শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, নেতৃত্ব বাড়েনি
Published: 9th, February 2025 GMT
বাংলাদেশে নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ ৩৬.৩% থেকে বেড়ে ৪২.৬৭% হয়েছে। মাঝারি ও উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্বের ক্ষেত্রে তাদের প্রতিনিধিত্ব এখনও আশঙ্কাজনকভাবে কম। এর কারণ সামাজিক রীতি, প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য এবং পারিবারিক দায়িত্বের কারণে কর্মজীবনে বিরতি। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার লক্ষ্যে অক্সফাম ও ওয়াটারএইড যৌথভাবে শুরু করেছে ‘অনির্বাণ-রাইজ অ্যান্ড লিড’ কর্মসূচি।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এতে বিভিন্ন খাতের প্রধান ব্যক্তিত্ব, উন্নয়ন সংস্থা এরং নীতিনির্ধারকরা অংশ নেন। এই কর্মসূচি মধ্যপর্যায়ের পেশাজীবী নারীদের ক্ষমতায়ন এবং বিরতির পর তাদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ ও নেতৃত্বে সহায়তা করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমাইরা আজম বলেন, ‘জ্ঞান থাকলে সফল হবেন। সেই সঙ্গে প্রয়োজন কথা বলার আত্মবিশ্বাস, সাবলীল উপস্থাপনা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা।’
অক্সফাম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশীষ দামলে বলেন, ‘অগ্রগতির পরও অনেক নারী অদৃশ্য প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন, যা তাদের কর্মজীবনে প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে।’
ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ‘কর্মজীবনে বিরতি কখনোই একজন নারীর সম্ভাবনা নির্ধারণ করতে পারে না।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের উইমেনস রিটার্নশিপ প্রোগ্রামের প্রকল্প সমন্বয়ক নুসরাত আনোয়ার এবং অক্সফাম বাংলাদেশের ইকোনমিক ইনক্লুশন অ্যান্ড জাস্টিস বিভাগের প্রধান বিদোওরা তাহমিন খান।
‘ব্রেকিং ব্যারিয়ার্স: আধুনিক কর্মক্ষেত্রে নারীর নেতৃত্ব’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়। এটি পরিচালনা করেন লিডারশিপ কোচ ও অর্গানাইজেশনাল ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট চেঞ্জম্যানট্রাস। আলোচনায় অংশ নেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস, লিডারশিপ কোচ ও ওডি কনসালট্যান্ট, চেঞ্জম্যানট্রাস উমা চ্যাটার্জি, ইনোভেশন কানসাল্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা ভোটে জয়ী হচ্ছেন সবাই
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা। আগামী ১৬ এপ্রিল সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে।
আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীদের অভিযোগ, নির্বাচনে অংশ নিতে তারা ফরম নিতে পারেননি। ফরম নিতে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলেও জানান তারা।
গতকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ছিল চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এই দিন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সবগুলো পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন:
নির্বাচনী প্রচারে পোস্টার না রাখার কথা ভাবছে ইসি
বাপ ডাইক্কা নির্বাচন দেওন লাগব, বললেন বিএনপির ফজলুর রহমান
মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট তারিক আহমদ জানান, ২১টি পদের জন্য ২১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাইয়ে সবগুলোই উৎরে গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সবাইকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
মনোননয়ন জমা দেওয়া ২১টি পদের মধ্যে ১৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কাজী মো. সিরু, অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, পাঠাগার সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফী বিনতে মোতালেব, ক্রীড়া সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন এবং সদস্য আহসান উল্লাহ, আসমা খানম, বিবি ফাতেমা, মেজবাহ উল আলম, রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী, রাহিলা গুলশান ও সাজ্জাদ কামরুল হোসেন।
সাতটি পদে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- সহ-সভাপতি আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, সহ-সম্পাদক ফজলুল বারী, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুল জব্বার এবং সদস্য শাহেদ হোসেন, হেলাল উদ্দিন, রোবায়তুল করিম ও মোহাম্মদ মোরশেদ।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী আইনজীবী মো. আবদুর রশীদ লোকমান বলেন, “নির্বাচনে অংশ নিতে আমরা ফরম নিতে পারিনি। দুপুর ও বিকেলে আমরা দুই দফায় সমিতির লাইব্রেরি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনতে গিয়ে বাধার শিকার হয়েছি।”
বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, “আমরা ২১ জন ফরম নিয়েছি। অন্যরা ফরম না নিলে আমাদের তো কিছু করার নেই। তাদের সৎ সাহস নেই। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় যারা ছাত্র-জনতার ওপর লাঠি নিয়ে হামলা করেছিল, তারা নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ