পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের মারধরের শিকার হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী হাবিবের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েও এখন নীরব ভূমিকা পালন করছে জবি প্রশাসন। 

আহত হাবিব বুধবার (৫ মার্চ) ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য গেছেন। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সহায়তার আশ্বাস দিলেও আজ আর কোনো খোঁজ নেয়নি।

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিব বলেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গতকাল আশ্বাস দিলেও আজ আর খোঁজ-খবর পর্যন্ত নেয়নি।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.

তাজাম্মুল হক বলেছেন, “আমি বিষয়টা শুনেছি। কিন্তু, শিক্ষার্থীর পাশে থাকার বিষয়টা আমার কাজ নয়। ছাত্রকল্যাণ দপ্তরে যোগাযোগ করুন।”

ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক ড. কে এ এম রিফাত হাসানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “আমি বিষয়টা আপনার কাছেই এখন শুনলাম। এরকম কোনো নির্দেশনা আমার কাছে আসেনি। প্রশাসনের যারা সহায়তা করতে চেয়েছে এবং উপস্থিত ছিলেন, তাদেরকে ফোন দিলে জানতে পারবেন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, “আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি। আহত হাবিব ন্যাশনাল মেডিকেলে দীর্ঘক্ষণ যাবৎ অপেক্ষা করছে, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।”  

ঢাকা/লিমন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুর প্রশাসনের ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা

মাদারীপুরে পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের সময় প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অন্যের মালিকানাধীন খাস ও অর্পিত সম্পত্তির ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে এমনটা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সাবেক ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটকসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ঢাকার সহকারী পরিচালক। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুসহ ৫টি এল এ কেসের সরকারি খাস, ভিপি সম্পত্তি ও বিভিন্ন মালিকের সম্পত্তির কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বিল তুলে নেওয়া হয়। ২৩ চেকের বিপরীতে ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪ টাকা বিভিন্ন নামে তুলে নেয় একটি চক্র। মাদারীপুর ডিসি অফিসের সাবেক এলএও প্রমথ রঞ্জন ঘটক এই জালিয়াতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে দুদক। একই সময় কর্মরত দুই সার্ভেয়ার মো. রাসেল আহমেদ ও মো. নাসিরউদ্দিন জড়িত ছিল।

এই তিনজন ছাড়াও স্থানীয় আলো পত্তনদার, আব্দুল মালেক মৃধা, সুরুজ মিয়া, রাজিয়া বেগম, আব্দুল কাদির কাজী, শাহিন বেপারি, কুলসুম বিবি, আতিকুর রহমান, মো. মিলন শেখ, জিল্লুর রহমান, মনির মিয়া, জোছনা বেগম, আঁখি বেগম, আলম আলী বেপারি, হাসিনা বেগম, আসমা বেগম, আওলাদ হোসেন, ফরিদা বেগম, মতিউর রহমান ও সুধাংশু কুমার মণ্ডলকে আসামি করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ