কালো রঙের শার্ট পরে মাঝে দাঁড়ানো অভিনেতা জাহিদ হাসান। তার ডান পাশে তৌকির আহমেদ, বাঁয়ে আজিজুল হাকিম। ঠিক তাদের সামনে বসে আছেন জনপ্রিয় তিন অভিনেত্রী। তারা হলেন— বিপাশা হায়াত, আফসানা মিমি ও শমী কায়সার। সবার মুখে হাসির ঢেউ খেলে যাচ্ছে।

নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিপাশা হায়াত তার ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে এমন লুকে ধরা দিয়েছেন টিভি নাটকের সোনালি দিনের তারকারা। পুরোনো এ ছবির ক্যাপশনে বিপাশা হায়াত লেখেন— “ওল্ড ইজ গোল্ড।”

এক ফ্রেমে প্রিয় তারকাদের দেখে নস্টালজিয়া হয়ে পড়েছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। জেসমিন আক্তার নামে একজন লেখেন, “বাংলার অভিনয় জগতের সেরা মানুষগুলো, এরা সবার প্রিয় মুখ।” পশ্চিমবঙ্গ থেকে একজন লেখেন, “উনারা হলেন বাংলাদেশের নাট্যজগতের এক একটা হীরা। ৯০ দশকের নাটক যারা দেখেছেন, তারা হচ্ছেন ভাগ্যবান। আমি তাদের মধ্যে একজন ভাগ্যবান। সেই কৈশোর আর যৌবনের সন্ধিক্ষণে উনাদের নাটক দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম।”

আরো পড়ুন:

ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে অপূর্ব-নীহা

ভিউয়ের দৌড়ে ‘বড় ছেলে’ অপূর্বকে ছাড়িয়ে নিলয়

নব্বই দশকে বিটিভিতে এসব তারকাদের নাটক দেখার অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি লেখেন, “তখন ক্যাবল, ডিশ বা অন্যকোনো মাধ্যম ছিল না, প্রার্থনা করতাম যেন ঝড় বাতাস না হয়। কারণ অনেক কষ্টে আপনাদের দেশের একটা চ্যানেল আসতো। নাটকের প্রতি যে ভালোবাসা, প্রেম, টান তা পুরোটাই আপনাদের জন্য। এখনো আপনাদের কাছ থেকে অনেক কিছু পাওয়ার আছে, শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা রইল।”

জাহিদ হাসান মন্তব্যকারীর প্রিয় অভিনেতা। তা জানিয়ে তিনি বলেন, “আর একটা কথা জাহিদ স্যার আমার সবচাইতে পছন্দের অভিনেতা আর আপনাকে (বিপাশা হায়াত) আমার মা বলতেন বাংলাদেশের সুচিত্রা সেন (আমি কোনো তুলনায় যাচ্ছি না, কারণ আপনার অভিনয়ে একটা নিজস্বতা রয়েছে)। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, আপনাদের দীর্ঘ জীবন কামনা করি।”

মারুফ হাবিব নামে একজন লেখেন, “তখনকার নাটকের গল্প ছিল সুন্দর, শিক্ষণীয়, ভাষা পরিচ্ছন্ন আর ভালো অভিনয় দক্ষতাসম্পন্ন অভিনয়শিল্পীদের ভেতর থেকে ডিরেক্টররা সুঅভিনয় বের করে আনতেন। এখনকার বেশিরভাগ নাটকে সেই প্রাণ আর পাই না। তবে ঈদের সময় কিছু ভালো নাটক হয়। এর অর্থ হলো চেষ্টা করলেই ভালো নাটক তৈরি করা সম্ভব।”

বিপাশা হায়াতের ক্যাপশনের লেখার সঙ্গে সহমত পোষণ করে শফিকুল নামে একজন লেখেন, “একদম সঠিক বলেছেন। আপনাদের মতো সুন্দর অভিনয় এখন আর কেউ করে না। তখনই নাটকগুলো ও তার স্ক্রিপ্টগুলো ছিল অনেক সুন্দর। ভালোবাসা থাকবে চিরন্তন।” এমন অসংখ্য মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক একজন ল খ ন আপন দ র র ন টক

এছাড়াও পড়ুন:

জীবনে বহু কিছু করার পর ‘ধৈর্য-সহ্যে’ কপাল খুলছে গোলাম রসুলের

সবে সন্ধ্যা নেমেছে শহরের বুকে। খুলনা নগরের সেন্ট যোসেফ উচ্চবিদ্যালয়ের সামনের ফুটপাতে ছোট একটা দোকানের সামনে বেশ ভিড়। অর্ডার দিয়ে কেউ টুলে বসে আছেন, কেউ আবার প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে দাঁড়িয়ে গল্প করছেন। বিক্রেতা দুজনের চার হাত যেন চলছে সমানতালে। একজন ছোট ছোট ফুচকা বানাচ্ছেন, তো আরেকজন ভেলপুরির প্লেট সাজাচ্ছেন। আবার কখনো একজন পেঁয়াজ–শসা কুচি করে নিচ্ছেন আর আরেকজন বিল রাখা বা টিস্যু এগিয়ে দেওয়ায় ব্যস্ত।

নগরের আহসান আহমেদ রোডের সেন্ট যোসেফ উচ্চবিদ্যালয়ের সামনের একটি ছোট ফুচকা ও ভেলপুরির ভ্রাম্যমাণ দোকানের চিত্র এটি। দোকানের নামটাও বেশ অন্য রকম। ‘ধৈর্য-সহ্য ছোট ফুচকা ও ভেলপুরি স্টোর’। দোকানটি চালান গোলাম রসুল নামের একজন। বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা-১০টা পর্যন্ত চলে এই ভ্রাম্যমাণ দোকান। এই দোকানের ছোট ফুচকা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

গোলাম রসুলের বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পুরাতন ঘোষগাতী গ্রামে। সাত ভাই–বোনের সংসারে রসুলের বড় ভাই ভাজাপোড়া খাবারের ব্যবসা করতেন। বুঝতে শেখার পর থেকেই তাই এতেই হাতেখড়ি হয় রসুলের। তবে তাতে ঠিক পোষাচ্ছিল না। তাই বছর ৩০ আগে কিছু করার আশায় খুলনা শহরে আসেন গোলাম রসুল। তবে এই শহরে পুরোপুরি থিতু হতে পারেননি। নানা টানাপোড়েনে কখনো খুলনা, কখনো মোল্লাহাট, আবার কখনো ঢাকায় কেটেছে তাঁর সময়। ৪৮ বছরের এই জীবনে নানা রকম কাজ করেছেন। ব্যবসাও করেছেন অনেক কিছুর। তবে সেসব ব্যবসায় কেবল লোকসানই হয়েছে তাঁর। অবশেষে ‘ছোট ফুচকায়’ তাঁর কপাল খুলেছে।

কাজের ব্যস্ততার মধ্যেই কথা হয় গোলাম রসুলের সঙ্গে। রসুল বলেন, ‘আগে রিকশা চালাইছি। নানা রকম ব্যবসাও করছি। গ্রাম থেকে কিনে মাওয়া ফেরিঘাট আর ঢাকায় ডাব বেচছি। ওই ব্যবসায় অনেক মার খাইছি। মানুষ টাকা দেয় নাই। এখনো ৬০-৭০ হাজার টাকা পাব। ডাব ব্যবসায় মার খেয়ে দুই বছর আগে আবারও খুলনা শহরে আসি কিছু করা যায় কী না সেই জন্যি।’ খুলনা এসে আবারও রিকশার প্যাডেল ঘোরাতে থাকেন রসুল একই সঙ্গে মাথায় ঘুরতে থাকে চিন্তা। এরপর শীতের পিঠা বিক্রি শুরু করেন। শীত শেষ হতে আবারও অনিশ্চয়তা। এখন কী হবে!

গোলাম রসুল বলেন, ‘গরম চলে আসল, কী করব বুঝে পাচ্ছিলাম না। পরে খুলনার ৭ নম্বর ঘাট থেকে কিনে ভেলপুরি বেচছি। কিন্তু এতে হচ্ছিল না। এরপর চিন্তা করলাম আনকমন কিছু করা যায় কি না। গত বছরের কোরবানির ঈদের পর থেকে শুরু করি ছোট ফুচকা বিক্রি।’

দোকানটি চালান গোলাম রসুল নামের একজন। বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা-১০টা পর্যন্ত চলে এই ভ্রাম্যমাণ দোকান

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজার জন্য সমব্যথী নারী
  • তৃণমূলের একজন কর্মীকেও হারাতে দেয়া যাবে না : রিয়াদ চৌধুরী
  • শেখ হাসিনার সন্ধান চেয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
  • কক্সবাজারের মেয়েটি
  • নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত
  • আত্মপ্রকাশ করল নতুন দল গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি
  • আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান জন্মদানের পর মা-বাবা জানলেন ভ্রূণটি অন্যের ছিল
  • বিলাসপুরে কারা–কীভাবে–কোথায় ককটেল বানান, কত টাকা পান
  • জীবনে বহু কিছু করার পর ‘ধৈর্য-সহ্যে’ কপাল খুলছে গোলাম রসুলের