ঈশ্বরদীতে বৈশাখী সাহিত্য উৎসব: দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিকদের মিলনমেলা
Published: 17th, April 2025 GMT
দুই বাংলার খ্যাতিমান কবি, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিপ্রেমীদের অংশগ্রহণে পাবনার ঈশ্বরদীতে সম্পন্ন হলো তিন দিনব্যাপী "চরনিকেতন বৈশাখী সাহিত্য উৎসব ২০২৫"। চরগড়গড়ি গ্রামের চরনিকেতন কাব্যমঞ্চে আয়োজিত এই উৎসব ছিল সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং মিলনমেলার এক অপূর্ব সম্মিলন।
সোমবার শুরু হয়ে বুধবার রাত পর্যন্ত চলা এই উৎসবের মূল আয়োজনে ছিল—বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা, বাউল গান ও দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশনা, কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, সাহিত্য বিষয়ক সেমিনার, নববর্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং কবি মজিদ মাহমুদের ৬০তম জন্মোৎসব ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
উৎসবে ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শতাধিক কবি-সাহিত্যিক অংশ নেন। কবি মজিদ মাহমুদের সভাপতিত্বে আয়োজিত উৎসবের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রাজনীতিক হাবিবুর রহমান হাবিব। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম।
উৎসবে বক্তব্য রাখেন কবি শেখ রবিউল হক, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কবি-গীতিকার আব্দুল খালেক বিশ্বাস, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন, সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম সনু ও সাধারণ সম্পাদক এস আলমগীর।
ঢাকা থেকে আগত বিশিষ্ট কবিদের মধ্যে ছিলেন—শামসুদ্দিন হীরা, আজিজুল বাশার, ফিরোজ শাহ, রুবিনা আজাদ, মেহেদী হাসান আকাশ, আফতাব আহমেদ মাহবুব, মাকসুদা ইয়াসমিন, রুদ্র রোমিও, লুৎফুন নাহার সোনিয়া, জাকির মোল্লাসহ অনেকে।
ভারত থেকেও কবি অরূপ কুমার ভুঁইয়ার উপস্থিতি এই উৎসবকে আন্তর্জাতিক মাত্রা দিয়েছে।
সাহিত্য উৎসবের শেষ দিনে কবি মজিদ মাহমুদের ৬০তম জন্মদিন উদযাপন করা হয় ব্যাপক আয়োজনে। তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা জানিয়ে সাহিত্যপ্রেমীরা বলেন, “চরনিকেতন শুধু একটি সাহিত্য মঞ্চ নয়, এটি একটি চেতনার নাম। মজিদ মাহমুদ আমাদের গর্ব।”
আয়োজকরা জানান, এই ধরনের উৎসব শুধুমাত্র সাহিত্য চর্চা নয়, বরং দুই বাংলার মধ্যে সংস্কৃতি ও বন্ধনের সেতুবন্ধন তৈরি করে। ঈশ্বরদীতে এমন আয়োজন ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি।
সাহিত্যপ্রেমী ও সাধারণ মানুষদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসবটি হয়ে উঠেছিল এক প্রাণবন্ত সাহিত্য মিলনমেলা। এই উৎসব প্রমাণ করেছে—সাহিত্য এখনো সমাজের প্রাণ, সংস্কৃতির বাতিঘর।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব শ খ উৎসব এই উৎসব
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: নিরাপত্তা উপদেষ্টা
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে আরাকানকে নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে সব পক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রত্যাশা মতে, আগামী ঈদের আগেই যাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হয় সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ায় রাখাইন সম্প্রদায়ের বর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রেং—১৩৮৭ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. খলিলুর রহমান আরো বলেন, আমি আজকেও (শুক্রবার) রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি। তাদের সাথে কথা বলেছি। একসাথে নামাজ আদায় করেছি। তাদেরকে বলছি যে, আন্তর্জাতিক ফোরামে তারা যেন প্রত্যাবাসন বিষয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।
ড. খলিলুর রহমান রাখাইনদের উৎসব প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ সকল ধর্মের, সকল নৃ—গোষ্ঠীর এবং সকল সংস্কৃতির একটি দেশ। আমাদের দেশের এই সময়টা উৎসবের সময়। তিনি বর্ষবরণের চমৎকার অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রতি অভিনন্দন জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন।