বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া
Published: 28th, April 2025 GMT
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে সেনা পাঠানোর কথা স্বীকার করেছে উত্তর কোরিয়া। মূলত এতদিন কোরিয়া এ বিষয় মুখ না খুললেও সোমবার প্রথমবারের মতো সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি।
১৯৫০ সাল থেকে ১৯৫৩ সালের কোরিয়া যুদ্ধের পর উত্তর কোরিয়া এই প্রথম কোনো সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নিলো।
সোমবার উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারে বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে গতবছর সেনা পাঠায় তারা।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউক্রেনের গোয়েন্দা দপ্তর জানিয়েছিল, গত বছর শীত আসার আগে উত্তর কোরিয়া ১০ থেকে ১২ হাজার সেনা রাশিয়ায় পাঠায়। এতদিন কোরিয়া এ বিষয় মুখ না খুললেও, সোমবার প্রথমবারের জন্য সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে তারা।
মূলত এতদিন কোরিয়া এ বিষয় মুখ না খুললেও সোমবার প্রথমবারের মতো সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি। সোমবার উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারে বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে গতবছর সেনা পাঠায় তারা।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউক্রেনের গোয়েন্দা দপ্তর জানিয়েছিল, গত বছর শীত আসার আগে উত্তর কোরিয়া ১০ থেকে ১২ হাজার সেনা রাশিয়ায় পাঠায়। এতদিন কোরিয়া এ বিষয় মুখ না খুললেও, সোমবার প্রথমবারের জন্য সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে তারা।
দুদিন আগেই রাশিয়া ঘোষণা করে কুরস্ক অঞ্চল তারা পুনরুদ্ধার করেছে। এর দুদিন বাদেই উত্তর কোরিয়া সেনা পাঠানোর কথা ঘোষণা করে। ইউক্রেন যদিও রাশিয়ার এই দাবি মানেনি।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে নর্থ কোরিয়া মিলিটারি কমিশনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক চুক্তি অনুযায়ী সেখানে সেনা পাঠান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং কিম জং উনের মধ্যে ২০২৪ সালে এই সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এই চুক্তি অনুসারে দুই দেশের মধ্যে কোনো একটি আক্রান্ত হলে অপর দেশটি তাকে সামরিক সাহায্য করবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে ঠাণ্ডা যুদ্ধের পর এটিকে দুই দেশের মধ্যে সব থেকে বড় সামরিক চুক্তি বলে মনে করা হয়।
সোমবারে প্রকাশিত কোরিয়ার ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ইউক্রেনের আগ্রাসনকারীদের প্রতিহত করে কুরস্ক অঞ্চলকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যেই রাশিয়াকে সাহায্য করেছে কোরিয়ার সেনা।”
কিম বলেছেন, “ন্যায়বিচার এবং মাতৃভূমির সম্মান রক্ষায় যারা লড়েন তারা দেশের হিরো”। তিনি আরও জানান, নিহত সেনাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে পিয়ংইয়ংয়ে সৌধ স্থাপিত হবে। সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারের প্রতিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে।
অবশ্য মোট কত সেনা পাঠানো হয়েছে এবং কত সেনার প্রাণ গেছে সে বিষয়য় উত্তর কোরিয়া কিছু না জানালেও, গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাশিয়াতে প্রায় চার হাজার উত্তর কোরিয়ার সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। এরপর আরও তিন হাজার সেনা পাঠানো হয় বলেও জানিয়েছে তারা।
উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী ভালোভাবে প্রশিক্ষিত এবং শৃংখলাপরায়ণ হলেও অভিজ্ঞতার অভাবে এবং অপরিচিত অঞ্চল সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে তারা প্রাণ হারাচ্ছেন বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউক র ন প ঠ ন র ব ষয়ট এতদ ন ক র য় স ব ক র কর স হ য য কর ইউক র ন র
এছাড়াও পড়ুন:
ন্যাশনাল অ্যানাটমি অলিম্পিয়াডে সালমান ও জেবুন্নেসা চ্যাম্পিয়ন
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল অ্যানাটমি অলিম্পিয়াডে এমবিবিএস ক্যাটেগরিতে চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সালমান তারেক। প্রতিযোগিতায় বিডিএস ক্যাটেগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী জেবুন্নেসা রিয়া।
গত শুক্রবার সকালে নগরের ফয়’স লেকের সি ওয়ার্ল্ডে ৮০ জন প্রতিযোগীর লড়াইয়ে এ দু’জন চ্যাম্পিয়ন হন।
এ ছাড়া এমবিবিএস ক্যাটেগরিতে প্রথম রানারআপ হন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী লাবিবা ফাইরুজ এবং দ্বিতীয় রানারআপ হন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আবরার বিন শফি। বিডিএস ক্যাটেগরিতে রানারআপ হয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের শিক্ষার্থী নাহমির ইসলাম চৌধুরী। বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা স্মারক, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন অতিথিরা।
মেডিকেলভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওয়াই স্যাব-এর একাডেমিক প্ল্যাটফর্ম ‘হেলথ স্কুল’ ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এপিক হেলথ কেয়ারের যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ন্যাশনাল অ্যানাটমি অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। গেস্ট অব অনার ছিলেন সরকারের স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান। কি নোট স্পিকার ছিলেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. সাকলায়েন রাসেল ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার। বিশেষ অতিথি ছিলেন এপিক হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এসএম লোকমান কবির, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এসএম আবু সুফিয়ান, পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. আনোয়ার হোসেন। অলিম্পিয়াড সঞ্চালনা করেন ওয়াই স্যাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সুলতানা রুমা আলম। উপস্থিত ছিলেন হেলথ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ডা. হামিদ হোছাইন আজাদ।
প্রধান অতিথি ডা. শাহাদাহ হোসেন বলেন, ‘অ্যানাটমি অলিম্পিয়াড দেশে প্রথম হচ্ছে এবং এটি হচ্ছে চট্টগ্রামে আর আমি এই চট্টগ্রাম শহরের মেয়র। আমি একজন চিকিৎসক। তাই চিকিৎসক হিসেবে এটি আমার জন্য গর্বের। আমার জন্য প্রথম অভিজ্ঞতাও। তাই আমি আয়োজকদের কাছে আশা করব, এমন সৃষ্টিশীল আয়োজন আগামীতেও যেন অব্যাহত থাকে।’
ডা. সাকলায়েন রাসেল বলেন, এনাটমি অলিম্পিয়ার্ডে চিকিৎসা পেশায় উৎসাহমূলক অনেক কথাই আলোচন হয়েছে। এখানে চিকিৎসা পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে নির্দেশনা এবং নানা কৌশলের কথাও আসছে। তাই আমি মনে করি মেডিকেল শিক্ষার্থীরা এই আয়োজন থেকে চিকিৎসা পেশা নিয়ে মৌলিক অনেক ধারনা অর্জন করতে পারছেন।
বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার বলেন, চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিতদের গুরুত্বপূণ একটি অনুষঙ্গ মেডিকেল এথিকস। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এনাটমি অলিম্পিয়াডের মত একটি অনুষ্ঠানে মেডিকেল এথিকস নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এটি তাদের শিক্ষা এবং পেশা জীবনে অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এপিক হেলথ কেয়ারে চেয়ারম্যান প্রকৌশলী লোকমান হাকিম বলেন, এটি একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন। এ আয়োজনে পাশে থাকতে পেরে আমরা ধন্য মনে করছি। আগামীতেও এমন সৃজনশীল আয়োজনে এপিক পাশে থাকবে। একই সঙ্গে আগামীতে আয়োজনটি বড় পরিসরে করার পরিকল্পনা করা হবে।
প্রসঙ্গত, মেডিকেল ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওয়াই স্যাব এর একাডেমিক প্ল্যাটফর্ম ‘হেলথ স্কুল’ প্রতিযোগীতায় এবার প্রথম পর্যায়ে দেশের ৮ বিভাগের ১২০টি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত চলে বাছাই পর্ব। নির্বাচিত ৮০ জনকে নিয়ে শুক্রবার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়