Samakal:
2025-03-09@12:05:27 GMT

নতুন আকর্ষণ ওরস বিরিয়ানি

Published: 8th, March 2025 GMT

নতুন আকর্ষণ ওরস বিরিয়ানি

খাবারে বৈচিত্র্য আর মানের কারণে চট্টগ্রামের ভোজনপ্রিয় মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে চট্টগ্রাম নগরের স্টেডিয়ামপাড়ার নান্দনিক রেস্টুরেন্ট ‘রোদেলা বিকেল’। খাবার তৈরিতে বাছাইকরা সেরা উপাদান ব্যবহার করায় গ্রাহকদের কাছে আস্থার ঠিকানায় পরিণত হয়েছে রেস্তোরাঁটি। প্রতিবারের মতো এবারের রমজানেও ‘রাজকীয়’ ইফতারের আয়োজন করেছে রোদেলা বিকেল। মানের দিক থেকে প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ অন্যদের চেয়ে পুরোপুরি ব্যতিক্রম। এবারের ইফতারের নানা আইটেম তৈরিতে ব্যবহৃত বাছাইকৃত নানা উপাদান অন্যদের চেয়ে রোদেলা বিকেলকে দিয়েছে ভিন্নতা। 
রেস্তোরাঁটি ইফতার তৈরিতে ব্যবহার করছে ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ডের ‘অলিও অরলিও’ ব্র্যান্ডের সানফ্লাওয়ার ওয়েল, সিঙ্গাপুরের চিনি, কোরিয়ার ময়দা, কাশ্মীরের জাফরান, নিউজিল্যান্ডের বাটার অয়েল। দেশি খাঁটি গাওয়া ঘিয়ে তরজাতা উপকরণে এখানে প্রতিদিন ইফতারের নানা আইটেম তৈরি করা হয়। এবারের ইফতারে আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে ওরস বিরিয়ানি। স্পেশাল চিনি গুঁড়া সিদ্ধ চাল দিয়ে তৈরি করা হয় বিশেষ এই আইটেম। প্রতি বৃহস্পতিবার থাকে বিশেষ এই আয়োজন। রোজা শুরুর পর গত বৃহস্পতিবার প্রথম দিনই ওরস বিরিয়ানি খেতে ও বাসায় নিয়ে যেতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে ছুটে আসেন। প্রথম দিনেই অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় বড় পাতিলে রান্না করা আকর্ষণীয় ওরস বিরিয়ানির সবটুকুই। 
রোজাদারদের সুবিধার্থে এখানে সপ্তাহের একেকদিন রাখা হয়েছে ইফতারের একেক আকর্ষণীয় আইটেম। এরমধ্যে শনিবার থাকছে বিফ কাচ্চি বিরিয়ানি ও শুক্রবার মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি। রোজাদারদের জন্য ৪০ পদের ইফতারের এলাহী আয়োজন রয়েছে এই রেস্তোঁরায়। রোজার প্রথম দিন থেকেই এখানকার রুচিশীল ইফতার গ্রাহকদের কাছে বেশ সাড়া ফেলেছে। ভোজনপ্রিয় মানুষদের সুবিধার্থে এখানে আছে প্রতিদিন দুই ধরনের প্যাকেজও। 
রোদেলা বিকেলের ৪০ পদের ইফতারে রয়েছে, দেশি চিকেন হালিম, মাটন হালিম, মেজবানের গরুর মাংস, মিহিদানা, জিলাপি, লাচ্ছা জিলাপি, পাটিসাপটা পিঠা, কিসমিস ফিরনি, স্পেশাল পরোটা, দেশি চিকেন তান্দুরি, চিকেন তান্দুরি, চিকেন চাপ, চিকেন ললিপপ, বিফ বটি কাবাব, প্রণ তন্দুরি, ফিশ ফিঙ্গার, বিফ কাচ্চি ও আকনি বিরিয়ানি, মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি, মাটন পায়া, চিকেন মোমা, চিকেন শর্মা, বিফ এগ রোল, চিকেন এগ রোল, ফিশ টিক্কা কাবাব, টক দই, মিষ্টি দই, ম্যাংগো লাচ্ছি, গরুর নলা, চিকেন শামী কাবাব, সুজির হালুয়া, ঘিয়ে ভাজা লুচি, চিটা পিঠা, চিকেন আলুর চপ, চিকেন সাসলিক, ওরস বিরিয়ানি, মাটন চুইঝাল, মাটন লেগ কোরমা এবং দেশি মোরগ মাসাল্লাম।
৫২০ টাকার প্যাকেজে রয়েছে খেজুর, চনা, পেঁয়াজু, বেগুনি, জাফরান মিল্ক জিলাপি, আনারসের জুস, মেজবানের গরুর মাংস, তান্দুরি চিকেন পরোটা, কুমিল্লার মুড়ি, চিকেন আলুর চপ ও মিনারেল ওয়াটার। ৮২০ টাকার প্যাকেজে আছে, আবুধাবির খেজুর, চনা, পেঁয়াজু, বেগুনি, চিকেন মোমো, কিসমিস ফিরনি, জাফরানি মিল্ক জিলাপি, প্রিমিয়াম হালিম চিকেন অথবা মাটন, সুইট লাচ্ছি, কুমিল্লার মুড়ি, চিকেন এগ রোল, চিকেন আলুর চপ ও মিনারেল ওয়াটার।
রোদেলা বিকেলের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, ‘আমরা কোয়ালিটির সঙ্গে কখনও কম্প্রোমাইজ করি না। একযুগেরও বেশি সময় ধরে খাবারের কোয়ালিটি ধরে রাখতে পারায় অনেক দূর-দূরান্ত থেকেও পছন্দের ও সুস্বাদু ইফতার কিনতে এখানে ছুটে আসেন মানুষ। আমাদের আরেকটি বৈশিষ্ট হচ্ছে প্রতিদিনের আইটেম প্রতিদিন বিক্রি করা। আমাদের কাছে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি সবার আগে। যে কারণে আমরা দেশের বাছাই করা সেরা উপাদান গ্রাহকদের জন্য সংগ্রহ করি। এছাড়াও সিঙ্গাপুর, কোরিয়ার, কাশ্মির, নিউজিল্যান্ডসহ বিশ্বের নামকরা দেশের সেরা সেরা উপাদান ব্যবহার করা হয় নানা আইটেম তৈরিতে। আমরা রান্নার সময় তদারকিটাও খুব শক্তভাবে করি। আমাদের কাছে গ্রাহকের সন্তুষ্টিই সবার আগে।’ 
খুলশি থেকে ইফতার কিনতে আসা রোখসানা হক বলেন, ‘গ্রাহকদের সন্তুষ্টি আর বিশ্বাস বেশিরভাগ হোটেল, রেস্টুরেন্ট বা খাবার বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান অর্জন করতে পারে না। সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রোদেলা বিকেল। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বাস ও আস্থার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ায় অনেক দূর থেকে ইফতার কিনতে এসেছি।’ 
আরেক গ্রাহক ব্যবসায়ী লুৎফুর রহমান বলেন, ‘খাবার তৈরিতে ক্ষতিকর ক্যামিকেল, রং ইত্যাদি ব্যবহার করার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এ কারণে মানুষের মধ্যে একটা ভয় বেশি কাজ করে কোন প্রতিষ্ঠানের ইফতার কেমন তা নিয়ে। পেট খারাপ হওয়া বা স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ কি না সেটা নিয়েও দুশ্চিন্তার শেষ নেই। তবে প্রায় ছয়বছর ধরে আমি প্রতিবছর পুরো রমজান মাসে পরিবারের জন্য এখান থেকেই ইফতার কিনে আসছি। এখানকার ইফতার যেমন রুচিশীল; তেমনি সুস্বাধুও। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো রোদেলা বিকেল মানের দিক দিয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইফত র ওরস ব র য় ন ব যবহ র কর গ র হকদ র ইফত র ক ন র ইফত র ইফত র র উপ দ ন র জন য আইট ম

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ষণের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান জিরো টলারেন্স: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হ‌বে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

রবিবার (৯ মার্চ) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশে ধর্ষকদের কোনো স্থান হবে না। মাগুরার ঘটনায় যারা অভিযুক্ত তাদের সবাইকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে কাজ করবে সরকার। একইভাবে যদি দেশের কোথাও নারীর প্রতি কোনো সহিংসতা বা ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটে, তাদেরকে সম্পূর্ণভাবে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’।

আরো পড়ুন:

স্বরাষ্ট্র সচিব
কিশোর গ্যাংয়ের ছেলেরা দৌড়াচ্ছে, ভারী বুট পরা পুলিশ তার পিছনে দৌড়াতে পারে না

এবার জিনিসপত্রের দাম গতবারের চেয়ে কম: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

“ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধর্ষণসহ সব ধরনের নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এ পর্যন্ত নারীর প্রতি যত সহিংসতা হয়েছে সেগুলোর তালিকা করে দ্রুত তদন্ত সম্পন্নপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছি।”

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে এবং কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে ব‌লেও জানান তি‌নি।

নারীরা নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে ঘরে-বাইরে দায়িত্ব পালন করবে। এতে যারা তাদের বাধা দিতে আসবে, সহিংসতা করতে আসবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে জা‌নি‌য়ে উপ‌দেষ্টা ব‌লেন, “এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন ও সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।”

এখন কোনো নারী নিরাপত্তাহীন বোধ করলে পুলিশের কাছে গিয়ে সে কি নিরাপত্তা পাবে-এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “পুলিশের কাছে গেলে যদি কেউ প্রতিকার না পায়। সেটা আমার নজরে আনবেন, আমি ওই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”

কোনভাবেই কোনো নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনকে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না জা‌নি‌য়ে উপদেষ্টা বলেন, “গত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সদস্যরা বায়তুল মোকাররম এলাকায় একটি মিছিল করে। পরে পুলিশের বাধার মুখে সেটি পণ্ড হয়ে যায় ও তাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সরকার এ বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।”

সংঘবদ্ধ মব দুষ্কৃতিকারীদের বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “কিছুদিন আগে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় এক এসআইকে কিছু স্থানীয় মাদকসেবী, দুষ্কৃতিকারী ও ছিনতাইকারীরা মব সৃষ্টি করে মারধর করেছে, যাদেরকে পরবর্তীতে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর যেকোনো আক্রমণ বরদাস্ত করা হবে না, কঠোর হস্তে তা দমন করা হবে।”

রমজানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর জানিয়ে তিনি বলেন, “রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রায় শতাধিক তল্লাশি চৌকি বা চেকপোস্ট বসানো হয়েছে ও অপরাধপ্রবণ এলাকায় টহল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও বিজিবির সমন্বয়ে যৌথবাহিনী টার্গেট এলাকাসমূহে জোরদার অপারেশন পরিচালনা করছে। এসব চেকপোস্ট এবং টহল দলের রাত্রিকালীন কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়মিত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”

তি‌নি ব‌লেন, “রমজানে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই প্রতিরোধ এবং বিভিন্ন বিপণী বিতানে যাতায়াতকারী ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তারা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।”

“রমজান ও আসন্ন ঈদে সাধারণ জনগণের বাড়ি যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে মহাসড়কসমূহে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে,” ব‌লেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “যেসব অপরাধের ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যাবে, সেগুলো সংগ্রহ করে ফ্যাক্ট চেকিং করে অপরাধীদের শনাক্তকরণ করা হবে এবং আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ