রাশিয়ার ব্যাংক খাতের ওপর বড় পরিসরে নিষেধাজ্ঞা দিতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির ওপর শুল্ক আরোপও করতে চান তিনি। ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে কিয়েভের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানোর আগপর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে। নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এসব কথা বলেছেন ট্রাম্প।

আজ শুক্রবার ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া যে পুরোদমে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, তার ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি এবং শান্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত আমি রাশিয়ার ব্যাংক খাতের ওপর বড় পরিসরে নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্কারোপের বিষয়টি দৃঢ়ভাবে বিবেচনা করছি।’

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে তৎপর হয়েছেন ট্রাম্প। এ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসেছে তাঁর প্রতিনিধিদল। তবে ইউক্রেনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো আলাপ করেননি তিনি। এরই মধ্যে গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডার পর ইউক্রেনের মার্কিন অস্ত্র সহায়তা স্থগিত করেন ট্রাম্প।

একই সময়ে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে এবং মস্কোর সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে রাশিয়ার ওপর আরোপ করা কিছু নিষেধাজ্ঞা হোয়াইট হাউস শিথিল করার পরিকল্পনা করছে বলে জানায় রয়টার্স। ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরেই ওই নিষেধাজ্ঞাগুলো দিয়েছিল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। এরপরই আজ রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার কথা বললেন ট্রাম্প।

আরও পড়ুনসমুদ্র, আকাশপথে অস্ত্রবিরতি চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট২ ঘণ্টা আগে

বিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি রাশিয়া। বাইডেনের আমলে রাশিয়ার তেল রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ দিয়েছিল ওয়াশিংটন। রুশ জ্বালানি প্রতিষ্ঠান এবং তেলবাহী জাহাজগুলোর ওপরেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল রাশিয়ার জ্বালানি খাত-সংশ্লিষ্ট প্রায় ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে ব্যাংক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

আরও পড়ুনচীনকে কোণঠাসা করতেই কি পুতিনকে কাছে টানছেন ট্রাম্প০৬ মার্চ ২০২৫আরও পড়ুনট্রাম্পকে শান্তি-নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করেন পশ্চিম ইউরোপের বেশির ভাগ মানুষ১২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন য দ ধ ইউক র ন র র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে বাটা শো রুমে ভাঙচুর, ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় বাটা শোরুমে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

সোমবার রাতে মহানগরের গাছা থানায় মামলাটি দায়ের করেন তানভীর সু-স্টোর নামে বাটা শো রুমের ম্যানেজার তসলিম উদ্দিন। 

হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া ৪ জনকে ৫ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

গত সোমবার দুপুরে তৌহিদী জনতার ব্যানারে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শেষে বোর্ড বাজার এলাকার বাটা শো রুমসহ ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় লোকজন। 

অভিযোগ উঠেছে, বিক্ষোভ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় পরিকল্পিতভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আক্রমণ করে বিক্ষোভকারীরা। তারা বোর্ড বাজারের বড় মসজিদের নিচতলায় স্থানীয় ফেরদৌস হোসেনের মালিকানাধীন বাটা জুতার শো রুমের সামনে সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলে। একই মালিকের অন্য আরেকটি বাটা শো রুমের সামনের সাইনবোর্ডও ভেঙ্গে ফেলে। এরপর মহাসড়কের পাশের তৃপ্তি হোটেল, রাঁধুনী হোটেল ও লবলঙ্গ হোটেলের সামনে অংশে ভাঙচুর চালায়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

বাটা কোম্পানির ডিলার ফেরদৌস হোসেন বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা তার দোকানের সামনের সাইনবোর্ড ভাঙচুর করেছে। তবে দোকানের ভেতরে যেতে পারেনি। এর আগেই আমরা দোকান বন্ধ করি। এরই মধ্যে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে সিয়াম খান অনিক, শিমুল আহামেদ শাওন, শাহীন আলম ও জয়নাল আবেদীন নামে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজুল ইসলাম সোমবার মধ্য রাতের পর গাছা থানায় সংবাদ সম্মেলন করে গ্রেপ্তার হওয়ার খবরটি সাংবাদিকদের জানান।  

গ্রেপ্তাররা হলে- ময়মনসিংহে নতুন বাজার বালিপাড়া গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে শিমুল আহামেদ শাওন (২০), নোয়াখালির সবুজ মিয়ার ছেলে সিয়াম খান অনিক (১৮), শরীয়তপুরের নাজিমুদ্দিন মোল্লার কান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে শাহীন আলম (১৯) ও গাছা থানার পূর্ব কলমেশ্বর এলাকার আমির হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন। 

গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মোহাম্মদ রাশেদ জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ৪ জনকেই ৫দিনের করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাটা শো রুমের ম্যানেজার তসলিম উদ্দিন বাদী হয়ে সোমবার রাতেই ১ হাজার ২শ অজ্ঞাত লোকের বিরুদ্ধে গাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

বোর্ড বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাটা শো রুম দু’টি বন্ধ রয়েছে। তবে হোটেলগুলো চলছে। তৃপ্তি হোটেলের তত্বাবধায়ক লাল মিয়া জানান, আমাদের হোটেলের সামনে এসে বিক্ষোভ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা এসে কোকাকোলা ও সেভেন আপের ব্যানার সরিয়ে ফেলতে চাপ দেয়। পরে আমরা সেগুলো সরিয়ে ফেলি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুরো এলাকায় তারা আতংক সৃষ্টি করে ফেলে। 

গাছা থানার ওসি জানান, দোকানে হামলার ঘটনার সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত ও ইন্ধন দিয়েছে পুলিশ তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ