‘সত্যি চক্করে পড়ে গেলাম’, মোশাররফের ‘চক্কর-৩০২’ দেখে লিখলেন যাদু
Published: 1st, April 2025 GMT
‘আমি প্রত্যহই পুণ্যবান/ অভিনয়ের সে-সূর্য ঝলকে—/ এই বৃদ্ধ বয়সের শ্রদ্ধাই/ ভরে রাখছি কবিতার স্তবকে.../ আমার কাছে অভিনেতাই আজ/ সাক্ষাৎ ঈশ্বর—/ বাংলাদেশের মাটিতে রেখে দিলাম/ মোশাররফের জন্য আমার প্রণাম দিয়ে গড়া/ ছোট্ট চালাঘর!’ মোশাররফ করিমের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে কবিতায় এই নিবেদন কবি জয় গোস্বামীর।
না, নায়কোচিত চেহারা, নির্দিষ্ট শারীরিক গঠনের মতো বাহ্যিক যে তকমাগুলো দিয়ে চলচ্চিত্র অঙ্গন মুখর, তা অনেকের নেই, থাকে না। তারপরও তকমাগুলোকে থোড়াই কেয়ার করে শুধু অভিনয় দক্ষতা দিয়েই চলচ্চিত্র শিল্পে ফুল ফুটিয়েছেন এমন অভিনেতা-অভিনেত্রীর সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। মোশাররফ করিমও তাঁদের একজন। নিজের দারুণ অভিনয়নৈপুণ্য দিয়েই তিনি হাসিল করেছেন অজস্র দর্শকের প্রিয় অভিনেতার আসন; সেরার খেতাব। সে হোক মহল্লার বড় ভাই, বন্ধুর ভাই, পকেটমার, আদর্শ প্রেমিক কিংবা বাসে চড়ে লোক ঠকানো বাটপারের চরিত্র, প্রতিটি চরিত্রেই সফল অভিনয় করেছেন তিনি। চরিত্রের সঙ্গে মিশে গেছেন ওতপ্রোতভাবে। মোশাররফ করিম হাস্যরসাত্মক চরিত্রে বৃষ্টির মতো যেমন সহজ হয়েছেন। তেমনি মুখভার করে গম্ভীর চরিত্রে হয়েছেন বিদ্যুতের ঝলকানির মতো কঠিন।
‘অতিথি’ নাটকের মধ্য দিয়ে টেলিভিশনে অভিষেক হয় মোশাররফ করিমের। তারপর ধাপে ধাপে নাটক থেকে টেলিফিল্ম, সিনেমা আলো ছড়িয়ে চলেছেন এই অভিনেতা। ‘হাড়কিপটে’ ধারাবাহিকের গোল্লা, ‘ভবের হাট’-এর ভাসান খাঁ, ‘সাকিন সারিসুরি’র রুইতনের মতো চরিত্রগুলোতে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
বড় পর্দায় ‘জয়যাত্রা’ সিনেমা দিয়ে তাঁর অভিষেক হয়। ২০০৪ সালে। সিনেমাটি পরিচালনা করেন তৌকীর আহমেদ। তারপর ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘প্রজাপতি’, ‘টেলিভিশন’, ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘হালদা’সহ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। বড় পর্দার পাশাপাশি ওটিটিতেও তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে ওসি হারুন চরিত্রে অভিনয় করে পৌঁছে গেছেন দর্শকের মণিকোঠায়। ‘আধুনিক বাংলা হোটেলে’ও তাঁর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক।
‘চক্কর ৩০২’ সিনেমার পোস্টারে মোশাররফ করিম.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এক বছর আগে সুইমিংপুলে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর তদন্ত দাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে শিক্ষার্থী সোয়াদ হকের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। গত বছরের ২২ এপ্রিল সোয়াদ হক মারা গিয়েছিলেন।
সোয়াদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়। এরপর তাঁর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেয় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। সোয়াদ হক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ৫টি দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো সোহাদের মৃত্যুর যথাযথ কারণ তদন্তপূর্বক নির্ণয় করা। সুইমিংপুলের সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করে তা পুনরায় চালু করা। সাঁতারসহ শরীরচর্চার বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরও আন্তরিক হওয়া।
সুইমিংপুল এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা এবং পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করা ও প্রশিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।
দোয়া মাহফিলে দর্শন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি২৩ এপ্রিল ২০২৪