চট্টগ্রামের পটিয়ায় সবজিখেতের ভেতর এক হোটেল কর্মচারীর লাশ পাওয়া গেছে। তাঁর নাম নুরুল ইসলাম (৫৩)। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার উত্তর ছনহরা ভট্টাচার্যের সড়কের পশ্চিমে পাশের সবজিখেতে লাশটি দেখতে পান খেতের মালিক। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

নুরুল ইসলাম ছনহরা ইউনিয়নের উত্তর ছনহরা গ্রামের আকবর সিকদার বাড়ির মৃত কবির আহমদের ছেলে। তিনি পটিয়ার বাসস্টেশনের কাছে একটি হোটেলে চাকরি করতেন। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে হোটেল থেকে বের হন তিনি। এর পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

নুরুল ইসলামের চাচাতো ভাই মামুন সিকদার বলেন, সকালে খেতের মাঝখানে লাশটি পড়ে ছিল। তাঁর পরনে কিছুই ছিল না। প্রায় ১৫ হাত দূরে তাঁর পরনের লুঙ্গিটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি আরও বলেন, ‘তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে করছি কেউ তাঁকে গলায় রশি বেঁধে খুন করেছেন। এ ছাড়া তাঁর হাতেও জখম রয়েছে। তাঁর সঙ্গে কারও পূর্বশত্রুতা ছিল না।’

পটিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে আজ দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এরপর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো.

নাজমুন নুর বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে কে বা কারা ওই ব্যক্তিকে হত্যা করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী প্রথম আলোকে বলেন, যে এলাকায় লাশটি পাওয়া গেছে সেই, এলাকায় রাতে বখাটে কিছু লোক নিয়মিত আড্ডা দেন। তাঁদের কেউ নুরুল ইসলামকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।

শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।

মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ