Samakal:
2025-03-19@19:20:21 GMT

কী করে বুঝবেন হাড়ে ইনফেকশন

Published: 17th, March 2025 GMT

কী করে বুঝবেন হাড়ে ইনফেকশন

হাড়ের ইনফেকশনকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে অস্টিওমাইলাইটিস। এক্ষেত্রে হাড় ও অস্থিমজ্জায় সংক্রমণ ও প্রদাহ হয়। সংক্রমণ রক্তের মাধ্যমে বা নিকটবর্তী টিস্যু থেকে ছড়াতে পারে। আবার সংক্রমণ হাড় থেকেও হতে পারে, যদি হাড়টি আঘাত পেয়ে জীবাণুর সংস্পর্শে আসে। 
যেসব লোক ধূমপান করেন এবং যারা দীর্ঘস্থায়ী রোগে যেমন ডায়াবেটিস বা কিডনির বিকলতায় ভুগছেন, তাদের অস্টিওমাইলাইটিসে আক্রান্ত হবার বেশি আশঙ্কা থাকে। 
একসময় অস্টিওমাইলাইটিসের চিকিৎসা সহজ ছিল না। বর্তমানে সফলভাবে চিকিৎসা দওয়া হয়। যেসব লোকের হাড় মরে যায়, তাদের অপারেশনের মাধ্যমে মৃত হাড় অপসারণের প্রয়োজন হয়। 
উপসর্গ 
অস্টিওমাইলাইটিসের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে –
lইনফেকশনের স্থান ফুলে যাওয়া, গরম হওয়া ও লাল হয়ে যাওয়া lইনফেকশনের স্থানে ব্যথা হওয়া  lঅবসন্নতা lজ্বর 
অস্টিওমাইলাইটিসে কখনও কখনও কোনো উপসর্গ নাও থাকতে পারে। আবার কখনও কখনও উপসর্গগুলো অন্য সমস্যা থেকে আলাদা করা কঠিন হয়ে পড়ে। এটি নবজাতক, বয়স্ক লোক ও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের জন্য বেশি সত্য। 
হাড়ে ইনফেকশনের কারণ 
lবেশির ভাগ অস্টিওমাইলাইটিসের কারণ হলো স্ট্যাফাইলোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া।এই ব্যাকটেরিয়া সাধারণভাবে সুস্থ মানুষের ত্বকে ও নাকে দেখা যায়। 
জীবাণুগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে হাড়ে ঢুকতে পারে।
lরক্ত–আপনার শরীরের অন্যস্থানের জীবাণু–উদাহরণস্বরূপ নিউমোনিয়া আক্রান্ত ফুসফুস থেকে কিংবা ইনফেকশনযুক্ত প্রস্রাবের থলি থেকে এই জীবাণু রক্তের মাধ্যমে আপনার হাড়ের দুর্বল স্থানে যেতে পারে। 
lইনজুরি–আঘাতের দ্বারা আপনার ত্বকে গুরুতর ক্ষত সৃষ্টি হলে জীবাণু আপনার শরীরের গভীরে ঢুকে যেতে পারে। যদি আঘাতের স্থানটি সংক্রমিত হয়, জীবাণু পার্শ্ববর্তী হাড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আবার যদি আঘাতের ফলে আপনার হাড় ভেঙে গিয়ে ভাঙা হাড় চামড়া ভেদ করে বেরিয়ে আসে, তাহলে জীবাণু শরীরে প্রবেশ করতে পারে।  
lসার্জারি–জয়েন্টে অপারেশন বা কোনো ভাঙা হাড় লাগানোর সময় সরাসরি জীবাণুর সংস্পর্শ ঘটতে পারে। 
ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়  
আপনার হাড় স্বাভাবিকভাবে ইনফেকশন প্রতিহত করতে পারে। যখন আপনার বয়স বাড়তে থাকে এই সুরক্ষার মাত্রাও কমতে থাকে। অন্য কিছু বিষয়ও আপনার হাড়কে ইনফেকশনে আক্রান্ত হতে সহায়তা করে। 
সাম্প্রতিক আঘাত বা অর্থোপেডিক সংক্রান্ত সার্জারি
গুরুতরভাবে হাড় ভেঙে গেলে কিংবা গভীর ক্ষত হলে আপনার হাড়ে বা আশপাশের টিস্যুতে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে। পশু-পাখির কামড় কিংবা জুতার মাধ্যমে নখে ইনজুরি হলে সেখান থেকেও ব্যাকটেরিয়া ঢুকে ইনফেকশন ঘটাতে পারে। ভাঙা হাড় অপারেশনের মাধ্যমে ঠিক করার সময় বা জোড়া প্রতিস্থাপনের সময় হাড়ে জীবাণু ঢুকতে পারে। হাড় বা জোড়ায় স্থাপিত অর্থোপেডিক জিনিসপত্র ইনফেকশন ঘটাতে পারে। 
রক্ত সঞ্চালনে অস্বাভাবিকতা
যখন রক্তনালিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা বন্ধ হয়ে যায়, আপনার শরীরের ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াইকারী কোষগুলো সমস্যায় পড়ে যায়। একটি ছোট কেটে যাওয়া থেকে বড় ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে, যার দরুন গভীর টিস্যু ও হাড় উন্মুক্ত থাকে এবং সেখানে ইনফেকশন হতে পারে। 
কিছু রোগে রক্তসঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়
lঅনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
lপ্রান্তিক রক্তনালির রোগ, যা সচরাচর ধূমপানের সঙ্গে সম্পৃক্ত lসিকেল সেল রোগ  lযেসব রোগে শিরাপথে চিকিৎসা বা ক্যাথেটার দেওয়া হয় lডায়ালাইসিস lইউরিনারি ক্যাথেটার lশিরাপথে স্যালাইন 
যেসব অবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়
যদি কোনো কারণে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হয় তাহলে আপনার হাড়ে সংক্রমণ হবার ব্যাপক আশঙ্কা থাকে। নিচের বিষয়গুলো আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দমিয়ে রাখে-
lক্যান্সারের চিকিৎসা lঅনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস 
lকর্টিকোস্টেরয়েড গ্রহণ 
নিষিদ্ধ ওষুধ 
যেসব লোক শিরাপথে ইনজেকশনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ওষুধ গ্রহণ করেন, যেহেতু তারা জীবাণুযুক্ত সুই ব্যবহার করেন তাই তাদের হাড়ে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
জটিলতা 
 হাড়ের ইনফেকশনে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে
lহাড় মরে যাওয়া 
lআপনার হাড়ে ইনফেকশন হলে হাড়ের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে হাড় মরে যায়। হাড়ের যে স্থানটি মরে যায় সেটি অপারেশনের মাধ্যমে ফেলে দিতে হয়। তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক ভালো কাজ করে। 
lসেপটিক আর্থ্রাইটিস
কখনও কখনও হাড়ের ইনফেকশন পার্শ্ববর্তী জয়েন্টে ছড়িয়ে যায়। 
lবৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া 
শিশুদের ক্ষেত্রে হাড় বা জয়েন্টের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, যদি সংক্রমণ হাড়ের নরম এলাকা বা গ্রোথ প্লেটে ঘটে। 
lত্বকের ক্যান্সার 
যদি হাড়ের ইনফেকশনের ফলে পুঁজ বেরিয়ে আসতে থাকে তাহলে সেখানকার ত্বকে ক্যান্সার হবার উচ্চ ঝুঁকি থাকে। 
প্রতিরোধ
যদি আপনার হাড়ে ইনফেকশনের উচ্চ ঝুঁকি থাকে, তাহলে ঝুঁকি কমানোর জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। 
সাধারণভাবে কেটে যাওয়া, ছড়ে যাওয়া বা প্রাণীর আঁচড় বা কামড়ানো এড়িয়ে চলবেন। কেননা এক্ষেত্রে সহজে জীবাণু ঢুকতে পারে। যদি আপনার নিজের বা আপনার সন্তানের শরীরের কোথাও সামান্য কেটে যায়, তাহলে জায়গাটি দ্রুত পরিষ্কার করুন ও সেখানে পরিষ্কার ব্যান্ডেজ বেঁধে দিন। ক্ষতটিতে ইনফেকশনের চিহ্ন দেখার জন্য ঘনঘন পরীক্ষা করুন। v
[ উপাধ্যক্ষ ও সহযোগী অধ্যাপক, অর্থোপেডিক সার্জারি, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল]
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ ড় র ইনফ কশন ইনফ কশন র আপন র হ ড় স ক রমণ উপসর গ

এছাড়াও পড়ুন:

আবুল মনসুর আহমদকে কেন মনে রাখব

আবুল মনসুর আহমদকে কেন মনে রাখব? আমার জানা-বোঝায় তাঁর রচনার যে দুটি গুণ আমাকে বিশেষভাবে আকর্ষণ করে, সে হচ্ছে প্রবলতা ও রাজনীতি-সচেতনতা। গুণ বলা যায়; বৈশিষ্ট্যও বলা যায়। বৈশিষ্ট্যই গুণ হয়ে উঠেছে। লেখক সে সময়ে আরও ছিলেন, প্রবলতাও ছিল, তবে অনেকের মধ্যে নয়। কারও কারও রাজনীতি-সচেতনতাও ছিল। কিন্তু সচেতনতাকে এমনভাবে সব সময় সজাগ রাখা, কখনও হারিয়ে না ফেলা আবুল মনসুর আহমদের মধ্যে যেমন দেখি, তেমন দেখি না অন্য কারও মধ্যে। এর একটা কারণ, তিনি জড়িত ছিলেন প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে।

মুসলিম মধ্যবিত্ত যখন বিকশিত হচ্ছিল, তখন সেই বিকাশের প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল যে একটা প্রবলতা, তা-ই প্রজ্বলিত হয়েছে এই লেখকের রচনায়। তাঁর চিন্তা-চেতনায়, আবেগে ও ভাবে। মৃত্যুক্ষুধা কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাসের নাম। সেখানে জীবন আছে, কিন্তু সেই জীবনের ওপর বারবার লম্বা করে ছায়া পড়েছে মৃত্যুর। নজরুল ইসলামের বন্ধু আবুল মনসুরের উপন্যাসের নাম জীবন-ক্ষুধা। এখানেও মৃত্যুর ছায়া আছে, কিন্তু আবুল মনসুর দেখিয়েছেন জীবনের যে তেজস্বিতা, তা কেমন করে সবকিছুকে ছাপিয়ে উঠতে চায়। উপন্যাসের নায়ক হালিম সামন্ত পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসে ক্রমান্বয়ে বুর্জোয়া পরিবেশের প্রতিকূলতাকে ঠেলে দিচ্ছে দু’হাতে। এই যাত্রার মধ্যে একটা শক্তি রয়েছে। আবুল মনসুর আহমদের সব রচনায় এই শক্তিটাকে দেখেছি।

আবুল মনসুর আহমদ যা-ই লিখুন না কেন, রাজনৈতিক প্রবন্ধ বা ব্যঙ্গ রচনা কিংবা উপন্যাস– সর্বত্রই দেখি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে কথা বলছেন। ফুড কনফারেন্স ও আয়নার লেখক হিসেবে একদা তিনি অনায়াসে সাড়া জাগিয়েছিলেন। সেই যে ব্যঙ্গ, তার মধ্যে স্বরটা ছিল চড়া, ছবিগুলো ছিল ভয়ংকর। অত্যন্ত সহজে বলা যাবে এ কথা যে, অভাব ছিল সূক্ষ্মতার। আসলে সূক্ষ্মতা তাঁর পরিবেশেই ছিল না, সমাজকে তিনি উচ্চকিত করেছেন। বীভৎস ও নিকুণ্ঠ সমালোচনায় সে-সমাজের কিছুই আসে যায় না। আজকের দিনেও দেখি, উৎকৃষ্ট ব্যঙ্গ রচনা লেখা হচ্ছে না। অথচ বলা হয়, ব্যঙ্গের উপাদান যত্রতত্র ছড়িয়ে আছে আমাদের জীবনে। এই ছড়িয়ে থাকার কথাটা সত্যও বটে, মিথ্যাও বটে। সমাজে অসংগতি আছে। কিন্তু সে অসংগতি এমনই স্থূল যে, তাকে নিয়ে হাসাহাসি করাটাও কঠিন কাজ। আবুল মনসুর করেছেন সেই কঠিন কাজটা। তাঁর সাহস ছিল। অসংগতির স্বরকে ছাপিয়ে ওঠার স্বর ছিল আয়ত্তে। তিনি হাসির মধ্য দিয়ে ধমকে দিয়েছেন ভয়ংকরকে।
এই প্রবলতা তাঁর আত্মজীবনীতেও দেখি। আত্মজীবনী তাঁর দুটি। প্রথমে পাওয়া গেছে আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর, তার পরে এলো আত্মকথা। একটিতে রাজনীতির ইতিহাস, অন্যটিতে ব্যক্তির ইতিহাস। কিন্তু দুই গ্রন্থ এক হয়ে এক জায়গায় এসে গেছে, সে তার আত্মনির্ভরতায়। সেই যে প্রবলতার কথা বলেছিলাম, সে আছে দুটি বইতেই। রাজনীতি সত্য এবং আমিও সত্য। বিশেষ করে তিনি কোনো অজ্ঞাতকুলশীল বলে পরিচয় দেননি নিজের, যেমন নীরদ চৌধুরী দিয়েছিলেন নিজেকে তাঁর শ্রেণির প্রতিনিধি হিসেবে। উপস্থিত করতে চাননি, যা দেখি কামরুদ্দিন আহমদের আত্মজীবনীতে, যদিচ শ্রেণিপ্রতিনিধিত্ব আবুল মনসুরের রচনাতে অবশ্যই রয়েছে। 

তাঁর কিছু কিছু ধারণা অবশ্যই বিতর্কমূলক। বিশেষ করে ভাষা ও  সংস্কৃতি সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে আমার নিজের নৈকট্য তো নেই-ই; হিসাব করলে দেখব কোথাও কোথাও ব্যবধান আছে। আমার মতো অনেকেই বলেন এই একই কথা। কিন্তু সর্বদাই দেখা গেছে, নিজের মত প্রচারে তিনি কোনো কার্পণ্য করেননি এবং বলতে গেলে একাই ছিলেন সেখানে তিনি। পরোয়া করেননি কেউ জানে কি জানে না। ভারী তৎসম শব্দের সঙ্গে একদিকে খাঁটি দেশি ও অন্যদিকে একেবারে বিদেশি শব্দ যেমন অনায়াসে মিলিয়ে দিয়েছেন, তাতে বোঝা যায়, এই মানুষটির মনের ভেতর আত্মসচেতনতা ছিল না। মধ্যবিত্ত শ্রেণির সমালোচকেরা অন্তত এই বিষয়ে মিথ্যে বলেননি যে, আত্মসচেতনতা মধ্যবিত্তের একটি অনিরামেয় ব্যাধি। আবুল মনসুরের এই ব্যাধি ছিল না।
কিন্তু আমরা খুব ভুল করব যদি আবুল মনসুর আহমদকে বুঝতে চাই তাঁর রাজনীতিকে বাদ দিয়ে। রাজনীতিতে সবসময়ই তিনি জনসাধারণের সঙ্গেই ছিলেন। যতটা থাকা সম্ভব তাঁর বিশেষ অবস্থানের মধ্য থেকে। পেশায় রাজনীতিবিদ নন, নেশায় রাজনীতিবিদ। রাজনীতি কখনও আসেনি তাঁর কাছে একটি বিশেষ পেশা হিসেবে, কিংবা অনেকের কাছে যেমন এসেছে তেমনি একটি সুবিধাজনক ব্যবসা হিসেবে। তিনি মন্ত্রী হয়েছেন, কিন্তু তাঁর পরিচয় মন্ত্রিত্ব দিয়ে নয়।

রাজনীতি যে সমস্ত কিছুর নিয়ামক– এই চেতনাটি অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন এবং সদা সজাগভাবে উপস্থিত ছিল তাঁর মধ্যে। তাই তো দেখি উপন্যাস লিখছেন যখন তখনও ভুলছেন না রাজনীতিকে এবং তাঁর নায়ক হালিম তার মতোই প্রজার স্বার্থ, কৃষকের স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল সামনে। জনতার শত্রু কে, কেই বা মিত্র– সেটা চিনতে ভুল হয়নি আবুল মনসুর আহমদের। কখনও কখনও ব্যক্তিগত স্বার্থকে জনতার স্বার্থের ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে পারেননি তিনি, অথচ একই সঙ্গে বলতেই হবে, জনতার স্বার্থ নিয়ে অকারণে কোনো ভাবালুতা নেই তাঁর লেখায়। রাজনীতিকে যারা ব্যবসা মনে করেন, সেই রাজনীতিবিদদের লজ্জা দিয়েছে তাঁর জীবন, যদি তাদের লজ্জা পাওয়ার ক্ষমতা থাকে। সাহিত্যকে যারা রাজনীতি-নিরপেক্ষ বলে মনে করেন, তাদের সে ধারণার প্রতি প্রবল প্রতিবাদ তাঁর রচনাবলি। তাঁর প্রতিভা বিরল মাত্রার, বিশেষ করে প্রবলতা ও রাজনীতি-সচেতনতার এই সাহিত্যিক সমন্বয়ের কারণেই।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: ইমেরিটাস অধ্যাপক, প্রাবন্ধিক, গবেষক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এসব উপসর্গ ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতির লক্ষণ না তো
  • এন্ডোমেট্রিওসিস সম্পর্কে যা জানা জরুরি
  • সাকিবের সঙ্গে তুলনায় আপত্তি হামজার
  • শঙ্খচিলের বাড়ি কই
  • আবুল মনসুর আহমদকে কেন মনে রাখব
  • ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ৫৩