ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ : দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও যুদ্ধবিরতির ওপর গুরুত্ব দেবেন দুই নেতা
Published: 18th, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্র এ রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ মঙ্গলবার রাতে তাঁদের এ আলোচনায় স্থান পেতে পারে আরও নানা বিষয়। ফোনালাপের আগে তাঁদের আলোচনার সম্ভাব্য নানা বিষয় গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে—ইউক্রেনের ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে এ বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে ট্রাম্পের প্রশাসন।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দ্বীপটি দখল করে রাশিয়া। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করে সম্ভাব্য ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তির আগে রাশিয়াকে এ প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। মার্কিন গণমাধ্যম সিমাফোরের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ট্রাম্প ও পুতিনের ফোনালাপ মঙ্গলবার হওয়ার কথা। তাঁদের ফোনালাপের আগে দুটি সূত্রের বরাতে সিমাফোর জানায়, ক্রিমিয়াকে সম্ভাব্য স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা জাতিসংঘকেও আহ্বান জানাতে পারেন। সিমাফোর অবশ্য বলেছে, হোয়াইট হাউস এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। এ প্রস্তাবের মাধ্যমে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ স্থায়ী বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
ক্রিমিয়া আন্তর্জাতিকভাবে ইউক্রেনের অংশ বলে স্বীকৃত। কিয়েভ এ দ্বীপটি ফেরত চেয়ে আসছে। তবে শক্তি প্রয়োগ করে ক্রিমিয়া ফেরত পাওয়া এখন অনেকটাই অসম্ভব।
ক্রিমিয়া প্রসঙ্গে ক্রেমলিন বলে আসছে, এটা তাদের অংশ। এটা ইউক্রেনের জন্য চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ক্রিমিয়া ছাড়াও যুদ্ধবিরতির শর্তে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের অঞ্চল ও রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চল নিয়েও ভাগাভাগির বিষয়টি থাকতে পারে। যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে রাশিয়া দাবি করে আসছে, তারা যেসব অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তার আশা কিয়েভকে ছাড়তে হবে। এ ছাড়া ইউক্রেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর অংশ হতে পারবে না। একই সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেনে কোনো বিদেশি সেনা মোতায়েন মস্কো মানবে না।
এ মাসেই সৌদি আরবে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কিয়েভের বৈঠকের পর ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সামনে আসে। কিয়েভ এতে তাদের সম্মতি দিয়েছে। তবে পুতিন বলেছেন, যুদ্ধবিরিতর প্রস্তাবটিতে তিনি রাজি থাকলেও এতে গুরুতর অনেক প্রশ্ন রয়েছে।
ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিন ফোনে এ নিয়ে কথা বলতে চান। অন্যদিকে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে পুতিনের আহ্বানে সাড়া দেওয়া হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবারের ফোনালাপ।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে অবশ্য ফোনালাপে দ্বপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের বিষয়টির কথা বলা হয়। একই সঙ্গে ইউক্রেন নিয়ে আলোচনার কথা বলা হয়। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইউক্রেন সংঘাত নিরসন এবং রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আলোচনা করবেন দুই নেতা।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপে নির্দিষ্ট কিছু বোঝাপড়া আগেই হয়েছে। কিন্তু আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও স্বাভাবিকীকরণ এবং ইউক্রেন বিষয়ে একটি মীমাংসা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। দুই প্রেসিডেন্ট এসব নিয়ে আলোচনা করবেন।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে বিশ্ব সমাজকর্ম দিবস পালিত
‘প্রজন্মের বন্ধনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানবতার কল্যাণ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিশ্ব সমাজকর্ম দিবস পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন প্রাঙ্গণ থেকে র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবন চত্বরে সংক্ষিপ্ত সভায় মিলিত হয়। সভা শেষে বিভাগটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পালন করেন।
আরো পড়ুন:
ইবিতে গ্রিন ফোরামের আলোচনা সভা
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি নিয়ে বিএনপিপন্থি শিক্ষকের গবেষণা, অতঃপর...
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম, বিভাগটির সভাপতি আসমা সাদিয়া রুনা, বিভাগটির শিক্ষক হাবিবুর রহমান, শ্যাম সুন্দর সরকার প্রমুখ।
সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, “মানব ইতিহাসে মানবের বিচরণ ঘটে হজরত আদম ও হাওয়ার (আ.) মাধ্যমে। সেখান থেকেই মানব ইতিহাসের শুরু। আগে আমাদের বাবা-মা-ভাই-বোন মিলে পরিবার মিলে পরিবার তৈরি হয়। এর মাধ্যমেই সমাজ তৈরি হয়। আল্লাহ ঈদ, জুমুয়ার মাধ্যমে একটি সমাজের মিলন ঘটিয়েছেন। আবার পবিত্র হজ্জের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মানুষের মিলন ঘটিয়েছেন।”
তিনি বলেন, “তবে পূর্বের যৌথ পরিবার ব্যবস্থা হ্রাস পেয়েছে। এর মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন ভেঙে যায়নি। আমাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা সব স্থরের মানুষের মাঝে পৌছে দিতে হবে। তাহলে আমাদের সামাজিক দায়িত্ববোধ সম্পন্ন হবে।”
প্রতি বছর মার্চ মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার সমাজকর্মের প্রচার, প্রসার ও মানব সম্পর্কের উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় বিশ্ব সমাজকর্ম দিবস।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী