2025-03-20@20:59:53 GMT
إجمالي نتائج البحث: 7
«রমজ ন র শ ষ দশক»:
মাহে রমজানের শেষ দশক চলছে। শেষ দশকের যে কোনো এক বিজোড় রাত শবেকদরের। এ রাতেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। এটি মহিমান্বিত রাত। যে রাতকে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘হাজার মাসের চেয়ে উত্তম’ (সুরা কদর, আয়াত-৩)। অতএব এই রাতের যে কোনো আমলের সওয়াব টানা হাজার মাস আমল করার মতোই। রাসুলুল্লাহ (সা.) পবিত্র রমজানে বিশেষ করে শেষ দশকে লাইলাতুল কদর তালাশ করতেন। এ জন্য তিনি ইতেকাফ করতেন। লাইলাতুল কদর তালাশ করা মানে এই রাতের বিশেষ ফজিলত লাভের আশায় ইবাদতে আত্মমগ্ন থাকা। হাদিস শরিফে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের সন্ধান করো।’ (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম) মহাগ্রন্থ কোরআনুল কারিম অবতীর্ণ হয়েছে লাইলাতুল কদরে। এ রাতের মর্যাদা সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ...
আরবি ‘ইতিকাফ’ অর্থ অবস্থান করা। পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মসজিদে অবস্থান গ্রহণ করা। ইতিকাফ পবিত্র রমজানের গুরুত্বপূর্ণ আমল। মহানবী (সা.) রমজান মাসে নিয়মিত ইতিকাফ করতেন। পূর্ববর্তী নবী-রাসুলরাও ইতিকাফ করেছেন বলে কোরআন, সুন্নাহ ও ইতিহাস গ্রন্থ থেকে জানা যায়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১২৫) আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, তবে যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন, সে বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ করেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯০৩) রমজান মাসের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নত। সার্বিক বিবেচনায় এটি রমজানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এটা রমজানের ফল ও ফসল ঘরে তোলার...
মুসলমান মাত্রই পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা ও বরকত লাভ করতে চায়। তারা চায় আল্লাহর নৈকট্য ও সেসব পুরস্কার অর্জন করতে, যা এই মাসের ব্যাপারে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ঘোষণা করেছেন। ফলে প্রত্যেক মুসলিম নিজের সাধ্যানুসারে ইবাদত-বন্দেগির চেষ্টা করে। কিন্তু কিছু ভুল এই লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবন্ধক হয়ে ওঠে। নিম্নে এমন কয়েকটি ভুলের আলোচনা করা হলো। ১. রোজার বিধান না শেখা: কোনো কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে হলে তার বিধান, নিয়ম ও পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত হওয়া আবশ্যক। রোজা ইসলামি শরিয়তের একটি ফরজ বিধান। আর ইসলামি শরিয়তের নিয়ম হলো, ফরজ ইবাদত পালনের জন্য অপরিহার্য জ্ঞান অর্জন করাও ফরজ। তাই রোজার বিধানগুলো জেনে নেওয়া মুসলমানের জন্য ফরজ। রোজার বিধানের মধ্যে আছে এর নিয়ত করার সময় ও পদ্ধতি, সাহরি ও ইফতারের মাসয়ালা, কোন কোন...
পবিত্র রমজানকে বলা হয় রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। আরবি রহমতের অর্থ দয়া, মাগফিরাতের অর্থ ক্ষমা এবং নাজাতের অর্থ মুক্তি। রমজানকে দয়া, ক্ষমা ও মুক্তির মাস বলার কারণ হলো মহানবি (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের প্রথম দশক রহমতের, দ্বিতীয় দশক মাগফিরাতের এবং তৃতীয় দশক জাহান্নাম থেকে মুক্তির।’ (মুসনাদে আহমদ) এই হাদিসের বর্ণনা অনুসারে বর্তমানে মাগফিরাত বা ক্ষমার দশক চলছে। রমজান মাসে আল্লাহর ক্ষমা লাভে সচষ্টে হওয়া আবশ্যক। কেননা নবি (সা.) সেই ব্যক্তিকে অভিশাপ ও ভর্ৎসনা করেছেন যে রমজান মাস পেয়েও নিজের গুনাহ ক্ষমা করাতে পারেনি। মালিক বিন হুসাইরিস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) মিম্বারে আরোহন করলেন। যখন তিনি প্রথম ধাপে আরোহন করে বললেন, আমিন। অতঃপর দ্বিতীয় ধাপে আরোহন করে বললেন, আমিন। অতঃপর তৃতীয় ধাপে পা রেখে বললেন, আমিন। এরপর তিনি...
দ্বিতীয় হিজরিতে পবিত্র কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ উম্মতের ওপর রমজানের রোজা ফরজ করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের প্রথম দশক রহমতের, মধ্য দশক মাগফিরাতের আর শেষ দশক নাজাতের।’ প্রথম দশকে আল্লাহ বান্দার প্রতি রহমত নাজিল করেন। রমজান মাসের রহমতের দশকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। কপটতা না করে, মানুষের দোষত্রুটি অন্বেষণ না করে, রহমত-বরকত-মাগফিরাতের মাসে বেশি নেক আমল করতে হবে। রহমতের মাস রমজানজুড়ে পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং নেক কাজে নিয়োজিত থাকা অনেক সহজ। তাই রমজানের রহমতের দশকে আল্লাহর অনুগ্রহ পেতে রোজাদারের করণীয় হলো: ১. দিনের বেলা একনিষ্ঠতার সঙ্গে রোজা পালন করা। ২. জামাতে নামাজ আদায় করা। ৩. রাতের তারাবিহ ও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া। ৪. কোরআন তিলাওয়াত করা। ৫. দান-সদকা করা। ৬. ফিতরা ও জাকাত দেওয়া। ৭. আল্লাহর জিকির করা, তাকওয়া অর্জনে...
কাবাব, কোফতা, রোস্ট, হালুয়া, গ্রিল–তন্দুরি থেকে বুট, বুন্দিয়া, বেগুনি, পেঁয়াজু, জিলাপি। হরেক স্বাদের বিরিয়ানি, মোরগ পোলাও থেকে শুরু করে বাহারি কাচ্চি। লাচ্ছি, ফালুদা থেকে শুরু করে টক দইয়ের ঘোল। কী নেই বগুড়ার বাহারি ইফতারির বাজারে!রোববার রমজানের প্রথম দিনেই বগুড়া শহরের ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত রেস্তোরাঁ—সবখানেই ছিল বাহারি ইফতারির পসরা। শহরের কাঁঠালতলা, বড়মসজিদ লেনের সামনে, ফতেহ আলী মাজারের সামনে ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। এখানাকার মূল আয়োজন ছিল জিলাপি, ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনিসহ নানা সামগ্রী। অভিজাত ক্রেতাদের ইফতারির বাজার হিসেবে পরিচিত জলেশ্বরীতলার ইফতারির বাজারে মূল আকর্ষণ ছিল হালিম, মুরগির রোস্ট, কাবাব ও কাচ্চি বিরিয়ানি। সুস্বাদু এসব ইফতারির স্বাদ নিতে ভিড় করেন ক্রেতারা। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দোকানে দোকানে ভিড় বাড়তে থাকে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় ইফতারসামগ্রীর দাম কিছুটা বেড়েছে।শহরের...