2025-04-15@16:23:56 GMT
إجمالي نتائج البحث: 9

«শ রমশক ত»:

    মোমেনা আক্তার। ৪৫ বছর বয়সী এ নারী বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের এক প্রতিচ্ছবি। তাঁর দিন শুরু হয় ভোরে, রান্নাঘরে চুলার ধোঁয়ার মাঝে। সকালের খাবার তৈরি শেষে তিনি স্বামী ও ছেলের সঙ্গে মাঠে যান। সেখানে ধান, আলু, ভুট্টা, ডাল– এসব চাষের কঠোর পরিশ্রমে তিনি সমানভাবে অংশ নেন। মাঠের কাজ শেষ হলে ঘরে ফিরে আবার শুরু হয় রান্না, মাড়াই, পানি আনা– এমন অসংখ্য কাজের ধারাবাহিকতা। মোমেনা একজন নারী কৃষক, যাঁর জীবন-সংসার আর কৃষির শ্রমের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী। তিনি বলেন, ‘স্বামী ও ছেলের সঙ্গে আমি মাঠে কাজ করি। তারপরও ঘরের কাজ, রান্না সবই করি। যদি তারা অন্য কৃষকের কাছ থেকে কাজ নিত, তাহলে তাঁকে অনেক মজুরি দিতে হতো। আমি তো প্রতিদিন মাঠে পুরুষের মতো কাজ করি।  আমার কাজের মূল্য কেউ দেয় না।’ মোমেনার স্বামী ও...
    বাংলাদেশে পরিসংখ্যানভেদে প্রায় ২০ লাখ তরুণ প্রতিবছর কর্মবাজারে প্রবেশযোগ্যতা লাভ করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই কাজ পান না, অনেকে পেলেও যোগ্য কাজটি পান না কিংবা অনেকেরই আকাঙ্ক্ষিত পারিশ্রমিক মেলে না। বিনিয়োগ-কর্মসংস্থান আর দারিদ্র্য বিমোচন যেহেতু একই সূত্রে গাঁথা, তাই এখানে ক্রমাগত বিনিয়োগও প্রণিধানযোগ্য ভূমিকা পালন করে।সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে, বিশেষত ব্যবসা-বাণিজ্যে নানা সংকট চলছে। ডলার–সংকট ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে তাঁদের ওপর আর্থিক চাপ বেড়েছে। উল্লেখযোগ্য হারে ঋণ ও বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি হয়নি। বিদেশি বিনিয়োগও খুব বেশি বাড়ছে না। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে কর্মসংস্থানের ওপর, সেভাবে নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে না। যদিও প্রতিবছর কর্মক্ষম বিপুলসংখ্যক মানুষ চাকরির বাজারে যুক্ত হচ্ছেন। তাঁদের একটি বড় অংশই কাজ না পেয়ে বেকার থাকছেন।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শ্রমশক্তি জরিপে দেখা গেছে, গত...
    এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে একটি জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ তার ভৌগোলিক আয়তন নয়, তার অর্থসম্পদ বা প্রাকৃতিক সম্পদ নয়; সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে দক্ষ মানবসম্পদ—তাদের সৃষ্টিশীলতা, তাদের সৃজনশীলতা এবং তাদের কর্মকুশলতা।অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে শ্রম ও উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ সন্দেহ নেই; কিন্তু শুদ্ধ শ্রমশক্তি বা যেনতেন প্রকারের উদ্যোগ কোনো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিময় করতে পারে না। তার জন্য দরকার সৃষ্টিশীল শ্রমশক্তি এবং উদ্ভাবনী শক্তিসম্পন্ন উদ্যোগ। অন্য কথায়, শুদ্ধ শ্রমশক্তিকে মানবসম্পদ হতে হবে এবং উদ্যোগকে হতে হবে সৃজনশীল। এ কথা বাংলাদেশের মতো একটি প্রাকৃতিক সম্পদ-অপ্রতুল ও জনবহুল দেশের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রযোজ্য।কী কী পন্থায় একটি দেশের মানবসম্পদ সে দেশের উৎপাদনপ্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে পারে?মূলত তিনটি উপায়ে—এক. উৎপাদনপ্রক্রিয়ায় শ্রমশক্তিই একমাত্র উপকরণ নয়। কিন্তু মানবসম্পদের গুরুত্ব হচ্ছে সেখানেই যে উৎপাদনপ্রক্রিয়ায় অন্যান্য উপকরণকে সার্থক...
    প্রধানত কৃষি-নির্ভর গ্রামীণ জনপদের বিপন্ন জনগোষ্ঠির কল্যাণে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাংলাদেশের রয়েছে সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও অনুসরণীয় সাফল্য। তবে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে হতে যাচ্ছে। এই নতুন আর্থসামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তাই সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমকে ঢেলে সাজানো দরকার। সোমবার উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ‌‌‘সামাজিক সুরক্ষায় সংস্কার প্রসঙ্গ’ শিরোনামে প্রাক-বাজেট ওয়েবিনারে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন আলোচকরা।  ওয়েবিনারের ধারণাপত্র উপস্থাপনায় উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাদভী বলেন, জাতীয় বাজেটের ১৭ শতাংশের বেশি সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ দেয়ার কথা বলা হলেও এই বরাদ্দের এক-তৃতীয়াংশ চলে যাচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবসর ভাতা দেয়ায় এবং সঞ্চয়পত্রের সুদ বাবদ। প্রকৃতপক্ষে দরিদ্র ও বিপন্ন নাগরিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার বরাদ্দের মাত্র ১৫ শতাংশ বিনিয়োজিত হচ্ছে বলে...
    অভ্যুত্থানপরবর্তী বাংলাদেশ এখন অনেকগুলো প্রশ্ন নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। নানাবিধ সংস্কার, নির্বাচন, দ্রব্যমূল্যের চড়া আঁচ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ইত্যাদি বিভিন্ন প্রসঙ্গের পাশাপাশি নারী অধিকারের বিষয়টিও নিয়ত মূলধারার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে এবং দুঃখজনক হলেও সত্যি, নারীর স্বাধীনতা ও অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপের নানা রকম নজিরের জের ধরে হওয়া এসব আলোচনা জন্ম দিচ্ছে একরাশ আশঙ্কার। আশঙ্কাগুলো আরও প্রকট হয়ে ওঠে যখন সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপে শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণের হার বেশ কিছু বছরের মধ্যে প্রথমবার হ্রাস পাওয়ার খবর চোখে পড়ে। গত বেশ কিছু বছর বাংলাদেশের শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণের হার ৪০ শতাংশের আশপাশে ঘোরাঘুরি করেছে। ২০২২ সালের শ্রমশক্তি জরিপে এই হার ছিল ৪২ দশমিক ৭৭ শতাংশ, যা এর পূর্ববর্তী জরিপ বছর, অর্থাৎ ২০১৬ সালের ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশের তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি ছিল।...
    দেশে প্রকৃত বেকার সংখ্যা কত—এর কোনো হিসাব নেই। সরকার বেকারের যে হিসাব দেয়, তা প্রায় অবিশ্বাস্য। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, এক দশক ধরেই দেশে বেকারের সংখ্যা ২৫ থেকে ২৭ লাখের মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে।১৭ কোটি মানুষের দেশে মাত্র ২৭ লাখ বেকার, তা কেউ মানবেন না; কিন্তু বেকারের সংজ্ঞার মারপ্যাঁচে এটাই সত্য। কিন্তু দেশে প্রায় এক কোটির মতো মানুষ মনমতো কাজ পান না। তারা পড়াশোনা করেন না, কাজেও নেই। তাঁরা ছদ্মবেকার। কোনো রকম জীবনধারণের জন্য কাজ করেন।প্রতিবছর কমপক্ষে ২০-২২ লাখ মানুষ চাকরির বাজারে প্রবেশ করেন। তাঁদের এক-তৃতীয়াংশ বিদেশ কর্মসংস্থান। বাকি ১৪-১৫ লাখ দেশে কর্মসংস্থান হয়। বেকারের সংখ্যা যেহেতু প্রায় অপরিবর্তিত থাকে, এর মানে, প্রতিবছর যত তরুণ-তরুণী কর্মবাজারে প্রবেশ করেন, ঠিক তত সংখ্যক কর্মসংস্থান হয় বাজারে।আবার সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে...
    কয়েক বছর আগে ফেসবুকে একটি গ্রুপে গল্প লিখেছিলাম, সেখানে গুনে গুনে বিশ শব্দে গল্প লিখতে হয়। কৌতুকধর্মী গল্পটা এখানে প্রাসঙ্গিক, তাই আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার সুবিধার্থে সেটি তুলে ধরছি– ‘স্বপ্নে পাওয়া’ সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টে অভিযুক্ত হাবুল।  সুন্দরী সহকর্মীকে বলেছে, ‘আপনাকে প্রায়ই স্বপ্নে দেখি…’ হাবুলের আত্মপক্ষ সমর্থন, ‘মগবাজার স্বপ্নে বাজার করি, সেখানেই দেখেছি।’   নিরীহ কৌতুকধর্মী এই গল্পটা পুরুষ মনস্তত্ত্ব বোঝার একটি মোক্ষম উপাদান হতে পারে। গল্পের নিচে জমা পড়া শতাধিক কমেন্টের একটা বড় অংশ বুঝতেই পারছেন না, কেন হাবুলকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বলাবাহুল্য, এমন কমেন্টকারীদের প্রত্যেকেই পুরুষ। তাদের যুক্তি, গল্পের হাবুল চরিত্রটি তো কুরুচিপূর্ণ কিছু বলেনি বা সরাসরি কোনো যৌন ইঙ্গিতও করেনি, তাহলে তাকে কেন অভিযুক্ত করা হবে। ভালো যুক্তি। তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, কোন মানুষকে আপনি কী বলতে পারবেন, আর কাকে...
    বাংলাদেশে নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ ৩৬.৩% থেকে বেড়ে ৪২.৬৭% হয়েছে। মাঝারি ও উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্বের ক্ষেত্রে তাদের প্রতিনিধিত্ব এখনও আশঙ্কাজনকভাবে কম। এর কারণ সামাজিক রীতি, প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য এবং পারিবারিক দায়িত্বের কারণে কর্মজীবনে বিরতি। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার লক্ষ্যে অক্সফাম ও ওয়াটারএইড যৌথভাবে শুরু করেছে ‘অনির্বাণ-রাইজ অ্যান্ড লিড’ কর্মসূচি। গতকাল শনিবার রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এতে বিভিন্ন খাতের প্রধান ব্যক্তিত্ব, উন্নয়ন সংস্থা এরং নীতিনির্ধারকরা অংশ নেন। এই কর্মসূচি মধ্যপর্যায়ের পেশাজীবী নারীদের ক্ষমতায়ন এবং বিরতির পর তাদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ ও নেতৃত্বে সহায়তা করবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমাইরা আজম বলেন, ‘জ্ঞান থাকলে সফল হবেন। সেই সঙ্গে প্রয়োজন কথা বলার আত্মবিশ্বাস, সাবলীল উপস্থাপনা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা।’ অক্সফাম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশীষ দামলে বলেন, ‘অগ্রগতির...
    বাংলাদেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক শ্রমশক্তির বাইরে রয়ে গেছে। দেশের ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ বর্তমানে শ্রমবাজারে নেই। বিদ্যমান জনশক্তির মধ্যে আবার নারী-পুরুষ বৈষম্য প্রকট। মোট শ্রমশক্তির ৭৮ দশমিক ৫ শতাংশই পুরুষ। বাকি ২১ দশমিক ২৫ শতাংশ নারী।  আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইএলওর সদরদপ্তর থেকে ‘বৈশ্বিক কর্মসংস্থান এবং সামাজিক আভাস: ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।  দেশে ১৫ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সী কর্মী ও বেকার জনগোষ্ঠীর সমষ্টিকে শ্রমশক্তি হিসেবে বিবেচনা করে থাকে বিবিএস। সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে এ ধরনের জনগোষ্ঠী ৭ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার। বিবিএসের সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ৯১১ জন। আইএলওর প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়, বেকারত্বের বেশি ঝুঁকিতে...
۱