দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে একাধিক দাবানলে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগেরই বয়স ৬০ থেকে ৭০ এর কোঠায়। প্রায় ২৬ জন আহত হয়েছেন - যাদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভয়াবহ দাবানলে ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আগুনে উইসং শহরের এক হাজার ৩০০ বছরের পুরনো গৌনসা মন্দিরটি পুড়ে গেছে।

ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু বলেছেন, “আমাদের জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের রেকর্ড পুনর্লিখন হচ্ছে।”

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে সানচেং কাউন্টিতে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং পরে তা উইসং কাউন্টিতে ছড়িয়ে পড়ে।

বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, তীব্র ও শুষ্ক বাতাসের কারণে দাবানল পার্শ্ববর্তী কাউন্টি আন্দং, চেওংসং, ইয়ংইয়ং এবং ইয়ংডিওকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফরেস্ট সায়েন্সের বন দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ লি বায়ুং-ডু রয়টার্সকে বলেন, উইসংয়ের দাবানল ‘অকল্পনীয়’ মাত্রা এবং গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে।

কর্তৃপক্ষের মতে, বুধবার দুপুরের পর উইসং কাউন্টির পাহাড়ে একটি অগ্নিনির্বাপক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য হাজার হাজার অগ্নিনির্বাপক কর্মী এবং প্রায় পাঁচ হাজার সামরিক কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কোরিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারও মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

১০ টাকার ঈদবাজারে ৪০০ পরিবারের মুখে হাসি

কিশোরগঞ্জে মাত্র ১০ টাকায় বাজারে মিলছে এক লিটার সোয়াবিন তেল, এক কেজি পোলাও চাল, এক কেজি চিনি, এক কেজি পিঁয়াজ, এক কেজি আলু, এক হালি ডিম কিংবা ভালো মানের সেমাই। 

ঈদকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় ব্যতিক্রমী এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

উপজেলা সদরের আনন্দ বাজারে টেবিলের ওপর থরে থরে সাজানো নানা সামগ্রী। এসব কেনার জন্য বিকেল থেকে ক্রেতাদের লম্বা লাইন। হাতের টোকেন দেখিয়ে আনন্দ বাজার থেকে ১০ টাকায় প্রতিটি পণ্য কিনে নিচ্ছে ক্রেতারা। ৭০ টাকায় ব্যাগভর্তি বাজার নিয়ে বাড়িতে ফিরছেন। 

আরো পড়ুন:

খোলা ট্রাক-পিকআপে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ

রাজশাহীতে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায়

সবার মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে দরিদ্র মানুষের জন্য নামমাত্র দামে এমন বাজারের আয়োজন করে ‘করিমগঞ্জ মানবিক সংগঠন’। তারা প্রতিটি আইটেম ১০ টাকা করে ৭০ টাকায় কিনতে পারছেন পোলাও চাল, চিনি, সেমাই, তেল, পেঁয়াজ, আলুসহ ৭টি পণ্য। যা বাজার থেকে কিনতে গুনতে হতো অন্তত ৬০০ টাকা। আর হাতের কাছে এমন সুযোগ পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।

ঈদ বাজারে আসা ষাটোর্ধ্ব রমজান মিয়া জানান, এমন ব্যতিক্রম উদ‌্যোগে ঈদবাজার তারা আর কখনো দেখেননি। ঈদের আগে ৬০০ টাকার পণ্য নামমাত্র মূল্যে কিনতে পেরে তারা অনেক খুশি।

১০ টাকার ঈদবাজারের আয়োজক ইয়াসিন আরাফাত জানান, পকেটের খরচ বাঁচিয়ে এবং বন্ধু-বান্ধবসহ স্বচ্ছল ব্যক্তিদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে গত ৭ বছর ধরে ঈদের সময় এমন মানবিক বাজার বসাচ্ছেন তারা। এলাকার দরিদ্র মানুষ চিহ্নিত করে আগে বাড়িতে গিয়ে তাদের হাতে টোকেন তুলে দেন সংগঠনের কর্মীরা। ওই টোকেন নিয়ে মানবিক বাজার থেকে নামমাত্র দামে ঈদসামগ্রী কেনার সুযোগ পান দরিদ্র মানুষ।

এবার ১০ টাকায় ঈদবাজার কেনার সুযোগ পান ৪০০ মানুষ। আগামী ঈদে এক হাজার মানুষ এমন সুযোগ পাবেন বলে জানান আয়োজকরা।

ঢাকা/রুমন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ