রাজধানীর র্যাংগস ই-মার্টে এসি কার্নিভাল শুরু
Published: 12th, April 2025 GMT
রাজধানীর র্যাংগস ই-মার্টে শুরু হয়েছে এসি কার্নিভাল। শনিবার (১২ এপ্রিল) র্যাংগস ই-মার্টের গুলশান-২ শোরুমে এই কার্নিভাল ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফেয়ার গ্রুপের চিফ মার্কেটিং অফিসার মেসবাহ উদ্দিন, হাইসেন্স দক্ষিণ এশিয়া অফিসের জেনারেল ম্যানেজার জেসন ওয়াং এবং সেলস ডিরেক্টর টেরি লিয়াং।
র্যাংগস ইমার্ট থেকে উপস্থিত ছিলেন ইয়ামিন শরীফ চৌধুরী, ডিভিশনাল ডিরেক্টর মো.
ফেয়ার গ্রুপের চিফ মার্কেটিং অফিসার মেসবাহ উদ্দিন বলেন, “র্যাংগস ই-মার্ট এসি কার্নিভাল আমাদের গ্রাহকদের উন্নত সেবা এবং বিশ্বমানের পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি আমাদের গ্রাহকদের কাছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সহজলভ্য করার পাশাপাশি, তাদের চাহিদা পূরণে আমাদের অঙ্গীকারকে আরো দৃঢ় করবে।”
হাইসেন্স দক্ষিণ এশিয়া অফিসের জেনারেল ম্যানেজার জেসন ওয়াং উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “র্যাংগস ইমার্টের এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। হাইসেন্স এয়ার কন্ডিশনার আমাদের গ্রাহকদের জীবনে আরাম এবং স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে আসে। আমাদের লক্ষ্য হলো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং পরিবেশ-বান্ধব সল্যুশন তৈরি করা, যা আপনার জীবনের মান উন্নত করবে। দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে আমাদের এসি পণ্যগুলোর সাফল্য আমাদের প্রতিশ্রুতিকে প্রমাণ করে এবং আমরা ভবিষ্যতে আরো উদ্ভাবন এবং উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”
ক্যাম্পেইনটি সম্পর্কে ডিভিশনাল ডিরেক্টর ইয়ামিন শরীফ চৌধুরী বলেন, “র্যাংগস ই-মার্ট সবসময় গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মানের পণ্য এবং সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসি কার্নিভাল ক্যাম্পেইন আমাদের সেই অঙ্গীকারেরই একটি মাইলফলক, যা গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। সামারকে সামনে রেখেই আমাদের এই উদ্যোগ, যেন ক্রেতারা তাদের পছন্দের যেকোনো ব্র্যান্ডের এসি সহজেই নিতে পারেন।
ক্রেতাদের সুবিধার্থে র্যাংগস ইমার্টের এই কার্নিভালে থাকছে ৬টি ব্র্যান্ড হাইসেন্স, এলজি, প্যানাসনিক, হুন্দাই, দাইকিন এবং তোশিন র্যানকনসহ আরো অনেক প্রিমিয়াম গ্লোবাল ব্র্যান্ড এর ৪৮,৫০০-১,৪০,০০০ পর্যন্ত মূল্যের ২৩ টিরও বেশি এসি। এই কার্নিভালে আরো থাকছে দুর্দান্ত অফারসহ প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের এসি জিতে নেওয়ার সুযোগ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফ্রি ইন্সটলেশন সুবিধা, নির্দিষ্ট কিছু ব্র্যান্ডের এসিতে এক্সটেন্ডেড ওয়ারেন্টি, এসি ফ্রি ক্লিনিং সার্ভিস, ফ্রি ডেলিভারি এবং ২৪ মাস পর্যন্ত ০% ই এম আই সুবিধা। আমরা বিশ্বাস করি, এই ক্যাম্পেইন গ্রাহকদের জন্য একটি সময়োপযোগী আয়োজন।”
ঢাকা/হাসান/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক য ম প ইন গ র হকদ র হ ড অব আম দ র অফ স র
এছাড়াও পড়ুন:
বাণিজ্য কূটনীতি জোরদার ও সক্ষমতা বাড়াতে হবে
গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কের সম্ভাব্য ঝুঁকি নিরসনে বাণিজ্য কূটনীতি জোরদার ও নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। তা ছাড়া ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের পর সব দেশেই পণ্য রপ্তানিতে বাড়তি শুল্কের মুখোমুখি হতে হবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন বাণিজ্য জোটে অংশগ্রহণ ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ওপর জোর দিতে হবে।
রাজধানীর এফডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) গঠিত হয়েছিল। কিন্তু প্রভাবশালী দেশগুলো ডব্লিউটিওর নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করে না। তাই সংস্থাটি সেভাবে প্রভাব রাখতে পারেনি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র শুল্কহার বৃদ্ধিতেও নিয়মকানুনের ধার ধারেনি।
তিনি বলেন, বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থা ঠিকমতো কাজ করে না। যে কারণে সমমনা কয়েকটি দেশ মিলে একাধিক বাণিজ্যিক জোট গড়ে তুলেছে। আমাদের তিন বছর পর এলডিসি থেকে বের হবে এমন দেশ কম্বোডিয়াও অর্থনৈতিক জোট আরসিইপি ও আসিয়ানের সদস্য। অথচ বাংলাদেশ এসব জোটের সদস্য নয়। তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য বাড়াতে অনেক দিন ধরেই বেশ কিছু দেশের সঙ্গে এফটিএ এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি করা হবে বলা হচ্ছে। বাস্তবতা হচ্ছে, প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনামের প্রায় ৫০ দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। বাংলাদেশ শুধু ভুটানের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই করেছে। ট্রাম্পের উচ্চ শুল্কনীতি বাংলাদেশের জন্য সতর্কবার্তা বলে মন্তব্য করে তিনি জাপান, সিঙ্গাপুরসহ আরও কিছু দেশের সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব এ ধরনের চুক্তি করার তাগিদ দেন।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুল্ক আরোপ নিয়ে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে স্পষ্ট যে, বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশও এ চ্যালেঞ্জের বাইরে নয়। তবে ৩৭ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপে ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ বাংলাদেশের জন্য কিছুটা স্বস্তির। এরপর কী অবস্থা দাঁড়াবে বোঝা যাচ্ছে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে এ সংকট মোকাবিলা কতটুকু সম্ভব– এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কে কতটুকু ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারবে, তা নির্ভর করবে প্রস্তুতি ও সক্ষমতার ওপর। এ ধরনের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজনৈতিক প্রস্তুতিও দরকার। একটি দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা শক্তিশালী হওয়ার মাধ্যমে নৈতিক অবস্থান ভালো থাকলে অন্য দেশের সঙ্গে দরকষাকষি ভালো হয়। তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে সহিংসতা ও ভাঙচুর হলে বিনিয়োগকারীরা শঙ্কায় পড়বেন। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা হলে বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের বিপরীতে বাংলাদেশের পাল্টা ট্রানজিট বাতিল করা ঠিক হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমে উচিত হবে এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা। অনেক সময় অনেক দেশ পাল্টা সিদ্ধান্ত নেয়, যা ভালো কোনো উপায় নয়।