Samakal:
2025-04-30@17:50:54 GMT

ইফতারে মজাদার লাচ্ছি

Published: 6th, March 2025 GMT

ইফতারে মজাদার লাচ্ছি

প্রকৃতিতে একটু একটু করে বাড়ছে তাপমাত্রা। সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে কমবেশি সবারই মন চায় ঠান্ডা কিছু কিছু খেতে। গরমের এই সময় শরীরের পানিশূন্যতা রোধে ইফতার ও সেহেরিতে পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার খাওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে ইফতারে বানাতে পারেন বিভিন্ন ধরনের লাচ্ছি।
কলার লাচ্ছি 

উপকরণ : ২৫০ লিটার ঠান্ডা পানি, ১৫০ গ্রাম মিষ্টি দই, ২ টি পাকা কলা, ১ থেকে ২ চামচ মধু , সামান্য এলাচ

প্রস্তুত প্রণালি : পানি ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এতে পানি যোগ করুন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার লাচ্ছি। 

পুদিনা পাতার লাচ্ছি 

উপকরণ : ৫ চামচ পুদিনা পাতার কুচি, ২ কাপ দই, সামান্য লবণ, আধা চামচ ভাজা জিরা, ১ কাপ পানি, কয়েক টুকরা বরফ

প্রস্তুত প্রণালি : দই, জিরা, লবণ আর পুদিনা পাতা ব্লেন্ডারে দিয়ে ভাল ভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এতে পানি ও বরফের টুকরা দিন। ভালভাবে ব্লেন্ড করুন। গ্লাসে পরিবেশনের আগে সামান্য পুদিনা পাতা ও ভাজা জিরা যোগ করুন। 

প্লেইন লাচ্ছি

উপকরণ :২/৩ কাপ মিষ্টি দই, আধা কাপ পানি, চিনি প্রয়োজন অনুযায়ী,স্বাদ মতো বিট লবণ

প্রস্তুত প্রণালি: সবগুলোর উপকরণ একসঙ্গে নিয়ে ব্লেন্ড করুন। ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন। 

চকলেট লাচ্ছি
উপকরণ : এক কাপ মিষ্টি দই, আধা কাপ পানি, চিনি প্রয়োজন অনুযায়ী, ২ টেবিল চামচ চকলেট সিরাপ 

প্রস্তুত প্রণালি : সবগুলো উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। গ্লাসে ঢালার আগে সামান্য চকলেট সিরাপ ছড়িয়ে দিন। পরিবেশনের আগে গ্লাসে চকলেটের গুঁড়া ছড়িয়ে দিতে পারেন।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইফত র ব ল ন ড কর চকল ট ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারকে চলে যেতে বলছে না

‘দেশের জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারকে চলে যেতে বলছে না, বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে’। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

‘মুহাম্মদ ইউনূস: রিয়েল রিফর্ম অর জাস্ট আ নিউ রুলিং ক্লাস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে সাক্ষাৎকারটি রোববার আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে  কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে। জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।  

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে? জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।  

নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা সে সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগকে নিতে হবে: নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে– তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে। তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এই আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।  

একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগুতে চাই: সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান, তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তাঁর জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগুতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘আগে সাকিব ভাই করতেন, এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি’
  • বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা চেয়ারম্যানের
  • নোবিপ্রবির পুকুরে ছাত্র-ছাত্রীদের গোসলের ছবি ভাইরাল, ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন
  • আহারে চার পদ
  • মাটির গুণগত বৃদ্ধিতে ‘বিনা বায়োচার’ উদ্ভাবন
  • সুন্দর ভবনে পরিত্যক্ত কক্ষ, কমেছে শিক্ষার্থী, ঢিমেতালে চলে কার্যক্রম
  • ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা
  • জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারকে চলে যেতে বলছে না