2025-03-30@10:31:23 GMT
إجمالي نتائج البحث: 14
«ত ৎপর য»:
আর পাঁচজন নিষ্ঠাবান সংবাদ-সচিবের মতোই শফিকুল আলম প্রত্যাশিতভাবে বলেছেন যে, বেইজিং সফরকালে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে শুক্রবারের আলোচনা ছিল ‘উষ্ণতাপূর্ণ এবং অত্যন্ত গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ’। সন্দেহ নেই, মুহাম্মদ ইউনূস গতবছর আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরটি নিয়ে যেমন ঢাকা, তেমনই বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে উৎসাহের ঘাটতি ছিল না। সেটি কেবল এ কারণে নয় যে, এ বছর বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী পূরণ হচ্ছে; বরং এ কারণেও যে, আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির মধ্য দিয়ে ভূ-রাজনীতিতে নতুন হিসাব-নিকাশ সামনে এসেছে। ইউনূস-শি বৈঠকের পর প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেখলে অবশ্য সফরটিকে বহুলাংশে গত বছরের জুলাইয়ে হাসিনা-শি বৈঠকেরই সম্প্রসারণ মনে হতে পারে। গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুতির আগে আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ওই সফর ও বৈঠকের পর প্রকাশিত যৌথ...
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান–পরবর্তী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার পর চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর চীন দ্রুত নবগঠিত ইউনূস সরকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে এবং কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেয়।অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতা গ্রহণের পর ১২ অক্টোবর দুটি চীনা যুদ্ধজাহাজ শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে আসে, যা দুই দেশের সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি, হাসিনা সরকারের পতনের পর চীনা কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে সক্রিয় প্রায় সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক শুরু করে এবং তাদের প্রতিনিধিদের চীনে আমন্ত্রণ জানায়, যা দ্বিপক্ষীয় কূটনীতির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের আভাস দিচ্ছে। এই ধারাবাহিক কূটনৈতিক অগ্রগতির সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অংশ হতে যাচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর। প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর অন্যান্য সময়ের তুলনায় বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ,...
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র রমজান। নাজাত মানে মুক্তি। রমজানের নাজাতের অর্থ হলো, এই মাসে মানুষ পাপ-তাপ থেকে মুক্ত হবে, পাপের আকর্ষণ থেকে মুক্ত হবে, জাহান্নাম থেকে মুক্ত হবে। মানুষের সফলতার পথে তিনটি প্রধান বাধাস্বরূপ অপশক্তি রয়েছে—জিন শয়তান, মানুষ শয়তান ও নফস শয়তান। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি বলো “আমি আশ্রয় গ্রহণ করি মানুষের প্রতিপালক, মানুষের মালিক, মানুষের মাবুদ (আল্লাহ) এর নিকট, প্ররোচনাদাতা খন্নাস (শয়তান) এর অনিষ্ট থেকে; যে মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়। সে জিন হতে এবং মনুষ্য হতে।”’ (সুরা নাস, আয়াত: ১-৬)‘আর অবশ্যই আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং আমি জানি তাকে তার নফস যে বিষয়ে প্ররোচনা দেয়।’ (সুরা কাফ, আয়াত: ১৬) ‘নিশ্চয়ই নফস মন্দের প্রতি নির্দেশ করে।’ (সুরা ইউসুফ, আয়াত: ৫৩)রমজানে জিন শয়তান বন্দী থাকলেও মানুষ শয়তান ও নফস শয়তান সক্রিয়...
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ পূর্ব থানার ১৩নং পূর্ব ওয়ার্ড এর আয়োজনে পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য ও যাকাত শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে নগরীর কালিরবাজার এলাকায় এ আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা মঈন উদ্দিন আহমদ। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ বলেন, যে দেশে কোরআনের আইন চালু নাই, সে দেশে পৃথিবীর সকল মানুষ মিলে কোরআনের আইন চালু করার কথা বলা হয়েছে। এটাকে আল্লাহ পাক ফরজ করেছেন। এটা আমরা অনেকে উপলব্ধি করতে পারছি না, এটা জাতীর জন্য দূভাগ্য। কোরআনের আইন না থাকার কারনে যে যে সমস্যা হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিগত ইবাদত সঠিকভাবে করা যাচ্ছে না। আল্লাহর আইনকে মেনে চলা ও আদেশ...
ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের মধ্যে জাকাত একটি। এটি শুধু ধর্মীয় ইবাদতই নয়, বরং এটি সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক ভারসাম্য ও দারিদ্র্য বিমোচনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। জাকাত শব্দটি আরবি। এর অর্থ পবিত্রতা ও বৃদ্ধি। ইসলামে জাকাত হলো ধনীদের সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ গরিব-দুঃখীদের মধ্যে বণ্টন করা, যা সম্পদকে পবিত্র করে এবং সমাজে অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করে।জাকাতের ধারণা ইসলামের আগে থেকেই বিভিন্ন সমাজে বিদ্যমান ছিল। তবে ইসলামে এটি একটি সুসংগঠিত ও বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হিজরি দ্বিতীয় বর্ষে (৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ) জাকাত ফরজ করা হয়। ইসলাম-পূর্ব সমাজে ধনী ও গরিবের মধ্যে বিশাল ব্যবধান ছিল। ধনীরা তাদের সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখত, আর গরিবরা চরম দারিদ্র্য ও অনাহারে জীবনযাপন করত। ইসলাম এই বৈষম্য দূর করতে জাকাতের বিধান চালু করে।আরও পড়ুনজাকাত কীভাবে দেবেন১২ আগস্ট ২০২৩ইসলামি পণ্ডিত...
সিদ্ধিরগঞ্জের আটি এলাকার ভূমি পল্লী বাড়ি প্লট কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভূমি পল্লী আবাসন প্রকল্পের ভেতরে গোলচত্বরে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ভূমি পল্লী বাড়ি প্লট কল্যাণ সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক আলমগীর পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় এ মাহফিলে উপ¯ি’ত ছিলেন, সমিতির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মফিজুল ইসলামসহ পল্লীর আবাসন প্রকল্পের কয়েক শতাধিক বাসিন্দা। ভূমি পল্লীর বাসিন্দা মো. জিয়াউল হকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ মাহফিলে মাহে রমজানের তাৎপর্য ও গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে দেশ ও বিশ^ মুসলিম উম্মাহের শান্তির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
জাকাত, দান-অনুদান সংগ্রহ কর্মসূচি এবং ইসলামে দুস্থ ও অসহায় রোগীদের কল্যাণে জাকাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে মঙ্গল ও বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে শেরেবাংলা নগরে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিউদ্দিন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান। সেমিনারে দুস্থ ও অসহায় রোগীদের কল্যাণে জাকাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে বক্তারা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
ইসলামের বিধানগুলো কেবল বাহ্যিক প্রথা, রীতি ও আনুষ্ঠানিকতার নাম নয়, বরং এর রয়েছে আধ্যাত্মিক ও অন্তর্নিহিত নানা তাৎপর্য। ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ রোজাও বহুবিদ আধ্যাত্মিক উপকার ও কল্যাণে পরিপূর্ণ। বুজুর্গ আলেমরা বলেন, রমজান হলো আল্লাহর রঙ্গে রঙ্গিন হওয়ার মাস। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর রং, রঙ্গের বিবেচনায় আল্লাহর চেয়ে উত্তম কে আছে। আর আমরা তাঁর ইবাদতকারী।’ [সুরা বাকারা, আয়াত : ১৩৮] উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহর রং ধারণের পদ্ধতিও বলা হয়েছে। তা হলো, আল্লাহর ইবাদতে আত্মমগ্ন হওয়া। রমজান মাসে মহানবী (সা.)-এর জীবন-কর্ম লক্ষ্য আমাদের কাছে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর রঙ্গে রঙ্গিন হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। হাদিসে এসেছে, ‘রমজানে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রং পরিবর্তন হয়ে যেত, তাঁর নামাজের পরিমাণ বৃদ্ধি পেত, তিনি দোয়ায় মিনতি করতেন এবং তাঁর ভেতর আল্লাহর ভয় প্রবল হতো।’ [শুআবুল ঈমান,...
নারী দিবস এলে আমরা নারীদের অধিকার আদায়ের কথা বলি, নারীদের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করি। কিন্তু শুধু নারীদের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করলেই হবে না, এই দিনটি মনে করিয়ে দেয় নারীদের অধিকার রক্ষা, সমান সুযোগ তৈরি, লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, নারীদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্য অর্জনের কথা। এবারের প্রতিপাদ্য হলো-‘অধিকার, সমতা ,ক্ষমতায়ন- সকল নারী ও কন্যার উন্নয়ন।’ এ নিয়ে যদি বলতে হয় তাহলে পুরো সমাজের কাছে ছোট ছোট কয়েকটা প্রশ্ন, কিন্তু অর্থপূর্ণ প্রশ্ন আমি ছুঁড়ে দিতে চাই। আমরা এখনো কেন লড়াই করেই যাচ্ছি? এখনো শত শত মেয়েরা শ্বশুরবাড়িতে যৌতুকের জন্য নির্যাতিত। কেন? এখনো কেন পাবলিক প্লেসে নারীর হেনস্থার শিকার হতে হয়? এখনো নারী কেন আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভোগে? আমার এ প্রশ্নগুলোর বাইরেও হাজার হাজার প্রশ্ন নিয়ে আজও আমাদের...
সন্দেহ নেই, বৈঠকটি নেহাত কারিগরি। কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম যদিও ‘যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক’ বলছে, বাস্তবে কলকাতায় অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক বৈঠকটি আরও কম গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাঠামো। ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তির পর নদীটির পানিবণ্টন প্রক্রিয়া দেখভালের জন্য ১৯৭২ সালে গঠিত যৌথ নদী কমিশনের অধীনে গঠিত হয়েছিল ‘যৌথ কমিটি’। এর প্রথম বৈঠক হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায়। এই কমিটিরই ৮৬তম বৈঠক এ বছর ৪ থেকে ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হলো কলকাতায়। রীতি অনুযায়ী, যৌথ কমিটির এজেন্ডাভুক্ত আলোচনায় ঐকমত্যের পর সেটি যাবে যৌথ কারিগরি কমিটিতে, সেখান থেকে যৌথ নদী কমিশনে। যৌথ নদী কমিশনে চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তাব রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে চূড়ান্ত ও স্বাক্ষরিত হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমিটির বৈঠকটির পর ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে মেয়াদ ফুরাতে যাওয়া গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তির নবায়ন সম্ভাবনা কতদূর...
বছরের বিভিন্ন সময়ে রোজা রাখলেও কেবল রমজান মাসের রোজা পালন করা ফরজ। রোজা কেবল উম্মতে মুহাম্মাদ জন্য ফরজ নয়, বরং তা অতীত নবী-রাসুলদের উম্মতদের জন্যও ছিল। কিন্তু রোজার সময়, পদ্ধতি ও ধারা ভিন্ন ছিল। রোজা ফারসি শব্দ, অর্থ উপবাস থাকা। কোরআন-হাদিসে এটিকে সিয়াম বলে। রোজা শব্দটিই প্রচলিত। সাওম বা সিয়াম শব্দের অর্থ বিরত থাকা। শরিয়তের পরিভাষায়, সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাওয়া, পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকাকে সাওম, সিয়াম বা রোজা বলে। কোরআন যে আয়াতটির মাধ্যমে রোজা ফরজ হয়, সেটিতেই ইঙ্গিত রয়েছে যে পূর্ববর্তী জাতি-গোষ্ঠীর জন্য রোজা ফরজ ছিল। আল্লাহ বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ, তোমাদের জন্য সিয়াম (রোজা) বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীদের দেওয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা সাবধান হয়ে চলতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩)। আদম (আ.)-এর...
শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে ‘শবে বরাত’ বলা হয়। শবে বরাত কথাটি ফারসি থেকে এসেছে। ‘শব’ মানে রাত, ‘বরাত’ মানে মুক্তি; শবে বরাত অর্থ মুক্তির রজনী। ‘শবে বরাত’–এর আরবি হলো ‘লাইলাতুল বারাআত’। হাদিস শরিফে যাকে ‘নিসফ শাবান’ বা শাবান মাসের মধ্য দিবসের রজনী বলা হয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশ, পারস্যসহ পৃথিবীর অনেক দেশের ফারসি, উর্দু, বাংলা ও হিন্দি ভাষায় এটি ‘শবে বরাত’ নামেই অধিক পরিচিত।আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হা-মিম! শপথ! উজ্জ্বল কিতাবের, নিশ্চয় আমি তা নাজিল করেছি এক বরকতময় রাতে; নিশ্চয় আমি ছিলাম সতর্ককারী। যাতে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারিত হয়। এ নির্দেশ আমার তরফ থেকে, নিশ্চয় আমিই দূত পাঠিয়ে থাকি। এ হলো আপনার প্রভুর দয়া, নিশ্চয় তিনি সব শোনেন ও সব জানেন। তিনি নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল এবং এ উভয়ের মাঝে যা আছে, সবার...
হাদীসের ভাষায় ‘শবে বরাত’কে বলা হয় ‘লাইলাতুন নিসফে মিন শা‘বান’। বাংলা অর্থ হলো: শা‘বান মাসের মধ্য রজনী। এ রজনীর মর্যাদা ও তাৎপর্য সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সা. এর পবিত্র জবানীতে যা পাওয়া যায় তাতে বুঝা যায়, এ রাত্রি অত্যন্ত মহিমান্বিত ও মর্যাদাপূর্ণ। রজনীটির মর্যাদা ও তাৎপর্যের দিকে লক্ষ্য করে অনারবরা এ রাতের নাম দিয়েছেন ‘শবে বরাত’ বা ‘মহিমান্বিত রজনী’। গুরুত্বের বিবেচনায় প্রকৃত অর্থেই এ রাতটি অত্যন্ত মহিমান্বিত ও মর্যাদাপূর্ণ। এ রজনী সম্পর্কে হাদীসে অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়। বর্ণনাকারীদের তারতম্যের কারণে কিছু বর্ণনার মান নিয়ে প্রশ্নের উদ্রেক হলেও গ্রহণযোগ্য বর্ণনাও কিন্ত কম নয়। এর মধ্যে সর্বজন গ্রহণযোগ্য হাদীসটি আলোচিত হয়েছে সুনানে ইবনে মাজাহ এ। হযরত মু‘আয ইববে জাবাল রা. থেকে বর্ণিত তিনি নবীজি সা. থেকে বর্ণনা করেন, আল্লাহ তা‘আলা মধ্য শা‘বানের...
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতির ঘাড়ে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে চেপে থাকা স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে। আমাদের সাহসী তরুণদের এই অভূতপূর্ব আত্মত্যাগ বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। এই বিজয়ের মাধ্যমে এসেছে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার ইস্পাত কঠোর প্রতিজ্ঞা। তিনি বলেন, আমি আজ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে উপস্থিত সবাইকে সঙ্গে নিয়ে স্মরণ করছি, জুলাইয়ে ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানে যেসব দুঃসাহসী ছাত্র-জনতা-শ্রমিক প্ৰাণ দিয়েছেন এবং নির্মমভাবে আহত হয়েছেন তাদের সবাইকে। মহান আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত অভ্যুত্থান এবারের বইমেলায় নতুন তাৎপর্য নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমিতে অমর একুশের বইমেলার উদ্বোধন শেষে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং তার মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের বিনির্মাণ।’ প্রধান উপদেষ্টা...