দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে শুধু পবিত্র রমজান মাসে ইফতারি বিক্রি করেন শেরপুরের মিষ্টি ব্যবসায়ী মো. আবদুল হামিদ। এখানকার রোজাদারদের কাছে ‘হামিদ ভাইয়ের’ ইফতারির জুড়ি নেই। তাঁর দোকানের ইফতারিতে থাকে ছোলা, বেগুনি, পেঁয়াজু ও চপ।

শেরপুর জেলা শহরের নবীনগর এলাকার বাসিন্দা আবদুল হামিদ (৬০)। তাঁর দোকানটি শহরের মুন্সিবাজার এলাকায় অবস্থিত। টিন দিয়ে তৈরি একটি ঘরে হামিদের মিষ্টির দোকান। রমজান মাস ছাড়া বছরের অন্য সময়ে তাঁর দোকানে রুটি, ডিম, শিঙারা, পুরি ও বিভিন্ন পদের মিষ্টি বিক্রি করা হয়। রোজাদারদের উন্নতমানের মজাদার খাবার দেওয়ার কথা মাথায় রেখে শুধু রমজান মাসেই তিনি ইফতারি বানিয়ে থাকেন। প্রতিদিন দুপুর থেকে তাঁর দোকানের কারিগরেরা ইফতারি বানানো শুরু করেন। বিক্রি শুরু হয় বিকেল চারটা থেকে।

আবদিল হামিদের দোকানে ইফতারি কেনার জন্য ক্রেতাদের ভিড়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

নিখোঁজের পরদিন শিশুর মুখ ঝলসানো লাশ উদ্ধার

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা থেকে নিখোঁজের এক দিন পর ৭ বছর বয়সী একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটির মুখ ঝলসানো ছিল। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়ির পাশের এক ভুট্টাখেত থেকে পুলিশ বিবস্ত্র লাশটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় লোকজনের ধারণা, দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে ধর্ষণ করে পরিচয় গোপন রাখার জন্য তার মুখাবয়ব অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দিয়েছে। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ত। তার বাবা প্রবাসী।

বড়াইগ্রাম থানা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশুটি সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। সারা রাত খোঁজার পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে দিনমজুরেরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে বাড়ির থেকে ৩০০ গজ দূরের একটি ভুট্টাখেতে শিশুটির মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে স্বজনেরা সেখানে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, শিশুটির লাশ যেখানে পাওয়া গেছে, সেটা পাবনার চাটমোহর উপজেলার মধ্যে। তাই আইন অনুসারে এ বিষয়ে মামলা চাটমোহর থানায় হবে। তবে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় আনতে বড়াইগ্রাম থানা–পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। ইতিমধ্যে দুর্বৃত্তদের অনুসন্ধানে পুলিশ মাঠে নেমেছে। হত্যার কারণ বা শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ