Prothomalo:
2025-03-30@18:38:06 GMT

চকলেট কুনাফা কেকের রেসিপি

Published: 27th, March 2025 GMT

উপকরণ

ক. চকলেট কোকোর জন্য: ময়দা পৌনে এক কাপ, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ, কোকো পাউডার ২ টেবিল চামচ, লবণ সিকি চা-চামচ, ডিম ৪টি, আইসিং সুগার আধা কাপ, মাখন ৩ টেবিল চামচ, তরল দুধ ২ টেবিল চামচ, চকলেট এসেন্স কয়েক ফোঁটা।

খ. পেস্তা ক্রিমের জন্য: পেস্তাবাদাম ৬০ গ্রাম, সাদা চকলেট ৫০ গ্রাম, চিনি ২ টেবিল চামচ, গরম দুধ ৫-৬ টেবিল চামচ, সবুজ খাওয়ার রং কয়েক ফোঁটা, তেল বা মাখন ১ টেবিল চামচ।

গ.

মাখন ৩০ গ্রাম, সেমাই ১ প্যাকেট।

আরও পড়ুনছানার কোরমার রেসিপি১৮ মার্চ ২০২৫

প্রণালি

উপকরণ ক–এর ময়দা, বেকিং পাউডার, কোকো পাউডার, লবণ একসঙ্গে চেলে নেবেন। ডিমের সাদা অংশ বিট করুন। ফোমের মতো হয়ে এলে চিনিগুঁড়া বা আইসিং সুগার, এসেন্স, মাখন দিয়ে আবার বিট করুন। এবার ময়দার মিশ্রণ অল্প অল্প করে দিয়ে দিন। হালকাভাবে নেড়ে নিন। দুধ দিয়ে হালকাভাবে মেশান আবার, ডাইসে ঢেলে ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে ৪০ মিনিট বেক করুন।

উপকরণ খ–এর পেস্তাবাদাম তাওয়ায় টেলে সবুজ আবরণ ফেলে দিন। এবার সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নেবেন।

উপকরণ গ–এর মাখন গলিয়ে সেমাই ভেজে নিন। এবার ভাজা সেমাইয়ের সঙ্গে পেস্তা ক্রিম মিশিয়ে নেবেন। এবার চকলেট কেকের ওপর এই মিশ্রণটি স্তর করে দিয়ে দিন। কেকোর ওপর পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

আরও পড়ুনপ্যান গ্রিল কোরালের রেসিপি১৪ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চকল ট

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদে আজও আগ্রহের কেন্দ্রে বাংলা সেমাই

সময়ের পরিক্রমায় বাজারে বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত সেমাই থাকলেও চট্টগ্রামে বাংলা সেমাইয়ের কদর কমেনি আজও। ক’দিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। বৃহৎ এই উৎসবে নতুন পোশাকের মতো আগ্রহ থাকে খাবারের প্রতিও। সেই স্থান দখল করেছে বাংলা সেমাই। কবে থেকে এই খাবারের প্রচলন, তা অজানা থাকলেও চট্টগ্রামে বাঙালির ঈদ উদযাপনে এখনও বেশির ভাগ পরিবারের মেন্যুতে স্থান করে নিয়েছে এটি।
ঈদ মৌসুমে বাংলা সেমাইয়ের কদর বেড়ে যায় বহু গুণ। তাই সেমাই তৈরিতে এখন দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগর ও শ্রমিকরা। চাঁদ রাত পর্যন্ত চলে সেমাই তৈরির মহাকর্মযজ্ঞ। চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাই, রাজাখালী, খাতুনগঞ্জ, মাদারবাড়ীসহ আরও কয়েকটি এলাকার কারখানায় পুরোদমে চলছে সেমাই তৈরি। অনেক কোম্পানি এসব কারখানায় উৎপাদিত সেমাই প্যাকেটজাত করে তা বাজারজাত করে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন কারখানায় তৈরি চিকন ও সাদা বাংলা সেমাই ১৫ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় চলে যায়। সেমাই তৈরির দৈনন্দিন আয় দিয়ে কয়েক হাজার পরিবার আর্থিক সচ্ছলতা লাভ করেছে।
চট্টগ্রামে প্রতিবছর বাংলা সেমাই তৈরির হিড়িক পড়ে যায়। সেমাই তৈরিতে যোগ দেন কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ীও। কারিগররা জানান, বাংলা সেমাই তৈরির উপকরণ হচ্ছে ময়দা ও পানি। আর লাচ্ছা সেমাই তৈরির উপকরণ ময়দা, পাম অয়েল ও ঘি। এখানকার তৈরি সেমাই খোলা ও প্যাকেটজাত হয়ে চলে যায় চট্টগ্রামের ছোট-বড় বাজারে। ঈদ এগিয়ে আসায় এখন দম ফেলার ফুরসত নেই কারিগর ও শ্রমিকদের। কারখানার ভেতরে, ছাদে বা কোনো ভবনের ওপরে টানানো হয়েছে লম্বা বাঁশ। সেসব বাঁশের ওপরে রোদে শুকানো হচ্ছে সেমাই। 
রাজাখালীর লামাবাজার কারখানার কারিগর কুতুব উদ্দিন বলেন, সারাবছরের তুলনায় ঈদে বাংলা সেমাইয়ের কদর বেড়ে যায় বহু গুণ। দূরদূরান্ত থেকে ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা কিনতে ছুটে আসেন। কারখানায় কয়েক হাজার মানুষের জীবিকা চলে।
বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি বাংলা সেমাই মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৯০ টাকা। ক্যাবের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, বাংলা সেমাইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঐতিহ্য-সংস্কৃতি। প্রবীণদের বড় অংশ ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে খেয়ে যান বাংলা সেমাই। বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারের এমএন স্টোরের মালিক মো. নওশাদ বলেন, দোকানে বিভিন্ন কোম্পানির সেমাই থাকলেও আজও সাধারণ মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু বাংলা সেমাই।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঈদের দিনের তিনটি ভিন্নধর্মী রেসিপি
  • ঈদে আজও আগ্রহের কেন্দ্রে বাংলা সেমাই