়োজনে জিহ্বা দিয়ে কোনও স্বাদ নেওয়া বা প্রয়োজন হলে শিশুর জন্য খাদ্য চিবানো মাকরুহ নয়। সতর্ক থাকতে হবে, স্বাদ যেন গলার ভেতরে চলে না যায়। রোজাদার নারী তার শিশুর জন্য খাদ্য চিবানোকে ফকিহ ইবরাহিম নাখায়ি (রহ.) দোষের মনে করতেন না। (মুসান্নাফে আবদির রাজ্জাক, ৪/২০৭)

 মাসআলা ৬: রোজা রেখে টুথ পাউডার ইত্যাদি ছাড়া শুধু মিসওয়াক করা মাকরুহ নয়। এতে রোজার ক্ষতি হয় না; বরং অন্য সময়ের মতো রোজা রেখে মিসওয়াক করা সুন্নত। আমির ইবনে রাবিয়া (রা.) বলেন, নবীজিকে (সা.) আমি রোজা অবস্থায় বহুবার মিসওয়াক করতে দেখেছি। (বুখারি, ১/২৫৯); মুসান্নাফে আবদির রাজ্জাক, ৪/২০০)

 মাসআলা ৭: সাহরিতে কেউ এত খেয়েছে যে, সূর্যোদয়ের পর তার ঢেকুর আসতে শুরু করেছে, সঙ্গে পানিও বের হচ্ছে, এতে রোজার ক্ষতি হবে না। (ফাতাওয়া রশিদিয়া, ৩৭১)

 সুতরাং এই সকল অবস্থায় প্রথমেই রোজা নষ্ট হয়ে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃত খাবারে মনোযোগ দেওয়া উচিত হবে না। প্রয়োজনে যোগ্য আলেমদের সহায়তা নিন।

আরও পড়ুনযে কারণে রোজা ভেঙে যায়০৪ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ য়

এছাড়াও পড়ুন:

সম্মেলনে ৩১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে: বিডা চেয়ারম্যান

ঢাকায় চার দিনের সম্মেলনে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, খরচের হিসাব দিয়ে সামিটকে মূল্যায়ন করা যাবে না। বিনিয়োগের সব ক্রেডিট এই সামিটের নয়, এটা আগে থেকে চলতে থাকা আলোচনার ভিত্তিতে হয়েছে। সামিটে এসেই বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়ে দেবেন, বিষয়টি এমন নয়। তাই এটাকে সামিটের সফলতা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ৪ দিনের ওই সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনের বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

বিডা চেয়ারম্যান বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ এসেছে। সরকারি খরচ হয়েছে দেড় কোটি টাকা। তবে খরচের হিসাব দিয়ে সামিটকে মূল্যায়ন করা যাবে না। বিনিয়োগের সব ক্রেডিট এই সামিটের নয়, এটা আগে থেকে চলতে থাকা আলোচনার ভিত্তিতে হয়েছে। চারদিনের সামিটে এসে কেউ ১০০ কোটি টাকার চেক লিখে ফেলবে, বিষয়টি এমন নয়। তাই এটাকে সামিটের সফলতা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। সামিটের খরচ দিয়ে বিনিয়োগের পরিমাণ বিচার করলে হবে না।

তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ফ্যাক্টরি ভিজিট করিয়েছি। ফ্যাক্টরি করতে হলে কোথায় যেতে হবে, তাদের দেখানো হয়েছে। সম্মেলনে এসে বিনিয়োগকারীরা খুব খুশি হয়েছেন, তাদের মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য খাবারের ম্যানু থেকে আমরা যেন আগেই বাদ না পড়ে যাই। আমরা একইসাথে সংস্কারের কাজ করব, আর বিনিয়োগের পাইপলাইন বিল্ডিং-এর কাজ করে রাখব।

বিডার চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ১০-এ ১০ পাওয়ার মতো সামিট হয়নি। যত সফলতা আছে তা সবার। ব্যর্থতা বিডা ও বেজার। প্রতিবছর এ ধরনের সামিট হতে পারে। এ ধরনের সিমিলার ইভেন্ট পরবর্তীতে বা পরবর্তী সরকার করবে বলে প্রত্যাশা করি।

তিনি আরো জানান, বিনিয়োগের পাইপলাইন ঠিক রাখতে বিনিয়োগ সম্মেলনে আসা সবাইকে থ্যাংক ইউ মেইল পাঠানো হবে। তাদের সাথে যোগাযোগ রাখা হবে।

বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি বলেন, উদ্বোধনী সামিটে ৭৫০ জন অংশ নেয়। এর মধ্যে ৪১৫ জন বিদেশি ছিল। পুরো সম্মেলনে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেয়। স্পিকার ও প্যানেলিস্ট ছিল ১৩০ জন।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ