২৪ ঘণ্টায় কোটিপতি নিলয়-হিমি, সামার ভ্যাকেশনে মেতেছে দর্শক
Published: 12th, April 2025 GMT
অজপাড়া গায়ের মেয়ে তাহমিনা। মেধাবী ও লক্ষী। গ্রাজুয়েশন করেছে। তবে যথা সময়ের বিয়ে না করায় গ্রামে তাকে সবাই আইবুড়ো মেয়েই বলে। বিয়ে না করায় তাহমিনার উপর জ্বীনের আছর আছে বলেও ছড়ানো হয়। কিন্তু এসবের বাইরে তাহমিনার বড় একটা পরিচয় আছে। যে পরিচয় কেউ জানে না।
অন্যদিকে জয়নাল উড়নচণ্ডী স্বভাবের ছেলে। সারাদিন বন্ধুদের সাথে ঘুড়ে বেড়ায়, বাবার টাকা ওড়ায়। বাবা সরকারি চাকরিজীবী, ঘুষ ও দুর্নীতির টাকায় বাড়ি-গাড়ি করেছেন। জয়নাল গরমের ছুটি কাটাতে আসে মামা বাড়িতে অজপাড়া গায়ের ফিল নিতে। এখানে এসে মামাতো ভাইদেরর সঙ্গে গভীর রাতে পিকনিক করার জন্য এর ওর বাড়িতে মুরগি চুরি করে। তাহমিনাদের বাড়িতে চুড়ি করতে এসেই দেখতে পায় তাহমিনাকে এবং প্রেমে পড়ে যায়তার। ঘটতে থাকে নানা নাটকীয় ঘটনা।
এমন গল্পেই নির্মিত হয়েছে নাটক সামার ভ্যাকেশন। যাতে প্রধান দুই ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নিলয় আলমগীর ও হিমি। নাটকটি ভার্সেটাইল মিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশের পর ২৪ ঘণ্টায় মিলিয়ন দর্শক দেখে ফেলেছেন। কমেন্টের ঘরে কেউ বলছে, এক কথায় অসম্ভব সুন্দর একটি নাটক। মনে হলো তারাতারিই শেষ হয়ে গেল। কেউ আবার বলছে, নিলয়-হিমি দারুণ। তাদের নাটক দেখতে অন্যরকম এক আনন্দ লাগে। নিলয় হিমি সেরা জুটি।
সাথী নামের একজন লিখেছেন, নিলয় ভাই ও হিমী আপু সেরা জুটি। এ জুটির নাটক গুলো মানে হিট সামার ভ্যাকেশন নাটকটা এককথায় ফাটাফাটি এ নাটকের পুরো টিমের অভিনয় ভীষণ সুন্দর হয়েছে।
এমনিতেই টিভি কিংবা ইউটিউব নাটকে নিলয়-হিমি এখন ভরসার নাম। তাদের নাটক মানেই মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ। তাই উৎসব মানেই নিলয়-হিমি জুটির নাটক প্রচার হয় ডজন ডজন। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের ঈদ আয়োজনে নিলয় হিমির নতুন সংযোজজন সামার ভ্যাকেশন। যে নাটকটি কিছুটা কমিডি ঘরানার। কিন্তু তাতে নেই ভাড়ামি। গল্পে অজপাড়া গায়ের সুন্দর একটি গল্প চিত্রায়িত হয়েছে। যাতে আছে নারী উন্নয়নের গল্প ও সামাজিক মূল্যবোধের বার্তাও।
নাটকটি পরিচালনা করেছেন নির্মাতা মাহমুদ হাসান রানা বলেন, নিলয় আর হিমি নাটকের সফল জুটি। যে কোনো গল্পের কাজ করে তাদের উপর ভরসা করা যায়। সামার ভ্যাকেশন সুন্দর একটি গল্পের নাটক। যে গল্পে কমেডি আছে, গল্প আছে আছে সামাজিক বার্তাও। প্রচারের পর তাই বেশ সাড়া পাচ্ছি।
নিলয় হিমি ছাড়াও নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাবরিনা রনি,জুলফিকার চঞ্চল, ইমরান আজান, আশরাফুল ইসলাম বাবু, মোহিত তমালসহ অনেকেই।
‘সামার ভ্যাকেশন’ নাটকটি ভার্সেটাইল মিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে দেখা যাচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন টক র ন টক কর ছ ন স ন দর ন টকট
এছাড়াও পড়ুন:
মুছে যাক গ্লানি...
বৈশাখের প্রথম দিনটার প্রহর গুনতে শুরু করেছেন নিশ্চয়ই! লাল-সাদা পাঞ্জাবি আর জিন্স পরে সেদিন রঙের খেলা দেখাবেন বন্ধুদের। আর প্রিয় মানুষটিকে মনের কথাটা জানাবেন রঙচঙা সে দিনটায়। আপনিও কি সেই দলে?
মেলাই নববর্ষের প্রাণ
নববর্ষ পালনের ধরনটা একেক দেশে, একেক জাতির কাছে একেক রকম। বিদেশের কথা বাদ দিয়ে দেশে চোখ রাখি আমরা। যেমন ঢাকার নববর্ষের মূল আকর্ষণ আনন্দ শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তা-ইলিশ এসবে। সারাদেশে কিন্তু ঢাকার মতো এমন ঘটা করে শোভাযাত্রা চোখে পড়ে না। তবে পুরো দেশের কথা ভাবলে মেলাই হচ্ছে নববর্ষের প্রধান বিষয়। বৈশাখী মেলা। রাজ্যের মানুষ হাজির হয় সেখানে। এখানে ধর্ম-বর্ণ এবং গোত্র বলতে কিছু নেই। এসব মেলার আয়োজক স্থানীয়রা। বৈশাখে সারাদেশ মেতে ওঠে রাজ্যের খেলাধুলায়। এখনও পহেলা বৈশাখে বলীখেলা হয় চট্টগ্রামে। পহেলা বৈশাখ আর বলীখেলা যেন অঙ্গাঙ্গী মিশে আছে। নববর্ষের উৎসবে আরও দেখা যায় মুরগির লড়াই, গরুর দৌড় ও ঘোড়দৌড়! ঐতিহ্যের হাত ধরে নতুন সংস্কার, নতুন সংস্কৃতি, নতুন চিন্তাধারার স্রোতে এসে আজ মিলেছে আমাদের উৎসব উদযাপন। জীর্ণ, পুরোনো, মিথ্যা, অসত্যকে হটিয়ে আবির্ভূত হয় নতুন, সত্য, নবজীবন। এর প্রতীক হয়ে ওঠে কালবৈশাখী। এই কালবৈশাখীই নববর্ষের সহচর। সুন্দরের অগ্রপথিক!
সেই আদিকাল থেকে
সেই আদিকাল থেকে মানুষ বছরের এই দিনে রোজকার চেনা রুটিন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে মেতে উঠে উদযাপনে। ঘরবাড়ি ধুয়েমুছে ধোপদুরস্ত পোশাকে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করে পানাহারে মেতে ওঠে। জড়ো হয় বটতলায়, মাঠেঘাটে খেলায় বসে পড়ে, তড়াক-পুকুরে সাঁতার কাটে, ডুব দেয় ও নদ-নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সবকিছু মিলে দেশটা হয়ে ওঠে উৎসবমুখর।
চাতকের আকুতি
চৈত্র শেষে বৈশাখের শুরু থেকে দেখা যায় গ্রীষ্মের তাপদাহ। আকাশ থেকে যেন আগুন ঝরে এ সময়টায়। গাছের ছায়ায় ঝিমুয় পশু-পাখি। মানুষের হাতে তালপাখা। চাতকেরা চেঁচাতে থাকে পানির জন্য। চাতকের আকুতি মানুষের কণ্ঠেও ঝরে পড়ে হাহাকার হয়ে। মেঘের কাছ থেকে জল ভিক্ষা করাও বাংলা নববর্ষের আরও একটা সর্বজনীন অনুষ্ঠান। বাংলাদেশে এমন আকুতি কৃষিপ্রধান দেশেরই প্রতিধ্বনি। যতই আমরা শিল্প শিল্প বলে চেঁচাই, কৃষিই আমাদের গর্ব। কৃষি আমাদের সব। আর কে না জানে, এই কৃষিতে ভর করে বাংলা নববর্ষের এ উচ্ছ্বাস। এ উদ্দাম। এ উৎসব। খাজনা, হালখাতা, পুণ্যাহ– সবই কৃষিনির্ভর দেশের বৈশাখী আয়োজন।
সামলান নিজেকে
বয়সের প্রায় প্রতিটি ধাপেই রং পাল্টায় সৌন্দর্য। ঠিক বৈশাখের মতো করে। কিংবা বৈশাখ আমাদের নতুন করে তা মনে করিয়ে দেয়। সেটি যৌবনে যেমন হতে পারে, তেমনি বৃদ্ধ বয়সেও হতে পারে। এটাই স্বাভাবিক। বয়সের সঙ্গে এই সৌন্দর্যটা মেনে নিলে হয়। এই মানামানির চুক্তিটা প্রতিটি কাজের সঙ্গে করে নিতে পারলে সহজে শৃঙ্খলে চলে আসে যাযাবর জীবনটাও!
বরণ করুন হাসি মুখে
বছর ঘুরে আবার আসছে পহেলা বৈশাখ। এ বিশেষ দিনটিকে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মিশেলে সাজাতে এর মধ্যে শুরু হয়েছে নানা প্রস্তুতি। এ প্রস্তুতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ আপনি। বিগত বছরের সব দুঃখকে ভুলে নতুন বছরকে বরণ করে নিন হাসিমুখে। প্রস্তুতি নিন বৈশাখের সঙ্গে নিজেকে রাঙানোর। প্রিয় মানুষটিকে মনের কথা জানানোর জন্য বেছে নিতে পারেন এই রঙচঙে দিনটিকে! u