মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফেরার পর এই প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার দুই নভোচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। বোয়িংয়ের স্পেসশিপে সমস্যার কারণে আইএসএস-এ ৯ মাস আটকে ছিলেন এই দু’জন। পরে ১৮ মার্চ ধনকুবের ইলন মাস্কের স্পেসএক্স ক্যাপসুল পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনে সুনীতা ও উইলমোরকে। নাসা ও স্পেসএক্সের এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্রু-১০’। মাত্র ৮ দিনের এই অভিযান কেন ২৮৬ দিন পর্যন্ত চলেছিল? দু'জনের কাছেই এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। খবর-

জনসন স্পেস সেন্টারে নাসা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সুনিতা উইলিয়ামস, বুচ উইলমোর ও ক্রু-১০ -এ থাকা তাঁদের সহকর্মী নিক হেগ স্টারলাইনারসহ নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। সুনিতা উইলিয়ামস বলেন, শেষমেশ আমরা ফিরে এসেছি। এখন এই ঘটনা আমাদের সবাইকে জানাতে হবে। এটি একটি অনন্য ঘটনা। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

বোয়িংয়ের স্টারলাইনার মহাকাশযান নিয়ে বুচ বলেন, এই মহাকাশযানটি অনেকটা সক্ষম। তবে আমরা যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি, সেগুলি ঠিক করে নেওয়া হবে। আমরা এই মহাকাশযানকে মসৃণভাবে চালিয়ে ছাড়ব।

ফের তিনি মহাকাশে যাবেন কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে বুচ বলেন, এক হার্টবিটেই ফের মহাকাশে চলে যেতে পারি আমি। মহাকাশে আটকে পড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, হ্যাঁ, তর্কের খাতিরে ধরেই নিলাম আমরা আটকে পড়েছিলাম। পরিকল্পনা অনুযায়ী পৃথিবীতে সঠিক সময়ে আমরা ফিরিনি। তবে যে হেতু আমরা প্রশিক্ষণরত এবং যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকি, তাই এটাকে আটকে পড়া বলা চলে না।

সুনিতা বলেন, স্টারলাইনারের পরীক্ষামূলক মিশনে যে আলাদা কিছু একটা হবে, তা তাঁরা জানতেন। কিন্তু তাঁদের বিষয়ে মানুষের এত প্রত্যাশা থাকবে, মানুষ এত মনোযোগ দেবে, তা তাঁরা কেউই আশা করেননি। এই যাত্রায় আগ্রহের পরিমাণ দেখে তিনি ও বুচ উইলমোর অত্যন্ত সম্মানিত এবং বিনীত বোধ করছেন। 

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়ে আমরা কাজ করেছি, প্রশিক্ষণ নিয়েছি এবং আশ্চর্যজনক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। সুনিতা ও বুচ উভয়েই বলেছেন, স্টারলাইনার ‘খুবই সক্ষম’। বুচের মতে, সুযোগ পেলে তাঁরা ভবিষ্যতে এটি আবার ওড়াবেন। বুচ বলেছেন, ‘আমরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি, সেগুলো ঠিক করে ফেলব। এটাকে আবার কার্যকর করে তুলব। বোয়িং ও নাসা সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে যাব।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকাকালে রাজনীতির প্রভাব সম্পর্কে বারবার সুনিতা ও উইলমোরকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে নিক হেগ বলেছেন, ‘যখন আমরা মহাকাশে কাজ করি, তখন রাজনীতির কোনো কিছুই অনুভব করি না।’
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইলম র

এছাড়াও পড়ুন:

দুই টেস্ট খেলেই অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কনস্টাস

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড (ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া) ২০২৫-২৬ মৌসুমের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়দের তালিকা আজ মঙ্গলবার (০১ এপ্রিল) প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছেন প্রতিশ্রুতিশীল ওপেনার স্যাম কনস্টাস। তবে আগ্রাসী ব্যাটসম্যান জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক জায়গা পাননি।

কনস্টাসের পাশাপাশি অলরাউন্ডার বো ওয়েবস্টারও প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় চুক্তিতে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন। ব্যাটিং ও বোলিং দুই ক্ষেত্রেই অসাধারণ দক্ষতার জন্য পরিচিত ওয়েবস্টার বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে মিচেল মার্শের পরিবর্তে খেলেছিলেন।

কনস্টাস নিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচেই নজর কেড়েছিলেন। বিশেষ করে ভারতীয় পেসার জসপ্রিত বুমরাহকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সামলানোর মাধ্যমে। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে অভিজ্ঞ স্পিনার ম্যাথু কুহনেমান পুনরায় কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা পেয়েছেন।

আরো পড়ুন:

অশ্বিনীর বোলিং তোপে ১১৬ রানেই অলআউট কলকাতা

ঈদ শুভেচ্ছায় যে বার্তা দিলেন ক্রিকেটাররা

অপরদিকে, জাতীয় দলে ধারাবাহিকতা না থাকায় জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক চুক্তিতে জায়গা পাননি। এছাড়া শন অ্যাবট, অ্যারন হার্ডি ও টড মারফিকেও এবার কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

তালিকার বাকি অংশে পরিচিত মুখেরাই রয়েছেন। প্যাট কামিন্স, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হ্যাজলউড, ট্র্যাভিস হেড, মিচেল মার্শ, ন্যাথান লায়ন, অ্যাডাম জাম্পা ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলসহ আরও কয়েকজন তারকা তাদের জায়গা ধরে রেখেছেন।

সম্প্রতি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ২০২৫-২৬ মৌসুমের ব্যস্ত সূচি ঘোষণা করেছে। এই সময়ের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলবে। এরপর ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজ সিরিজে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ডের।

অস্ট্রেলিয়ার ২০২৫-২৬ কেন্দ্রীয় চুক্তিভূক্ত খেলোয়াড়দের তালিকা:
প্যাট কামিন্স, স্টিভেন স্মিথ, ন্যাথান লায়ন, অ্যালেক্স ক্যারি, স্যাম কনস্টাস, জশ হ্যাজলউড, মিচেল স্টার্ক, ন্যাথান এলিস, ঝাই রিচার্ডসন, স্কট বোল্যান্ড, ল্যান্স মরিস, ম্যাথু কুহনেমান, অ্যাডাম জাম্পা, ট্র্যাভিস হেড, ম্যাট শর্ট, জশ ইংলিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্নাস লাবুশেন, উসমান খাজা, মিচেল মার্শ, বো ওয়েবস্টার, ক্যামেরন গ্রিন ও জেভিয়ার বার্টলেট।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মানুষের মস্তিষ্কে ব্লাইন্ডসাইট যন্ত্র বসাবে ইলন মাস্কের নিউরালিংক
  • দুই টেস্ট খেলেই অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কনস্টাস
  • পৃথিবীতে ফেরার ১৩ দিন পর মুখ খুললেন সুনিতা ও বুচ, যা বললেন তাঁরা
  • শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান
  • দ. আফ্রিকা ও ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ৮ টি-টোয়েন্টি, ৬ ওয়ানডে
  • শিল্পকলা একাডেমিতে প্রথমবারের মতো ঈদ আয়োজন