রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে যেকোনো চুক্তির আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইউক্রেন সফরের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএসের ‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ আহ্বান জানান। জেলেনস্কি ট্রাম্পের উদ্দেশে বলেন, ‘যেকোনো ধরনের সমঝোতার আগে অনুগ্রহ করে ইউক্রেনের মানুষ, বেসামরিক লোকজন, যোদ্ধা, হাসপাতাল, গির্জা ও শিশুদের দেখে যান। খবর-বিবিসি

ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সুমি শহরে রাশিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ৮৪ জন। রোববার সকালে দুই দফায় সুমি শহরের প্রাণকেন্দ্রে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এই হামলার আগে সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছিল। 

সরকারি চ্যানেলগুলোতে হামলার ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সেখানকার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়া উড়তেও দেখা গেছে। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইহোর ক্লাইমেঙ্কো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, হামলায় অন্তত ৮৪ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাতটি শিশু রয়েছে।

হামলা নিয়ে সুমি শহরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আরতেম কোবজার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিবৃতিতে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই উজ্জ্বল পাম সানডেতে আমাদের সম্প্রদায় এক ভয়াবহ বিয়োগান্তক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। দুঃখজনকভাবে আমরা জানতে পেরেছি যে ইতিমধ্যে ৩১ জন নিহত হয়েছেন।’

হামলা নিয়ে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। তিনি বলেন, মানুষ যখন একটি বিশেষ দিনে গির্জায় যাচ্ছিলেন, তখন ভয়াবহ হামলায় অনেকেই হতাহত হয়েছেন।

ইউক্রেনে তিন বছরের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। গত জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর পর থেকে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেন—দুই পক্ষেই লাখো মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তাঁদের বেশির ভাগই সেনাসদস্য। এ ছাড়া জাতিসংঘের হিসাবে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ লাখ ইউক্রেনীয় শরণার্থী হিসেবে জীবনযাপন করছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

‘কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়’

একদিকে টলটলে জলের পুকুর। মৃদু বাতাসে ছোট ছোট ঢেউ তুলে তিরতির করে কাঁপছে। অন্য পাশে গ্রামীণ সড়ক চলে গেছে। সঙ্গে কিছু কলাগাছ, বুনো গাছ নিয়ে একা দাঁড়িয়ে আছে তালগাছটি। এ এক চিরায়ত লোকজ গ্রামীণ চেনা চেহারা। তালগাছ এখন অনেকটা কমে গেছে, তারপরও গ্রাম থেকে একেবারে হারিয়ে যায়নি। এখনো গ্রামের কোনো পুকুর বা দীঘির পাড়ে, পথের পাশে দু-একটা তালগাছ দাঁড়িয়ে থাকে।

শত শত বছর ধরে স্থপতি বাবুই পাখির আশ্রয় হয়ে আছে তালগাছ। এখন অনেকটা বিলুপ্তির দিকে থাকলেও তালগাছের পাতা বাবুই পাখির পরিচিত মাতৃকোল। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের গয়ঘর গ্রামে এ রকম একটি তালগাছ এখন বাবুই পাখির বাসায় ভরে উঠেছে, যা আলাদাভাবে অনেকের নজর কাড়ছে।

গয়ঘর গ্রামের মো. আমির জানান, তাঁদের গ্রামের একটি তালগাছে বাবুই পাখি বাসা করেছে। অনেকগুলো বাসা। বাবুই পাখি তালগাছে বাসা বোনে, এটা গ্রামীণ প্রকৃতির একটি সহজাত অংশ। এটা আলাদা কোনো বিষয় নয়। কিন্তু দিনে দিনে তালগাছ কমে গেছে। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু তালগাছ থাকলেও সবখানে এখন আর এই পাখির চোখজুড়ানো বাসা খুব একটা চোখে পড়ে না।

বাসা বানায় পুরুষ বাবুই পাখি

সম্পর্কিত নিবন্ধ