2025-03-26@06:25:52 GMT
إجمالي نتائج البحث: 10
«১৯৭২ স ল»:
মুক্তিযুদ্ধ জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। এটি পূর্বাপর কোনো ঘটনার সঙ্গে তুলনীয় নয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, সব আমলেই মুক্তিযুদ্ধের গৌরবদীপ্ত ইতিহাসের বয়ানগুলো পক্ষপাতদুষ্ট। যখন যে দল ক্ষমতায় গেছে, তখন তাদের মতো করে মুক্তিযুদ্ধের ন্যারেটিভ দাঁড় করিয়েছে। স্বাধীনতার পর বেতার-টেলিভিশন খুললে মনে হতো, মুক্তিযুদ্ধ যেন আওয়ামী লীগের একার যুদ্ধ ছিল। তখন বেতার-টেলিভিশন-রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অন্য দল ও ব্যক্তির ভূমিকা স্থান পেত না। অথচ অন্যান্য দলও মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ছিল। ন্যাপ (ভাসানী), ন্যাপ (মোজাফ্ফর), কমিউনিস্ট পার্টি (মণি সিংহ) ও মনোরঞ্জন ধরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় কংগ্রেস মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে একাত্ম হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ, মণি সিংহ ও মনোরঞ্জন ধর সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। এর বাইরে সিরাজ সিকদারের সর্বহারা পার্টিসহ আরও বেশ কিছু বাম সংগঠন মুক্তিযুদ্ধে শামিল হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে সিরাজুল...
রমনা পার্কের বধ্যভূমি দৈনিক বাংলা ৮ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭২ ক্ষয়ে যাওয়া পোষাক দেখে কি তাদের সনাক্ত করা যাবে? । হাসিনা আশরাফ। রমনা পার্কের উত্তর পূর্ব কোণটা কি পাক সামরিক চক্রের কোন বধ্যভূমি সমাধিস্থল? রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত রমনা পার্কের উত্তর কোণটার যেদিকে ভূতপূর্ব প্রেসিডেন্ট হাউসের সীমানা শুরু হয়েছে, তার থেকে কিছুটা ভেতরের দিকেই এটি অবস্থিত। পুরো জায়গাটাই প্রায় জুড়ে রয়েছে বেগুনী বর্ণের বোগেন ভিলা বা বাগান বিলাসের রঙিন কুঞ্জ। এই ঝোপটির নীচে বড় বড় কয়েকটি গর্তে এবং পাশের উঁচু স্থানে ইতস্তত ছড়িয়ে রয়েছে নরকংকালের অস্থি এবং মাথার খুলি। মাটির সাথে সমান হয়ে ছড়িয়ে আছে, হঠাৎ দেখলে বোঝা যায় না। জায়গাটা যে সত্যিকার কতখানি বিস্তৃত বার থেকে তা আজ বোঝার উপায় নেই। তবে এখানকার অনেকেই জানিয়েছে যে, পশুরা অসংখ্য মানুষকে ট্রাকে করে...
জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খানের ভাতিজী ফারাহ খান বলেছেন, “ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ১৯৭২ সালে সিরাজুল আলম খান দাদা ভাইর নেতৃত্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের জন্ম হয়। ১৯৭২ সালের পরে এই দলটি যখন বিশাল কিছু করতে পারত, তখন বিভিন্ন কারণে ও নানা ভাগে আমাদের ভাগ করা হয়েছে। শুধু ভাগ করাই হয়নি, দলের আদর্শ থেকে বেড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।” তিনি বলেন, “দলের আদর্শ থেকে বেড়িয়ে আমরা কখনো শেখ হাসিনার হাত, কখনো খালেদা জিয়ার হাতকে শক্ত করেছি। এরশাদ সাহেবের হাতকেও শক্ত করেছি। এটা করতে গিয়ে আমরা নিজেদের হাত শক্ত করতে পারিনি।” শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে খণ্ডিত জাসদকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান উদ্যোক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বরিশাল প্রেস ক্লাবে এই সভার আয়োজন করা হয়। ফারাহ খান বলেন, “৭২ সালে...
আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বান নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী। তিনি বলেন, সরকার, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দলগুলোকে বলবো, দোসরদের প্রতি দয়া দেখাবেন না। সামাজিক, পারিবারিকভাবে তাদের বয়কট করুন। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের একমাত্র সমাধান হলো, তাদের বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যারা খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। শুক্রবার স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে জাতীয় নাগরিক কমিটি আয়োজিত ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বৈরতান্ত্রিক ভিত্তি: জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। নাসির উদ্দীন পাটোয়ারীর বলেন, আমরা যদি আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলে এই নির্বাচনের আগেই সচেষ্ট না হই, তাহলে জনগণের সামনে গভীর সংকট অপেক্ষা করছে। আমরা মনে করি, বাংলাদেশকে একটি গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে...
আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বান নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে জাতীয় নাগরিক কমিটি আয়োজিত 'বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বৈরতান্ত্রিক ভিত্তি: জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, “সরকার, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দলগুলোকে বলবো, দোসরদের প্রতি দয়া দেখাবেন না। সামাজিক, পারিবারিকভাবে তাদের বয়কট করুন। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের একমাত্র সমাধান হলো, তাদের বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যারা খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।” তিনি বলেন, “আমরা যদি আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলে এই নির্বাচনের আগেই সচেষ্ট না হই, তাহলে জনগণের সামনে গভীর সংকট অপেক্ষা করছে।” এ সময় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ. এফ. এম আবদুর রহমান...
গত প্রায় ৫৪ বছরে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভিযাত্রায় দেখা যায়, আমাদের সমস্যা শুধু অর্থনৈতিক, সামাজিক, জনসংখ্যা বা আয়তনগত নয়, রাজনৈতিকও বটে। সুনির্দিষ্টভাবে সেটা হলো, সাংবিধানিক কাঠামোগত বিপত্তি। অন্তত ২০০ বছর ধরে পৃথিবীতে নতুন রাষ্ট্রকাঠামো মূলত গড়ে উঠছে লিখিত সাংবিধানিক দলিলপত্রের মাধ্যমে। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণা ও স্বাধীনতাযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামো নির্মিত হয় ১৯৭২ সালের সংবিধান দিয়ে।তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য প্রস্তুত সাধারণ আইনের মতো করেই সংবিধানটি পাস হয়। এতে এমন একটি রাষ্ট্রকাঠামো নির্মিত হয়েছে, যাতে খুব সহজেই নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে পুরো রাষ্ট্রটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ফলে অনেক ‘হুজুগে’ আর বিভক্তি সৃষ্টিকারী মতাদর্শ সংবিধানে ঢুকে গেছে, যেগুলোর কোনো দাবি বা প্রয়োজন কিছুই ছিল বলে প্রতীয়মান হয় না।জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা আর সমাজতন্ত্র—এই তিন মূলনীতি জনবিভক্তির প্রধান উপাদান বলে দৃশ্যমান হয়েছে।...
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির খসড়া ঘোষণাপত্র ইতোমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত। গত ১৬ জানুয়ারি ‘জুলাই ঘোষণা’ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে সর্বদলীয় এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের আগে একটি খসড়া জুলাই ঘোষণা দলগুলোকে পাঠানো হয়। এ দুটি ঘোষণাপত্রের প্রধান কয়েকটি দিক নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস প্রসঙ্গে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তান মূলত পশ্চিম পাকিস্তানি পুঁজিপতি গোষ্ঠীর কাঁচামাল এবং পুঁজি সংগ্রহের উপনিবেশ হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ এই শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। যার প্রথম প্রকাশ ঘটে বরকত, সালাম, রফিক, জব্বারের রক্তস্নাত বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিপুল বিজয় হয়। এর পর বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ৬ দফা আন্দোলন এবং ১১ দফার ভিত্তিতে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান হয়। ১৯৭০ সালের...
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধানকে ‘ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার লালনের দলিল’ মনে করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারে প্রস্তাবিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের খসড়ায় বাহাত্তরের সংবিধান ‘সংশোধন বা প্রয়োজনে বাতিল’ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়েছে। জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বুধবার (১৬ জানুয়ারি) বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ড. ইউনূস। বৈঠকে উত্থাপিত বহুল আলোচিত জুলাই গণ–অভ্যুত্থান ঘোষণাপত্রের খসড়ায় এটি গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়ায় কীভাবে ছাত্র-জনতার উত্তাল গণবিক্ষোভ গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান, সে প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে।...
আমার শিক্ষক, শিক্ষাগুরু ও পথপ্রদর্শক অধ্যাপক আনিসুর রহমান ৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭২ সালে আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র তখন বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য প্রফেসর আনিসুর রহমান তাঁর কমিশনের কর্মপরিধি কিছুটা কমিয়ে আমাদের ‘মাইক্রো-ইকোনমিকস’ কোর্সটি পড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন (যদিও ’৭১ সালে আমার এমএ পাস করার কথা, কিন্তু ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের কারণে আমরা প্রায় দেড় বছর সেশন-বিলম্বের শিকার হয়েছিলাম)। ওটা ছিল আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সর্বসেরা অর্জন। সেশন-বিলম্ব না হলে আমি আমার শিক্ষাজীবনের সেরা শিক্ষক অধ্যাপক আনিসুর রহমানের সরাসরি ছাত্র হওয়ার সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হতাম। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের আগে তিনি পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অবস্থিত কায়েদ-ই-আযম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। সেই ১৯৭২ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অধ্যাপক আনিসুর রহমান ছিলেন আমার ‘ফিলসফার-গাইড’ ও সার্বক্ষণিক শিক্ষাগুরু। সারাজীবন...