পারেন সব, তবু ২০ ম্যাচ ধরে টানেন পানি
Published: 6th, April 2025 GMT
তিনি একজন গেম চেঞ্জার। মুহূর্তের মধ্যে খেলার রং বদলে দিতে পারেন। সেটা ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই অনবদ্য অবদান রেখে। এই তো সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে শুধু ক্যাচ নিয়েই তো অনেকের মাথায় চক্কর লাগিয়ে দিয়েছেন গ্লেন ফিলিপস।
এটা যে শুধু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই করেছেন, তা নয়; কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের অন্যতম আলোচিত ক্রিকেটার এই অলরাউন্ডার। তবে সেই ফিলিপসই আইপিএলে ২০ ম্যাচ ধরে বেঞ্চে বসে আছেন। সুযোগ পাননি একটি ম্যাচেও!
আইপিএলে বেঞ্চে বসে থাকা নতুন কিছু নয়। অনেক বড় বড় তারকাও অনেক সময় একাদশে সুযোগ পান না। তবে এরপরও ফিলিপসের ব্যাপারটি কিছুটা ভিন্ন। কিউই এই ক্রিকেটার যে ফিল্ডিং দিয়েই বাঁচাতে পারেন ১৫-২০ রান!
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণ ছন্দে আছেন ফিলিপস.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক
গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসন থানার মোগরখাল এলাকার একটি বাসায় এ দুর্ঘঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাদের রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধরা হলেন, পারভীন আক্তার (৩৫ বছর), তাসলিমা (৩০) বয়সী, সীমা (৩০), তানজিলা (১০) ও দেড় বছরের আইয়ান।
আরো পড়ুন:
ছেলের পর নাতীকে হারিয়ে পাগলপ্রায় রাবেয়া বেগম
নড়াইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু
তাদের আত্মীয় মফিজুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে রান্না করার জন্য চুলা জ্বালালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মোহাম্মদ শাওন বিন রহমান জানান, গাজীপুরের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচ জনকে দগ্ধদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আগুনে সীমার শরীরের ৯০ শতাংশ, পারভীনের ৩২ শতাংশ, তানজিলার ৯০ শতাংশ, তাসলিমার ৯৫ শতাংশ ও আয়ানের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের আগুনে প্রায়ই দগ্ধ হচ্ছে মানুষ। তাদের অনেকে চিকিৎসা নিতে ঢাকায় আসছেন। কিন্তু সবাইকে বাঁচানো যাচ্ছে না বলে জানান চিকিৎসকরা।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হিসাবে, শুধু ২০২৪ সালে আগুনে দগ্ধ হয়ে ১২ হাজার ৮১১ জন রোগী জরুরি বিভাগে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হন ৪৬৮০ জন রোগী। ভর্তি রোগীদের মধ্যে মারা যান ১০০২ জন। অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা/ইভা