যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা ‘কৃষ্ণ সাগরে নিরাপদ নৌ চলাচল’ নিশ্চিত করতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সাথে সামুদ্রিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তারা জ্বালানিবাহী ট্যাঙ্কারে হামলা বন্ধ করার জন্য ‘ব্যবস্থা’ নেবে। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস রাশিয়া ও ইউক্রেনের সাথে তাদের আলোচনার দুটি বিবরণ প্রকাশ করেছে। 

২৩ থেকে ২৫ মার্চ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। ওই আলোচনায় রাশিয়া ও ইউক্রেন সামুদ্রিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, “নিরাপদে নৌচলাচল নিশ্চিত করতে, বলপ্রয়োগ বন্ধ করতে এবং কৃষ্ণ সাগরে সামরিক উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক জাহাজের ব্যবহার বন্ধে” সমুদ্রে যুদ্ধবিরতির জন্য একটি চুক্তি কার্যকরভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা বন্ধ করার জন্য পূর্ববর্তী চুক্তি ‘বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থা নিতে’ দুই দেশ সম্মত হয়েছে। ইউক্রেন এবং রাশিয়া ‘একটি টেকসই ও স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে।’

ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার ইস্যুতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করেছে যে তারা ‘যুদ্ধবন্দিদের বিনিময়, বেসামরিক বন্দিদের মুক্তি এবং জোরপূর্বক স্থানান্তরিত ইউক্রেনীয় শিশুদের ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার ইস্যুতে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘কৃষি ও সার রপ্তানির জন্য বিশ্ব বাজারে রাশিয়ার প্রবেশাধিকার পুনরুদ্ধার, সামুদ্রিক বীমা খরচ কমানো এবং এই ধরনের লেনদেনের জন্য বন্দর ও অর্থপ্রদান ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার বৃদ্ধিতে’ সহায়তা করবে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন র ও ইউক র ন ন র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান বিচারপতি

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর শহীদ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বুধবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধান বিচারপতি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা।

এর আগে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি।

এরপর সকাল ৬টার দিকে তিনি ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

প্রধান উপদেষ্টার পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর একে একে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক–সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ