ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ‘বল এখন রাশিয়ার মাঠে।’ এমন এক সময়ে তিনি এই মন্তব্য করলেন, যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

সৌদি আরবের জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা দীর্ঘ আলোচনা শেষে গত মঙ্গলবার একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। এতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। শান্তি অর্জনের জন্য রাশিয়ার সহযোগিতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’ যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের যৌথ বিবৃতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা সম্ভবত এটাই।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন থেকে কী আশা করেন, তা নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহে আমরা অনেক কিছু শুনেছি। একই সময়ে কিয়েভকে নিজেদের ইচ্ছার কাছে মাথা নত করতে হোয়াইট হাউস কী ধরনের স্থূল কৌশল গ্রহণ করেছে, আমরা তা–ও দেখেছি।

তবে এখন মনে হচ্ছে রাশিয়ার পালা এসেছে। এখন ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তিচুক্তি নিয়ে দেশটির মনোভাব কী, তা প্রকাশ্যে জানার সময় হয়েছে।

ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে মীমাংসা করতে চাইছিলেন, যত দূর জানা যায় তা ঘিরে অনিশ্চয়তা আছে। কারণ, নিজেদের শান্তিচুক্তি মানতে ভলোদিমির জেলেনস্কিকে চাপ দিলেও পুতিনকে কোনো চাপ দিচ্ছিলেন না ট্রাম্প। ফলে ট্রাম্পের তৎপরতায় একধরনের ভারসাম্যহীনতা ছিল।

যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। সৌদি আরবের জেদ্দায়, ১১ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

জিনদের আহার্য

মহানবী (সা.) একবার তার সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বললেন কিছু পাথর নিয়ে আসতে। তবে হাড় বা গোবর আনতে নিষেধ করলেন। আবু হুরায়রা (রা.) কাপড়ে করে কিছু পাথর এনে সেগুলো নবীজি (সা.)-এর পাশে রেখে চলে গেলেন। নবীজি (সা.) কাজ সেরে ফিরে আসার পর আবু হুরাইরা জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর রাসুল, হাড় ও গোবরে সমস্যা কী? তিনি উত্তরে বললেন, সেগুলো জিনদের খাবার। নাসিবিন শহরে (সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যে আলজাযিরার একটি নগরী) জিনদের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা সবাই খুব ভালো জিন। আমার কাছে খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করি। তাই তারা যে হাড় বা গোবরের পাশ দিয়ে যাবে, তাতেই নিজেদের জন্য খাবার খুঁজে পাবে। (বুখারি, হাদিস: ৩,৫৭৮)

আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫

তাই কেউ যদি বিসমিল্লাহ বলে খাবার খায় এবং হাড় থেকে মাংস খাওয়ার পর নাপাক স্থানে না ফেলে, মুমিন জিনেরা সেই হাড় হাতে নিলে তাতে গোশত ফিরে আসবে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩,২৫৮)

আর দুষ্ট জিন ও শয়তানরা খায় এমন খাবার, যাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয় না। যেসব খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়, সেগুলো তারা ছুঁয়েও দেখে না।

গোবরে জিনদের পশুদের জন্য খাবার জমা হয়। তার মানে জিনদের পোষা প্রাণী আছে এবং তারা তাতে আরোহণ করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘গোবর বা হাড় নাপাকি পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করো না। কারণ এগুলো তোমাদের ভাই জিনদের খাবার।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৮)

আরও পড়ুনকোরআন শুনে একদল জিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন০৬ আগস্ট ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ