যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার টেবিলে ফিরতে প্রস্তুত ইউক্রেন: ট্রাম্প
Published: 5th, March 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তি আলোচনার জন্য ফিরতে প্রস্তুত। মঙ্গলবার কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে এ তথ্য জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন। তাতে ইউক্রেনীয় নেতা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার টেবিলে আসতে তার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছেন।
ট্রাম্প চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “স্থায়ী শান্তি আরো কাছে আনতে ইউক্রেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনার টেবিলে আসতে প্রস্তুত। ইউক্রেনীয়দের চেয়ে বেশি শান্তি আর কেউ চায় না।”
গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে সংবাদমাধ্যমের সামনেই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। এর জেরে জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউজ থেকে চলে যেতে বলা হয় এবং পূর্ব নির্ধারিত যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়। এছাড়া ইউক্রেনের সঙ্গে যে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল তা স্থগিত করা হয়।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দীর্ঘ একটি পোস্ট করেন জেলেনস্কি। পোস্টে গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি। তিনি রাশিয়ার সঙ্গে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান নিশ্চিত করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আংশিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলেনস্কি বলেন, “আমি শান্তির প্রতি ইউক্রেনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। আমরা কেউই অনন্তকাল যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাই না। টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যত দ্রুত সম্ভব আলোচনার টেবিলে আসতে প্রস্তুত ইউক্রেন।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন র ইউক র ন য
এছাড়াও পড়ুন:
পুতিনকে ছয়টি হাতি উপহার মিয়ানমার জান্তার
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ছয়টি হাতি উপহার দিয়েছেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্ল্যাইং। মঙ্গলবার মস্কো সফরের সময় এ উপহার দেন তিনি। খবর বার্তা সংস্থা তাসের।
সম্প্রতি রাশিয়ার কাছ থেকে ছয়টি যুদ্ধবিমান কিনেছে মিয়ানমার। বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাশিয়া ও মিয়ানমারের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার একটি প্রয়াস এ হাতি উপহার। অনেকে একে ‘হাতি কূটনীতি’ বলছেন। মঙ্গলবার ক্রেমলিনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন জান্তাপ্রধান।
বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। মিয়ানমারে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তিতেও সই হয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু বিদ্যুৎ কোম্পানি রোসাটমের অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারে ১০০ মেগাওয়াটের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এ কেন্দ্র নির্মাণ শেষে পরিচালনার দায়িত্বও রোসাটমের হাতে থাকবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ২০২৪ সালে দুই দেশের বাণিজ্য ৫০ শতাংশ বেড়েছে। উপহারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আপনার এ বন্ধুত্বপূর্ণ উপহারের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। হাতিগুলো ইতোমধ্যেই মস্কোর চিড়িয়াখানায় স্থানান্তর করা হয়েছে।’ মিয়ানমারে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখারও আশ্বাস দেন তিনি।